অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, জারীর কারণ, ফলাফল, বাতিল ইত্যাদিঃ
দেওয়ানী মোকদ্দমায় যে প্রতিকার দেওয়া হয় তার মধ্যে একটি হলো নিষেধাজ্ঞামূলক প্রতিকার। আদালত যখন মোকদ্দমার কোন পক্ষের আবেদনক্রমে অপরপক্ষকে কোন কাজ করতে বা কাজ করা থেকে বিরত থাকার আদেশ প্রদান করেন তখন আদালতের এই আদেশই হলো নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশে বলবৎ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এ নিষেধাজ্ঞামূলক প্রতিকারের সংজ্ঞা ও দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এ কার্যকরের নিষেধাজ্ঞা হলো মূলত: ন্যায়পরায়ন প্রতিকার। বেঙ্গল সিরামিকস ইন্ড্রাস্ট্রিস লি: বনাম চেয়ারম্যান, পেট্রোবাংলা গং মামলায়(৫৩ ডিএলআর, পৃ.৫১৬) আদালতের পর্যবেক্ষণ হলো, “নিষেধাজ্ঞা হলো এক ধরণের ন্যায়পর প্রতিকার। প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট মামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায়পরায়তা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তার জন্য তা ব্যবহ্যত হতে হবে।”
নিষেধাজ্ঞার প্রকৃতি অনুযায়ী তা দুই প্রকার :-
ক. নিষেধমূলক নিষেধাজ্ঞা;
খ. আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞা
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫২,৫৩ ও ৫৪ ধারায় দুই প্রকারের নিষেধমূলক নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। একই আইনের ৫৫ ধারায় আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞার বিধান রয়েছে। আদালত যখন মোকদ্দমার কোন বাধ্যবাধকতা ভঙ্গকে রোধ করার জন্য কোন পদক্ষেকে একটি নির্দিষ্ট কাজ করতে বাধ্য করে তখন এরূপ আদেশকেই বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞার আদেশ।
নিষেধাজ্ঞা কত সময়ের ব্যপ্তিতে প্রদান করা হবে এর উপর ভিত্তি করে নিষেধাজ্ঞা দুই প্রকার।
ক. স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা;
খ. অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
তবে মামলার গুনাগুণ বিচার করে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা নামক এক প্রকার নিষেধাজ্ঞা আদালত জারী করতে পারে।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাঃ
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা হলো আদালতের দেওয়ানী মোকদ্দমা সম্পর্কিত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মোকদ্দমার যেকোন পক্ষের আবেদনক্রমে আদালত সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর ৫৩ ধারার বিধানানুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা ঘেষণার পর থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অথবা আদালতের পরবর্তী কোন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকে। মোকদ্দমার যে কোন পর্যায়ে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে। তবে আদালত সব মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে বাধ্য নয়। এটি আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা। আদালত মোকদ্দমার পক্ষের শুনানী শেষে যদি সন্তুষ্ট হয় তাহলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর জন্য কে আবেদন করতে পারে, কোন প্রেক্ষিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা যেতে পারে এ সম্পর্কিত বিধান দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ৩৯ আদেশে রয়েছে।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর আবেদনঃ
দেওয়ানী মোকদ্দমার বিষয়বস্তু সম্পর্কে পক্ষদ্বয়ের যে কোন একপক্ষকে কোন কাজ করতে নিষেধ করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর জন্য যে কোন পক্ষ আদালতে আবেদন করতে পারে। এই বিধান দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ৩৯ আদেশের ১ নং বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কখন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা যেতে পারেঃ
মামলার কোন পক্ষের যে কোন আবেদনের ভিত্তি আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করবেন না। দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ আদেশের ১ ও ২ নং বিধিতে বলা আছে আদালত কোন কোন ক্ষেত্রে দেওয়ানী মোকদ্দমায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে। ক্ষেত্রগুলো হলো :
১। এফিডেভিট বা শপথনামা বা অন্য কোনভাবে যদি প্রমাণিত হয় যে, মামলার কোন পক্ষ মামলার সম্পত্তি হস্তান্তর , বিনষ্ট বা ধ্বংস করতে সচষ্টে হলে। অর্থাৎ মামলার সম্পত্তি হস্তান্তরিত বা বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে;
২। বিবাদী তার পাওনাদারকে প্রতারিত করার লক্ষ্যে তার সম্পত্তি অপসারণ বা হস্তান্তর করার ইচ্ছা বা হুমকি প্রদর্শন করছে;
