💥তল্লাশি কিভাবে করা হয়?💥
🎯(WAL Group)🎯
🚩তল্লাশির পদ্ধতিঃ
তল্লাশির পদ্ধতি আলোচনা করলে তিনটি উপাদান পাওয়া যায়। যথাঃ
ক) তল্লাশি পূর্বে,
খ) তল্লাশির সময় এবং
গ) তল্লাশির পরে।
🚩নিম্নে তল্লাশির পদ্ধতি বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
📌ক) তল্লাশি পূর্বেঃ
🛡️তল্লাশির জন্য নির্ধারিত স্থানটি প্রয়োজনীয় পাহারা দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে। যাতে কোন রকম অপরাধ জনক জিনিস কেউ সরিয়ে নিতে না পারে। (পিআরবি ১৪৫ বিধি)
🛡️দুই/ তিন জন গণ্যমান্য স্থানীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে সাক্ষী করার জন্য হাজির করতে হবে। (ফৌঃকাঃবিঃ ১০৩(১) ধারা এবং পিআরবি বিধি ৪৬৫)
🛡️তল্লাশির জন্য নির্ধারিত স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট হতে অনুমতি নিতে হবে। (ফৌঃকাঃবিঃ ১০২(১) ধারা)
তল্লাশির স্থানে কোন পর্দানশীল মহিলা থাকলে তাদের শালীনতার প্রতি লক্ষ্য রেখে মহিলাদের সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তবে অপরাধী যাতে অপরাধজনক মালামাল নিয়ে মহিলার বেশ ধরে পালিয়ে যেতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
যে সমস্ত পুলিশ অফিসার তল্লাশির কাজে অংশ নিবে তাদেরকে পুলিশের পোষাক পরিহিত অবস্থায় থাকতে হবে। (পিআরবি ৯৫১ বিধি)
📌খ) তল্লাশির সময়ঃ
🛡️বাড়ির মালিক ও সাক্ষীদের সাথে রেখে তল্লাশি চালাতে হবে।
তল্লাশি পরোয়ানায় যে স্থানে তল্লাশির জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে শুধু সে স্থান তল্লাশি করতে হবে।
🛡️তল্লাশির সময় সন্দেহজনক ব্যক্তির শরীর ভালভাবে তল্লাশি করতে হবে।
বাড়ীর সন্দেহজনক প্রত্যেকটি জায়গায় ভালভাবে তল্লাশি করতে হবে।
বেআইনী ও বিরক্তিজনক তল্লাশি করা যাবে না।
🛡️হয়রানিমূলক তল্লাশি করা যাবে না এবং তল্লাশির সময় বাদীকে সাথে রাখা যাবে না।
নির্দিষ্ট জিনিস ও অপরাধজনক মালামাল ব্যতীত অন্য কোন মালামাল হস্তগত করা যাবে না।
📌গ) তল্লাশির পরেঃ
🛡️আটককৃত সকল মালামালের জব্দ তালিকা তৈরী করে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিয়ে এক কপি বাড়ীর মালিককে, এক কপি থানায় এবং এক কপি কোর্টে প্রেরণ করতে হবে।
কোন রকম অপরাধজনক মালামাল না পাওয়া গেলেও ৩ কপি জব্দ তালিকা তৈরী করে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে।
🛡️প্রতিটি অপরাধজনক মালামাল কোথায়, কিভাবে পাওয়া গেছে তা বিস্তারিত লিখে মালের গায়ে লেবেল লাগাতে হবে।
🛡️সাক্ষীদের এবং বাড়ীর মালিককে দিয়ে নিজের শরীর তল্লাশী করে দেখাতে হবে।
🛡️জব্দ তালিকা ছাড়া অন্য কোন মালামাল পুলিশ অফিসার নিয়েছে কি না তার স্বাক্ষর বাড়ীর মালিকের এবং সাক্ষীদের কাছ থেকে নিতে হবে।