তামাদি আইন-১৯০৮
এর ৩ ধারাঃ
তামাদি আইন-১৯০৮ এর শিরোনাম- তামাদি মেয়াদ অন্তে দায়েরকৃত
মোকদ্দমা খারিজ।
তামাদি আইনের ৩ ধারায় বলা আছে যে, অত্র আইনের ৪ থেকে ২৫ ধারা পযন্ত এবং অত্র আইনের ১ম তফসীলে বর্ণিত তামাদি মেয়াদ উক্তির্ণ হইবার পর যে কোন প্রকার মামলা, আপীল বা যে কোন প্রকার দরখাস্ত দাখিল করা হইলে বিবাদী পক্ষ উক্ত মামলা, আপীল বা দরখাস্তের বিষয়ে কোন রুপ প্রশ্ন উথ্থাপন না করিলেও তাহা (মামলা, আপীল বা যে কোন প্রকার দরখাস্ত) খারিজ হইবে।
পক্ষগণ একমত
হয়েও তামাদি মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারে না।
The Limitation Act-1908 এর ধারা ৩
অনুযায়ী ব্যাখ্যাঃ
তামাদি আইনের
৩ ধারা বিশ্লেষণঃ
তামাদি আইনের ৩ ধারা বিশ্লেষণ করিলে দেখতে পাই যে,
অত্র আইনের ৪ থেকে ২৫ ধারা পযন্ত এবং অত্র আইনের ১ম
তফসীলে বর্ণিত তামাদি মেয়াদ উক্তির্ণ হইবার পর যে কোন প্রকার
১) মামলা,
২) আপীল বা
৩) যে কোন প্রকার দরখাস্ত দাখিল করা হইলে তাহা খারিজ
হইবে।
৪) আইনে বর্ণিত মেয়াদ উক্তীর্ণ হইবার পর বিবাদী পক্ষ
উক্ত মামলা, আপীল বা দরখাস্তের বিষয়ে কোন রুপ প্রশ্ন উথ্থাপন না করিলেও তাহা খারিজ হইবে।
পক্ষগণ একমত হয়েও তামাদি মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারে না।
কারন The Limitation Act-1908 এর ধারার শেষ অংশে বলা আছে যে, যে কোন প্রকার মামলা,
আপীল বা যে কোন প্রকার দরখাস্ত দাখিল করা হইলে বিবাদী পক্ষ উক্ত মামলা, আপীল বা দরখাস্তের
বিষয়ে কোন রুপ প্রশ্ন উথ্থাপন না করিলেও তাহা খারিজ হইবে।
সুতরাং, তামাদি আইনের ৩ ধারা মোতাবেক পক্ষগণ একমত হয়েও
তামাদি মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারে না বা বৃদ্ধি করার কোন সুযোগ নাই।
উদাহরণঃ
ক সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারার মোতাবেক স্থাবর
সম্পত্তি দখল পুনরউদ্ধারের মামলা দায়ের করিল। সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা মোতাবেক
স্থাবর সম্পত্তি দখল পুনরউদ্ধারের মামলা করিতে হইবে তামাদি আইনের ১ম তফসীলের ১৪২ অনুচ্ছেদ মোতাবেক বেদখল
হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে। ক মামলা দায়ের করিলেন ১ বছর পর। উক্ত ক্ষেত্রে ক এর তামাদি আইনের
৩ ধারা মোতাবেক স্থাবর সম্পত্তি দখল পুনরউদ্ধারের মামলা খারিজ হইবে।
এবং উক্ত ক্ষেত্রে তামাদি আইনের ৩ ধারা মোতাবেক পক্ষগণ
একমত হয়েও তামাদি মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারে না বা বৃদ্ধি করার কোন সুযোগ নাই।