৩। কোন ডিক্রি জারীর কারণে মামলার বিষয়বস্তু বেআইনীভাবে বিক্রি হবার সম্ভাবনা দেখা দিলে;
৪. মোকদ্দমা চলাকালীন সময়ে মামলার উদ্দেশ্য ব্যাহত করার চেষ্টা করা হলে;
৫। বিবাদী মামলার বিষয়বস্তু চুক্তি ভঙ্গ করতে বা অন্য কোন ক্ষতিকর কাজ করতে উদ্যত হলে বা ইচ্ছা প্রকাশ করলে;
উপরোক্ত ক্ষেত্রে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে। তবে দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ আদেশের অধীনে ছাড়াও আদালত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৫১ ধারার অধীনে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর সময় আদালতের বিবেচ্য বিষয়সমূহঃ
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা হলেও আদালত যে কোন মামলার কোন পক্ষের প্রার্থনাক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে না। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর সময় আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার বিভিন্ন দিক বিবেচনা করবেন। আদালত মামলার প্রয়োজনীয় বিষয় বিবেচনা করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতেও পারে, নাও করতে পারে। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর সময় নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করবে:
১। মামলার পক্ষদ্বয়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিচার্য বিষয় আছে কিনা। এছাড়া, উক্ত মামলায় বাদীপক্ষে একটি আপাত: মামলা (prima facie case) আছে কিনা আদালত বিচার করবে। বাদী যে আরজি দাখিল করে ও আরজিতে যে দলিলপত্র সংযু্ক্ত করে তাও পাঠপূর্বক আদালত বিবেচনা করবে।
২। যদি নিষেধাজ্ঞা জারী না করা হয় তাহলে বাদী পক্ষের অপূরণীয় ক্ষতি হবে কিনা তা আদালত বিবেচনা করবে, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা না হলে বিবাদীপক্ষের গৃহীত কাজের দ্বারা বাদীপক্ষের অপূরণীয় ক্ষতি হবে বলে আদালত সন্তুষ্ট হলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা যাবে।
৩ মামলার বিষয়ে পক্ষদ্বয়ের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি আদালত বিবেচনা করবে। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী না করলে যদি বাদীর সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশী হয় এবং বিবাদীর অসুবিধা কম হয় তাহলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে।
৪। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর ফলে মোকদ্দমার বাদী ও বিবাদী ছাড়াও তৃতীয় কোন পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে কিনা আদালত তা বিবেচনা করবেন। যদি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর ফলে তৃতীয় কোন পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জর নাও করতে পারে।
৫। বাদী এস্টোপেল নীতির দ্বারা বারিত কিনা আদালত তা বিবেচনা করবেন। বাদী এস্টোপেল নীতির দ্বারা বারিত না হলেই কেবল অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা যেতে পারে।
৬। চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কোন মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা না হলে যদি মামলা অর্থহীন বা ব্যর্থ হয়ে যাবার আশঙ্কা সৃষ্টি হয় তাহলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করবেন।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর বিধানঃ
দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ আদেশ অনুযায়ী মামলার কোন পক্ষের আবেদনক্রমে অপর পক্ষের বিপরীতে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় বিবেচনাপূর্বক আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে। তবে নিষেধাজ্ঞা জারীর পূর্বে যে পক্ষের প্রতিকূলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর আবেদন করা হয়েছে সে পক্ষকে এ সম্পর্কে নোটিশ পাঠাতে হবে। দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ আদেশের ৩ বিধিতে বিধানাবলী রয়েছে। তবে যেক্ষেত্রে কোন বিধান ঋণ সম্পর্কে কোন দ্রব্য ব্যাংকে রাখা হলে এবং এই বিষয়ে নোটিশ প্রদানজনিত কারণে বিলম্ব হয় এবং বিলম্বের ফলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ অর্থহীন হবে বলে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হলে অপর পক্ষকে কোন নোটিশ প্রদান করা ছাড়াই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা যাবে। ৩ বিধিমতে নোটিশ জারীর জন্য নির্দেশিত নোটিশ ইস্যুর তারিখ থেকে ৭ দিনের মধ্যে আদালতে ফেরত দিতে হবে। তবে নোটিশ গর জারীতে দিলে নোটিশ ফেরত আসার পর পুনরায় নোটিশটি ৭ দিনের মধ্যে জারী করতে হবে। এভাবে জারীকৃত নোটিশ যথাযথভাবে জারী হয়েছে বলে গণ্য হবে।
