★ব্রিটিশ আমলে প্রথম ল’ কমিশন দেওয়ানি কার্যবিধির একটি খসড়া প্রস্তুত করেছিল, যার কোন কার্যকারিতা ছিল না। পরবর্তীতে ২য় ল’ কমিশনের আমলে ১৮৫৭ সনে স্যার। বারনেস পিকক দেওয়ানি কার্যবিধির একটি খসড়া বিল পেশ করে এবং এই বিলটি ১৮৫৯ সনে ৭ নং আইন হিসাবে পাশ করা হয়। অর্থাৎ দেওয়ানি আইন সম্পর্কিত পদ্ধতিগত আইন সর্বপ্রথম প্রণয়ন বা বিধিবদ্ধ (Codified) করা হয় ১৮৫৯ সালে। ১৮৭৭ সালে (Act No. X) সংশােধনীসহ নতুন দেওয়ানি কার্যবিধি প্রণীত হয়। পুনরায় ১৮৮২ সনে (Act No. XIV) সংশােধীত হয়, এভাবে বিভিন্ন সংশােধনীর পর, সর্বশেষ ২১ শে মার্চ ১৯০৮ সালের ৫ নং আইন দ্বারা বর্তমান দেওয়ানি কার্যবিধি ১৯০৮ পাশ করা হয়। ২০১২ সালে দেওয়ানি কার্যবিধি সর্বশেষ সংশােধন করা হয়।
★দেওয়ানি কার্যবিধি ১৯০৮ হচ্ছে, একটি পদ্ধতিগত আইন (Procedural Law or Adjective Law)। একটি দেওয়ানি প্রকৃতির মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেওয়ানি আদালতসমূহ কোন পদ্ধতি ব্যবহার করবে, কিভাবে একটি মামলা বা মােকদ্দমা রুজু বা দাখিল বা দায়ের করিতে হয়, মামলার আরজি এবং লিখিত জবাব, সমন জারি, শুনানীর দিন নির্ধারণ, শুনানীর দিন পক্ষসমূহের এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের সাক্ষীদের হাজীরা বা উপস্থিতি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন (Agrument), রায় ঘােষণা, ডিক্রি জারি ও বলবৎ করা, আপিল, রিভিশন ও রিভিউ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দেওয়ানি কার্যবিধি ১৯০৮ আলােচনা করে।
#গুরুত্বপূর্ণ_তথ্যসমূহ
★সর্ব প্রথম বিধিবদ্ধ হয়-----------১৮৫৯ সালে।
★বর্তমান আইনটি প্রণয়ন (Enacted)----১৯০৮ সালের ২১শে মার্চ
★১৯০৯ সনের ১লা জানুয়ারী কার্যকর হয়----
★মােট ধারা----------১৫৮ টি।
★মোট---৫১ টি অর্ডার।
★পদ্ধতিগত (Adjective/Procedural) আইন।
★দেওয়ানি কার্যবিধি ১৯০৮ হচ্ছে, একটি পদ্ধতিগত আইন (Procedural Law or Adjective Law)। একটি দেওয়ানি প্রকৃতির মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেওয়ানি আদালতসমূহ কোন পদ্ধতি ব্যবহার করবে, কিভাবে একটি মামলা বা মােকদ্দমা রুজু বা দাখিল বা দায়ের করিতে হয়, মামলার আরজি এবং লিখিত জবাব, সমন জারি, শুনানীর দিন নির্ধারণ, শুনানীর দিন পক্ষসমূহের এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের সাক্ষীদের হাজীরা বা উপস্থিতি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন (Agrument), রায় ঘােষণা, ডিক্রি জারি ও বলবৎ করা, আপিল, রিভিশন ও রিভিউ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দেওয়ানি কার্যবিধি ১৯০৮ আলােচনা করে।
#গুরুত্বপূর্ণ_তথ্যসমূহ
★সর্ব প্রথম বিধিবদ্ধ হয়-----------১৮৫৯ সালে।
★বর্তমান আইনটি প্রণয়ন (Enacted)----১৯০৮ সালের ২১শে মার্চ
★১৯০৯ সনের ১লা জানুয়ারী কার্যকর হয়----
★মােট ধারা----------১৫৮ টি।
★মোট---৫১ টি অর্ডার।
★পদ্ধতিগত (Adjective/Procedural) আইন।
অধ্যায় একঃ দেওয়ানি কার্যবিধি। আইন নং-------
-------৫ নং আইন। মােট তফসিল------
------৫টি সর্বশেষ সংশােধনী------ ------২০১৭ইং প্রথম তফসিলে বর্ণিত আছে--------------অর্ডার সমূহ।
-------৫ নং আইন। মােট তফসিল------
------৫টি সর্বশেষ সংশােধনী------ ------২০১৭ইং প্রথম তফসিলে বর্ণিত আছে--------------অর্ডার সমূহ।
১। ১৮৫৯ সালে প্রণীত দেওয়ানি কার্যবিধিতে অনেক ভুল ও অসম্পূর্ণতার Whitey Stokes নতুন করে ১৮৭৭ সালে দেওয়ানি কার্যবিধি তৈরি করেন।
