Ads Area

Snow
Maruf Hossen Jewel

আদালতের কার্যক্রমের অপব্যহার রুখতে বা ন্যায়বিচার রক্ষার্থেই কেবলমাত্র দেওয়ানি আদালতের সহজাত

ক্ষমতা (Inherent Powers) প্রয়োগ করা উচিত:

এই বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণভাবে একমত। এই প্রসঙ্গে The Code of Civil Procedure, 1908 এর ১৫১ ধারাতে বলা আছে, ন্যায় বিচারের প্রয়োজনে অথবা আদালতের পরোয়ানার অবমাননা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আদেশ দানের ব্যাপারে আদালতের যে অন্তর্নিহিত ক্ষমতা রয়েছে, অএ আইনের (The Code of Civil Procedure, 1908) কোন বিধান দ্বারা তা সীমাবদ্ধ বা কোনভাবে প্রভাবিত হবে না।

আদালতের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা কোবল 

1) ন্যায়বিচারের প্রয়োজনে অথবা 

2) আদালতের পরোয়ানা অবমাননা প্রতিরোধে করা যাবে, অন্যথায় নয়। 

এটির অতিরিক্ত কোন নির্দেশ ১৫১ ধারাতে নেই। 

আদালতের কার্যক্রমের অপব্যহার রুখতে বা ন্যায়বিচার রক্ষার্থেই কেবলমাত্র দেওয়ানি আদালতের সহজাত

১৫১ ধারার তাৎপর্য বিশ্লেষণ বিভিন্ন নজিরে উল্লেখ আছে, যেসব ক্ষেত্রে বিচারকার্য পরিচালনায় অস্ত্র আইনের কোন বিধি প্রযোজ্য সেইসব ক্ষেত্রে আদালতকে অবশ্য বিধি অনুযায়ী চলতে হবে। বিধির বিপরীতে কোন পদ্ধতি অবলম্বনের স্বাধীনতা আদালতের নেই। কারণ আদালত বিচারক হলেও আইনের অধীন। 

যে ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট বিধান নেই, কেবল সেক্ষেত্রে আদালত ন্যায় বিচারের প্রয়োজনে অবস্থানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন। 

এই অবস্থাতেও আদালতকে আরও একটি নীতি মেনে চলতে হবে। তা হলো,ন্যায়পরায়ণতা নীতি। 

ন্যায়পরায়ণতা সর্বদাই আইনের অনুসরণ করে (Equity follows the law)। অতএব আদালত তদবস্থায় এমন কোন ব্যবস্থা নিতে পারবেন না যা The Code of Civil Procedure, 1908-তে বর্ণিত বিধিগুলির পরিপন্থি।

 তাকে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যা The Code of Civil Procedure, 1908 এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আদালতকে অন্তর্নিহিত ক্ষমতার বলে কোন অবস্থাতেই স্বেচ্ছাচারী হওয়ার বা খামখেয়ালীভাবে কোন কিছু করার অধিকার দেওয়া হয়নি।

কোন অবস্থাতে আদালত অন্তর্নিহিত ক্ষমতাবলে ব্যবস্থা নিতে পারবেন তার উল্লেখ বিভিন্ন নজিরে পাওয়া যায়। আবার কোন অবস্থাতে অন্তর্নিহিত ক্ষমতা বলে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না তার নির্দেশও বিভিন্ন নজিরে আছে।

 নজিরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিবাদির অনুপস্থিতিতে মোকদ্দমা একতরফা ডিক্রি হলে বিবাদি ৯ আদেশের ১৩ বিধি অনুযায়ী একতরফা ডিক্রি রূদ করত মূল মোকদ্দমা শুনানির জন্য আবেদন করতে পারে। কিন্তু 

বিবানি প্রার্থী যদি এই আবেদনের শুনানির দিন পুনরায় হাজির না হয় এবং তসবস্থায় তার দরখাস্ত অগ্রাহ্য হয়, তখন বিবাদি প্রার্থীর আদালতের এই আদেশ রদ করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান অস্ত্র আইনে নেই।

 অথচ ন্যায় বিচারের প্রয়োজনে আদালতের এই প্রকার আবেদন শুনানির প্রয়োজ রয়েছে। 

এই অবস্থায় নজিরে আছে, বিবাদি প্রার্থী তার পূর্বের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার আদেশ রদ করার জন্য ১৫১ ধারানুযায়ী দরখাস্ত দিতে পারবেন এবং এই প্রকার দরখাস্ত আদালত ১৫১ ধারানুযায়ী দরখাস্ত দিতে পারবেন। 

এইপ্রকার দরখাস্ত আদালত ১৫১ ধারানুযায়ী বিবেচনা করবেন। ৯ আদেশের ১৩ বিধি অনুযায়ী দরখাস্ত যেভাবে শুনানি ও নিষ্পত্তি হয় পরবর্তী ১৫১ ধারানুযায়ী দরখাস্তও সে ভাবেই শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে।

উপরের আলোচনা থেকে এটা বলা যায় যে, আদালতের কার্যক্রমের অপব্যহার রুখতে বা ন্যায়বিচার রক্ষার্থেই কেবল দেওয়ানি আদালতের সহজাত ক্ষমতা (Inherent Powers) প্রয়োগ করা উচিত।

বাদীর অনুপস্থিতিজনিত কারণে কোন মোকদ্দমা খারিজ হলে উক্ত খারিজাদেশ রদের ক্ষেত্রে আদালতের সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ:

The Code of Civil Procedure, 1908 এর ১৫১ ধারা অনুযায়ী, আদালতের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা কোবল ন্যায় বিচারের প্রয়োজনে অথবা আদালতের পরোয়ানা অবমাননা প্রতিরোধে করা যাবে, অন্যথায় নয়। ১৫১ ধারার তাৎপর্য বিশ্লেষণ বিভিন্ন নজিরে উল্লেখ আছে যেসব ক্ষেত্রে বিচারকার্য পরিচালনায় অস্ত্র আইনের কোন বিধি প্রযোজ্য সেইসব ক্ষেত্রে আদালতকে অবশ্য বিধি অনুযায়ী চলতে হবে। বিধির বিপরীতে কোন পদ্ধতি অবলম্বনের স্বাধীনতা আদালতের নেই। কারণ আদালত বিচারক হলেও আইনের অধীন। যে ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট বিধান নেই, কেবল সেক্ষেত্রে আদালত ন্যায় বিচারের প্রয়োজনে অবস্থানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

বাদীর অনুপস্থিতি জনিত কারণে কোন মোকদ্দমা খারিজ হলে উক্ত খারিজাদেশ রদের জন্য বানী আদেশ ৯ এর বিধি ৯ অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে রদের আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে বাদির প্রতিকার সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। তাই আদালতের সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগের কোন দরকার নেই। তবে বাদি যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করতে না পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে ১৫১ ধারার অধীনে আদালত সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের স্বার্থে খারিজাদেশ বন করতে পারেন।

51 DLR (AD) 54 মামলায় আপীল বিভাগ বলেন, নির্ধারিত সময়ের পরে বাদী আবেদন করে যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে আদালত ১৫১ ধারার অধীনে তা নিষ্পত্তি করতে পারবেন। সুতরাং, বাদীর অনুপস্থিতিজনিত কারণে কোন মোকদ্দমা খারিজ হলে উক্ত খারিজাদেশ রদ করার ক্ষেত্রে আদালতের সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Snow
Maeuf Hossen Jewel

Below Post Ad

Snow
Maruf Hossen Jewel

Ads Area

Snow
Maruf Hossen Jewel