ধারা-৩। তামাদি মেয়াদ শেষে দায়েরকৃত মামলা ইত্যাদি খারিজ (Dismissal of suits, etc, Instituted, etc, after period of Limitation): তামাদির মেয়াদ শেষে দায়ের কৃত দেওয়ানী মােকদ্দমা খারিজ হবে। বিবাদী পক্ষ প্রশ্ন উত্থাপন না করলেও খারিজ হবে।
এই ধারা অনুযায়ী তামাদির বিষয়বস্তু ৩ টি। যথাঃ
১) মামলা;
২) আপীল ও।
৩) আবেদনপত্র ।
নােটঃ
এই ধারার বিধান আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক।
তামাদি আইন-৩ ধারা:
তামাদি আইনের শিরোনাম-তামাদি মেয়াদ শেষে দায়েরকৃত মামলা ইত্যাদি খারিজ
তামাদি আইনের ৩ ধারায় বলা আছে যে, অত্র আইনের ৪ থেকে ২৫ ধারা পযন্ত এবং অত্র আইনের ১ম তফসীলে বর্ণিত তামাদি মেয়াদ উক্তির্ণ হইবার পর যে কোন প্রকার মামলা, আপীল বা যে কোন প্রকার দরখাস্ত দাখিল করা হইলে বিবাদী পক্ষ উক্ত মামলা, আপীল বা দরখাস্তের বিষয়ে কোন রুপ প্রশ্ন উথ্থাপন না করিলেও তাহা (মামলা, আপীল বা যে কোন প্রকার দরখাস্ত) খারিজ হইবে।
ধারা-৩। তামাদি মেয়াদ শেষে দায়েরকৃত মামলা ইত্যাদি খারিজ কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য:
১) মামলা
২) আপীল
৩) যে কোন প্রকার দরখাস্ত
ধারা-৪। আদালত বন্ধ থাকা অবস্থায় যখন তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় (Where court is closed when period expires):
তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার দিন আদালত বন্ধ থাকলে পুনরায় খােলার দিন মামলা, আপীল বা আবেদনপত্র দায়ের করা যাবে।
৪ ধারা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
আদালত লম্বা ছুটিতে থাকলে ক্ষেত্রবিশেষ আদালতের সেরেস্তা খােলা থাকে। সেক্ষেত্রে মামলা, আপীল বা আবেদনপত্র উক্ত সেরেস্তায় দায়ের করতে হবে।তবে ২ (দুই) টি ক্ষেত্রে অত্র ধারার সুবিধা পাওয়া যাবে না।
যথা (১) কৌশলের আশ্রয় নিয়ে আদালত পুনরায় খােলার দিন জাবেদা নকল চেয়ে আবেদন করলে এবং (২) আদালত পুনরায় খােলার দিন ভুল আদালতে মামলা দায়ের করলে।