২। সর্বপ্রথম দেওয়ানি কার্যবিধি Codified হয় ১৮৫৯ সালে।।
২। সর্বপ্রথম দেওয়ানি কার্যবিধি Codified হয় ১৮৫৯ সালে।।
★তত্ত্বগত আইন (Substantive Law)ঃ মুল বা তত্ত্বগত আইন সাধারণত পক্ষগণের অধিকার ও দায়-দায়িত্ব সংজ্ঞায়িত করে। যেমনঃ দন্ডবিধি, ১৮৬০, চুক্তি আইন, ১৮৭২ এবং সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭, এই আইনগুলাে শুধুমাত্র অধিকার বা শাস্তি বা প্রতিকার সংজ্ঞায়িত করে, সুতরাং এই আইনগুলাে হচ্ছে substantive Law বা তত্ত্বগত আইন বা মূল আইন বা মৌলিক আইন।
★পদ্ধতিগত আইন (Procedural Law)ঃ পদ্ধতিগত আইন মামলার বিচার করার পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণনা করে। যেমনঃ দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ মামলা বা মােকদ্দমা দায়ের এবং বিচার করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলােচনা। করে। সুতরাং দেওয়ানি কার্যবিধি হচ্ছে একটি Procedural law/ Adjecti' w বা পদ্ধতিগত আইন।। এছাড়াও তামাদি আইন, ১৯০৮; সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এবং ফৌজদারি কাবাব, ১৮৯৮ এগুলাে হচ্ছে পদ্ধতিগত আইন।
★পদ্ধতিগত আইন (Procedural Law)ঃ পদ্ধতিগত আইন মামলার বিচার করার পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণনা করে। যেমনঃ দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ মামলা বা মােকদ্দমা দায়ের এবং বিচার করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলােচনা। করে। সুতরাং দেওয়ানি কার্যবিধি হচ্ছে একটি Procedural law/ Adjecti' w বা পদ্ধতিগত আইন।। এছাড়াও তামাদি আইন, ১৯০৮; সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এবং ফৌজদারি কাবাব, ১৮৯৮ এগুলাে হচ্ছে পদ্ধতিগত আইন।
#বিভিন্ন সালের প্রশ্ন।
১। সর্ব প্রথম কখন সিভিল কোর্ট সংক্রান্ত পদ্ধতিগত আইন কোডিফাইড হয়?[BJSC-2013]
(ক) ১৮৭৭ সালে, (খ) ১৮৪৯ সালে ।
(গ) ১৮৫৯ সালে, (ঘ) ১৮৬৩ সালে । উঃ (গ)
ব্যাখ্যাঃ ব্রিটিশ ভারতে সর্ব প্রথম ১৮৫৯ সনে দেওয়ানি কার্যবিধি প্রণয়ন করা।
©©©
#দেওয়ানী কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তরঃ১। সর্ব প্রথম কখন সিভিল কোর্ট সংক্রান্ত পদ্ধতিগত আইন কোডিফাইড হয়?[BJSC-2013]
(ক) ১৮৭৭ সালে, (খ) ১৮৪৯ সালে ।
(গ) ১৮৫৯ সালে, (ঘ) ১৮৬৩ সালে । উঃ (গ)
ব্যাখ্যাঃ ব্রিটিশ ভারতে সর্ব প্রথম ১৮৫৯ সনে দেওয়ানি কার্যবিধি প্রণয়ন করা।
©©©
১. দেওয়ানি কার্যবিধির সম্পূর্ণ নাম কি ?
উত্তরঃ দেওয়ানি কার্যবিধি ১৯০৮ (The Code of Civil Procedure 1908)
২. দেওয়ানি কার্যবিধি কখন প্রবর্তিত/প্রণীত/প্রকাশিত হয় ?
উত্তরঃ: ২১ মার্চ ১৯০৮ সালে
৩. দেওয়ানি কার্যবিধি সর্ব প্রথম কখন প্রকাশিত হয় ?
উত্তরঃ ১৮৫৯ সালে
(২য় বার -১৮৭৭ সালে, ৩য় বার -১৮৮২ সালে, ৪র্থ বার-১৯০৮ সালে)
৪. দেওয়ানি কার্যবিধি ১৯০৮ সালের কত নং আইন ?
উত্তরঃ ৫ নং আইন
৫. দেওয়ানি কার্যবিধি কখন থেকে কার্যকর হয় ?
উত্তরঃ ১ জানুয়ারী ১৯০৯ থেকে
৬. দেওয়ানি কার্যবিধি কি ধরণের আইন ?
উত্তর: পদ্ধতিগত আইন (Procedural Law) ও কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত আইন
৭. দেওয়ানি কার্যবিধিতে মোট কতটি ধারা আছে ?
উত্তরঃ: ১৫৮ টি
৮. ১৮৮২ সালের দেওয়ানি কার্যবিধিতে মোট কতটি ধারা ছিল ?
উত্তরঃ ৬৫৩ টি
৯. ধারাগুলো পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারে কে ?
উত্তরঃ দেশের আইনসভা/জাতীয় সংসদ
১০. দেওয়ানি কার্যবিধিতে মোট কতটি আদেশ আছে ?
