রীটের উৎপত্তি ও বিকাশ ইংল্যান্ডে। প্রথমে রীট ছিল রাজকীয় বিশেষ অধিকার। রাজা বা রাণী বিচারের নির্ধারক হিসাবে রীট জারি করতে পারত।। এক মাত্র রাজা বা রাণীর রীট জারির ক্ষমতা ছিল বলে বিশেষাধিকার রীট বলা হত। রাজা বা রাণী তাদের কর্মচারী বা অফিসারদের, তাদের কাজে বাধ্য থাকার জন্য অথবা কোন অবৈধ্য কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য রীট জারি করত। পরবর্তীতে রাজা বা রাণীর এই বিশেষ অধিকার নাগরিকদের অধিকারে চলে আসে। নাগরিকগণ সরকাররি কর্মকর্তাদের আচরণে ও কাজে সংখুব্ধ হয়ে রাজার কাছে আসতো, রাজা তার বিশেষ অধিকার বলে রীট জারি করত। রাজা বা রাণীর প্রতিনিধি হিসেবে ইংল্যান্ডের দুই ধরনের আদালতে নাগরিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রীট জারি করত।
রীট কথাটির অর্থ হলো আদালত বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘোষিত বিধান বা আদেশ । আদি এখতিয়ার দিয়েছে তা হল সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছে সংবিধানের ৪৪ নং অনুচ্ছেদে দেশের সকল নাগরিককে দিয়েছে মৌলিক অধিকার । নাগরিকের এরূপ মৌলিক অধিকার লঙ্গিত হলে তা বলবত করার এবং বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনাকে কার্যকর এখতিয়ারই হল হাইকোর্ট বিভাগের রিট এখতিয়ার ।তাই কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সংবিধানের ৪৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগে যে আবেদন করতে পারেন তাই হল রিট আবেদন । এইরূপ রিট আবেদন পেলে হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে মৌলিক অধিকার বলবত করার যে আদেশ দিতে পারেন তাই হল রিট ।
অন্যভাবে বলা যায়, রীট বলতে আমরা বুঝি উচ্চ আদালতের আদেশ।
রীট কত প্রকার ও কি কি?
রীট পাঁচ (৫) প্রকারঃ-
- ১। বন্দী প্রদর্শন রীট,
- ২। পরমাদেশ বা হুকুম জারি রীট
- ৩। নিষেধাজ্ঞামুলক রীট
- ৪। উৎপ্রেষণ রীট
- ৫। কারন দর্শাও রীট ।