নোটিশ প্রদানের পর ৩৯ আদেশের ৫ক বিধি অনুযায়ী যে পক্ষের বিপরীতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা হবে সে পক্ষকে শুনানীতে বক্তব্য প্রদানের সুযোগ না দিয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা যাবে না। অর্থাৎ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করতে হলে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে শুনানীতে বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দিয়ে আদালত প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্থায়ী আদেশ প্রদান করতে পারবে।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্যের ফলাফলঃ
আদালত মামলায় কোন পক্ষের আবেদনক্রমে অপর পক্ষের বিপরীতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করলে তা ঐ পক্ষের উপর বাধ্যকর হয়। কিন্তু অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা যদি উক্ত পক্ষ অমান্য করে তাহলে এর প্রতিকার সম্পর্কে দেওয়ানী কার্যবিধির ৯৪ ধারা ও ৩৯ আদেশের ২(৩) বিধিতে প্রয়োজনীয় বিধান রয়েছে। ৯৪ ধারার বিধানানুসারে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অমান্যকারীর সম্পত্তি ক্রোক ও তা নিলাম বিক্রয়ের আদেশ আদালত দিতে পারে। এছাড়াও দোষী ব্যক্তিকে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখার জন্য আদালত আদেশ দিতে পারেন। কার্যবিধির ৩৯ আদেশের ২(৩) বিধিতে বলা হয়েছে অস্থায়ী আদেশ অমান্যকারী পক্ষ বা ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৬ মাস দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা যাবে।
অপর্যাপ্ত কারণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর ফলঃ
যদি বাদীপক্ষের আবেদনের ফলে অপর্যাপ্ত কারণে আদালত বিবাদীর বিপরীতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে এবং পরবর্তীতে এই বিষয়টি প্রমাণিত হয় তাহলে বিবাদী পক্ষ ক্ষতিপূরণ পাবে। এই সম্পর্কে দেওয়ানী কার্যবিধির ৯৫ ধারায় বলা হয়েছে বিবাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিবাদীর ব্যয় ও ক্ষতি পূরণের জন্য বাদীর বিরূদ্ধে বিবাদীর অনুকূলে অনধিক ১০ হাজার টাকা খেসারত প্রদানের আদেশ দিতে পারে। বাদীপক্ষ যদি আদালতকে ভুল তথ্য দিয়ে, নকল দলিল প্রদর্শন করে বা প্রতারণামূলকভাবে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী আদায় করে তবে এসব কারণ অপর্যাপ্ত কারণ বলে বিবেচিত হবে।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা যে আদালত পরিবর্তন বা রদ করতে পারেঃ
আদালত দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ আদেশের ১ ও ২ বিধি অনুযায়ী অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করলে সংক্ষুব্ধ পক্ষের আবেদনক্রমে উক্ত নিষেধাজ্ঞা , আদালত মুক্ত, পরিবর্তন বা রদ করতে পারবে। সংক্ষুব্ধ পক্ষ নিষেধাজ্ঞার বিরূদ্ধে আপিল করতে পারবে, যা ৪৩ আদেশের ১ বিধির প দফায় বলা হয়েছে।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত সমস্যাঃ
সমস্যাঃ
বিরোধীয় সম্পত্তিতে স্বত্ব ঘোষণার প্রার্থনায় দায়েরকৃত বিচারাধীন মামলার বাদী খোদা বক্সের অনুকূলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারী করে বিবাদীগণকে মামলার নিসপত্তি না হওয়া পর্যন্ত সীমানা প্রাচীর না ভাঙ্গার নির্দেশ দেন। কিছুদিন পর বিবাদীগণ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে সীমানা ভেংঙ্গে ফেলে। বাদী বিবাদীগণের এই অপকর্মের বিরূদ্ধে প্রািতকার প্রার্থী। কোন আইনের বিধান অনুযায়ী বাদী প্রতিকার পাবেন?
সমাধানঃ
উপরোক্ত সমস্যায় দেখা যায়, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিবাদীকে মামলার বিরোধীয় সম্পত্তি ভেঙ্গে না ফেলার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কিন্তু বিবাদী অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেন। বাদী দেওয়ানী কার্যবিধির ৯৪ ধারা ও ৩৯ আদেশের ২ বিধি অনুযায়ী প্রতিকার পাবেন। ৯৪ ধারায় আদালতের সম্পূরক কার্যক্রম সম্পর্কিত বিধানে বলা হয়েছে, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে দোষী ব্যক্তিকে দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা যাবে। তদুপরি তার সম্পত্তি ক্রোক ও নিলাম বিক্রয়ের আদেশ দেওয়া যাবে। তবে দোষী ব্যক্তিকে কত দিন দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা যাবে এ সম্পর্কে ৩৯ আদেশের ২(৩) বিধিতে বিধান রয়েছে। বলা হয়েছে দোষী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৬ মাস দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা যাবে।
উপরোক্ত সমস্যায় বাদীপক্ষকে বিবাদীর বিরূদ্ধে প্রতিকার লাভের জন্য সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারস এর ৭৭৪ বিধি অনুযায়ী মিস জুডিসিয়াল কেস হিসেবে রেজিস্ট্রির জন্য দরখাস্ত দাখিল করতে হবে। অত:পর ৩৯ আদেশের ২(৩) বিধিতে বর্ণিত প্রতিকার বাদী পক্ষ পাবেন।