উত্তরঃ ৫১ টি
১১. দেওয়ানি কার্যবিধিতে মোট কতটি তফসীল (Schedule) আছে ?
উত্তরঃ ৫ টি
১২. আদেশগুলো পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারে কে ?
উত্তরঃ - সুপ্রীম কোর্ট (১২২ ধারা)
১৩. দেওয়ানি মামলা কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ সকল প্রকার স্বত্বের মামলাকে
১৪. নতুন প্রণীত রুলসগুলোতে সম্মতি লাগবে কার ?
উত্তরঃ রাষ্ট্রপতির
2. Definitions (সংজ্ঞা)
১. দেওয়ানি কার্যবিধির সংজ্ঞাসমূহ কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২ ধারায়
২. কোড (Code) এর সংজ্ঞা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২(১) ধারায়
৩. ডিক্রি (decree) এর সংজ্ঞা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২(২) ধারায়
৪. ডিক্রি (decree) কত প্রকার ?
উত্তরঃ - ২ প্রকার। যথা প্রাথমিক ডিক্রি ও চূড়ান্ত ডিক্রি।
৫. ডিক্রীদার (decree holder) এর সংজ্ঞা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২(৩) ধারায়
৬. যেই ব্যক্তির পক্ষে ডিক্রি মঞ্জুর করা হয় তাকে কি বলে ?
উত্তরঃ ডিক্রীদার (decree holder) বলে
৭. জেলা (District) এর সংজ্ঞা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২(৪) ধারায়
৮. বিচারক (Judge) এর সংজ্ঞা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২(৮) ধারায়
৯. দেনাদার/দায়িক (Judgement Debtor) এর সংজ্ঞা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২(১০) ধারায়
১০. যেই ব্যক্তির বিপক্ষে ডিক্রি মঞ্জুর করা হয় তাকে কি বলে ?
উত্তরঃ দেনাদার/দায়িক (Judgement Debtor) বলে
১১. বৈধ বা আইনানুগ প্রতিনিধি (Legal Representative) এর সংজ্ঞা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২(১১) ধারায়
১২. অন্তর্বর্তীকালীন মুনাফা (Means Profit) এর সংজ্ঞা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২(১২) ধারায়
১৩. নিয়মাবলী (Rule) এর সংজ্ঞা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২(১৮) ধারায়
১৪. রায় হচ্ছে কি ?
উত্তরঃ ডিক্রি বা আদেশের ভিত্তি
১৫. মিনস প্রফিট (Means Profit) এর শর্ত হচ্ছে কি ?
উত্তরঃ বেআইনী দখলকার ব্যক্তি সম্পত্তি হতে মুনাফা লাভ করতে হবে
১৬. আদেশ হচ্ছে কি ?
উত্তরঃ দেওয়ানী আদালতের কোনো সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ যা ডিক্রি নয় ।
১৭. CPC এর পূর্ণাঙ্গ রূপ কি ?
উত্তরঃ Code of Civil Procedure
১৮. দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করার কারণকে কি বলে ?
উত্তরঃ নালিশের কারণ (Cause of Action) বলা হয়
১৯. প্রত্যাখ্যানের আদেশ হচ্ছে কি ?
উত্তরঃ ডিক্রী (Decree)
২০. নামঞ্জুর (Reject Order) এর আদেশ/সিদ্ধান্ত কি ?
উত্তরঃ আদেশ (Order)
২১. দেওয়ানি আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কি করা যায় ?
উত্তরঃ রিভিশন (Revision) বা বিবিধ আপীল (Miscellaneous Appeal)
২২. পক্ষে ডিক্রী হলে কি করতে হয় ?
উত্তরঃ ডিক্রী জারীর আবেদন করতে হয়।
২৩. বিপক্ষে ডিক্রী হলে কি করতে হয় ?
উত্তরঃ আপীল আবেদন করতে হয়
২৪. কায়মোকাম কি ?
কি করতে হয় ?
উত্তরঃ আদেশ ২২(৩) মোতাবেক বাদীর উত্তরাধিকারী
এবং আদেশ ২২(৪) মোতাবেক
বিবাদীর উত্তরাধিকারীকে
মোকদ্দমায় পক্ষভুক্ত করাকে
কায়মোকাম বলে।
২৫. Lispendens কি ?
উত্তরঃ Lispendens (A pending suit) বা অমীমাংসিত মোকদ্দমা: "যথাযথ এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে কোনো বৈধ স্বত্ব সম্পর্কে কোনো মোকদ্দমা
চলাকালে বাদী বা বিবাদী নালিশী সম্পত্তি কোনোভাবেই হস্তান্তর করতে পারেনা" এই নীতিকে Lispendens বলে
২৬. Pendente lite nihil innovator এর অর্থ কি ?
উত্তরঃ "মোকদ্দমা রুজু অবস্থায় নতুন মোকদ্দমা সৃষ্টি করা উচিত নয়"
২৭. Lispendens নীতিটি কোথায় আছে ?
উত্তরঃ কমন ল এর একটি নীতি যা আছে সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ১৮৮২ এর ৫২ ধারায়