Ads Area

Snow
Maruf Hossen Jewel

তামাদির ক্ষেত্রে প্রতারণার ফলাফল:

 তামাদির ক্ষেত্রে প্রতারণার ফলাফল:

কোনো জিনিস মিথ্যে বা তার অস্তিত্ব নেই জানা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তিকে ওই জিনিসের অস্তিত্ব সঠিক -এ বিশ্বাস স্থাপনে কোনো কিছু করাকে সাধারণত 'প্রতারণা' বলা যায়।

সক্রিয় উদ্যেগে সত্য গোপন করে মিথ্যা বর্ণনাকারীর মাধ্যমে কৌশলের আশ্রয়ে কোন ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নাম প্রতারণা।

সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫৫ ধারা অনুসারে বিক্রেতা তার বিক্রীত বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ ক্রটি ক্রেতার কাছে প্রকাশ না করলে এক্ষেত্রে বিক্রেতা প্রতারণা করেছেন বলে গণ্য হবেন।

তামাদি আইনের ১৮ ধারায় প্রতারণার ফলাফল সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, 'যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি একটি মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করবার অধিকারী হয়, কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে তাকে সেই অধিকারের বিষয় অথবা যে স্বত্বের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠিত, সে বিষয় জানতে দেয়া হয় নাই অথবা যে ক্ষেত্রে ওই অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য যে দলিল প্রয়োজনীয়, তা প্রতারণা করে তার কাছ থেকে গোপন রাখা হয়েছে, সেই সকল ক্ষেত্রে-

  •  ক. প্রতারণার বিরুদ্ধে দোষী ব্যক্তির বা তার সহযোগীর বিরুদ্ধে, অথবা খ. যে ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে এবং মূল্যের বিনিময়ে ভিন্ন অন্য প্রকারে ওই দোষী ব্যক্তির মাধ্যমে স্বত্ব দাবি করে, তার বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি সর্বপ্রথম যে দিন প্রতারণার কথা জানতে পারে, সেদিন থেকে অথবা দলিল গোপন করা হয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সর্বপ্রথম যেদিন দলিলটি উপস্থাপন করতে সমর্থ হয় বা অপরপক্ষকে তা উপস্থাপন করার জন্য বাধ্য করতে পারে, সেদিন থেকে মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিলের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করতে হবে।'

২৩ ডিএলআর-এর 'নিম ফিন্যান্স লিমিটেড বনাম বশির আহমেদ রফিক'

মামলার সিদ্ধান্ত অনুসারে, তামাদি আইনের ১৮ ধারার সুবিধে পেতে হলে প্রতারণার কথা প্লিডিংয়ে উল্লেখ করতে হবে।

এ ধারার সাধারণ নীতি অনুসরনে ১ নং তফসিলের ৯২ নং অনেুচ্ছেদে আছে যদি কারও বিরুদ্ধে গোপনে কোন জাল দলিল সৃষ্টি করত তা রেজিষ্ট্রি করে রাখা হয়, তবে বাদীর এই গোপন দলিলের বিষয় জানার পর হতে তার বিরুদ্ধে তামাদিকাল গণনা শুরু হবে এবং এই গোপন জাল দলিলের বিষয় জানার তারিখ হতে তিন বৎসরের মধ্যে তার মামলা করা চলবে। অনুরুপভাবে কাউকে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে গোপনে তার বিরুদ্ধে কোন ডিক্রি হাসিল করে রাখলে, যেইদিন বাদী সবপ্রথম এরকম গোপন ডিক্রির বিষয় জানতে পারবে সেইদিন হতে এই প্রকার ডিক্রি রদের মামলা করা যাবে।

সময়সীমা কারণে যাতে কেহ প্রবঞ্চনা দ্বারা তার ন্যায্য অধিকার হতে বঞ্চিত বা প্রতারিত না হয় সেইজন্য প্রতারিত ব্যক্তি সুবিধার্থে তামাদি আ্ইনের এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতারণা প্রমান করতে পারলে বাদী এই ধারার সুযোগ দাবী করতে পারবে অন্যথায় নয়। প্রতারণা প্রমানের ভার সর্বদায় বাদী উপর থাকবে।

দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায় প্রতারণার সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে এবং ৪১৭ থেকে ৪২৪ ধারায় বিভিন্নভাবে প্রতারণার শাস্তি সম্পর্কে বিধান বর্ণিত হয়েছে।


একটি অক্ষমতা শেষ হবার পূর্বে আরেকটি অক্ষমতা শুরু হলে ঐ ব্যক্তি তামাদি আইনের কি কি সুবিধা পাবে:

১৯০৮ সালের ৬ ধারার বিধান মতে অক্ষমতার জন্য যে সমস্ত সুবিধা পাবে তা নিম্নরুপ:

অত্র আইনের ৬(২) উপধারায় বলা হযেছে যে যখন কোন ব্যক্তি ডিক্রী জারির বা দরখাস্ত দাখিলের জন্য অধিকারী হয় এবং যে সময় থেকে তামাদির মেয়াদ গণনা করা হবে সেই সময় ঐ ব্যক্তি নাবালক পাগল বা নির্বোধ থাকে তবে সেই ব্যক্তি আইনগত অক্ষমতা অবসান ঘটার পর অত্র আইনের ১ম তফসিলের তৃতীয় অনুচ্ছেদ বা ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির ৪৮ ধারার উল্লেখিত সময় বাদ দিয়ে মামলা করার অধিকারী।

অত্র আইনের ৬(১) উপধারায় বলা হয়েছে যে যখন কোন ব্যক্তির একটি আইনগত অক্ষমতার অবসান ঘটাবার পূর্বেই আর একটি আইনগত অক্ষমতা শুরুহয় তবে অনুরুপ ব্যক্তি উভয় আইনগত অক্ষমতার অবসান ঘটার পর তামাদি মেয়াদ গণনা শুরু হবে। ধারা ৬(১) উপধারা তামাদি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মামলা করার সুযোগ থাকবে।

উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে, নাবালক থাকা কালে মেহেদী একটি মামলা করার অধিকার লাভ করে। সে সাবালকত্ব হওয়ার পূবেই পাগল হয়ে যায়।এই ক্ষেত্রে মেহেদীর নাবালকত্ব ও পাগল অবস্থায় অবসান এর তারিখ হতে তার তামাদির সময় গণনা করতে হবে।

৬(৩) উপধারায় বলা হয়েছে যে, যদি উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত আইনগত অক্ষমতা অব্যাহত থাকে সে ক্ষেত্রে তার আইনগত প্রতিনিধি উপরে উল্লেখিত একই সময়ের মধ্যে মামলা বা দরখাস্ত পেশ করতে পারবে।

৬(৪) উপধারায় বলা হয়েছে যে, যদি মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধি ও আইনগত অক্ষমতা থাকে সেক্ষেত্রে অত্র আইনে ৬(১) এবং ৬(২) উপধারা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে।

উল্লেখ্য যে মামলা করার কারণ ঘটলে একমাত্র জীবিত ব্যক্তির অনুকূলেই তামাদি আইনের ৬ ধারায় বিধি বিধান মতে সময় বৃদ্ধি করা যায়। কিন্তু যে ব্যক্তির কোন অস্তিত্ব নাই সেই অজ্ঞাত ব্যক্তি উপরোক্ত ধারা সুবিধা পাবে না। কিন্তু গর্ভস্থ শিশু তামাদি আইনের ৬ ও ৮ দারার সুবিধা পেতে পারে। (ডিএল আর ১৫২০

আইনগত অক্ষমতার দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তি অক্ষমতার সময় তামাদির সময় সীমা নির্ধারনের ক্ষেত্রে অব্যাহতি পাবার অধিকারী কিন্তু তাই বলে এই ধারাটি সাবালকত্ব অর্জনের পূর্বে নাবালককে মামলা করার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে অক্ষম ব্যক্তির সুবিধাগুলো অলোচনা করা যায়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Snow
Maeuf Hossen Jewel

Below Post Ad

Snow
Maruf Hossen Jewel

Ads Area

Snow
Maruf Hossen Jewel