গ্রেফতার সম্পর্কে আইনের বিধান
গ্রেফতার,হামলা, মামলা প্রভৃতি শব্দ গুলি দৈনন্দিন জীবনে যেন স্বাভাবিক ব্যপার ! চলুন আজ সংক্ষেপে জেনে নিই গ্রেফতার সম্পর্কে আইনের বিধানে কি আছ :√ পুলিশ কোন ব্যাক্তিকে ওয়ারেন্ট বা ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অধীনে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহে বা অন্য কোন কারনে গ্রেফতার করার অধিকার রাখে।
√ কার্যবিধির ধারা ৮০ অনুসারে ওয়ারেন্ট এর অধীনে গ্রেফতার এর ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি ওয়ারেন্ট দেখতে চাইতে পারেন ।
√ বাংলাদেশ সংবিধান এর অনুচ্ছেদ ৩৩ অনুসারে, গ্রেফতারকৃত কোন ব্যাক্তিকে আটকের কারন না জানিয়ে আটক রাখা যাবে না ; আটক ব্যাক্তিকে তার মনোনীত আইনজীবীর সাথে পরামর্শের বা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এতে আরও বলা আছে যে, গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিকে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হাজির করতে হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেট এর আদেশ ব্যাতিত তাকে ২৪ ঘণ্টার বেশি আটক রাখা যাবে না।
√ আমলযোগ্য অপরাধ ও অ-আমলযোগ্য অপরাধ বলতে কি বুঝায় ?
আমলযোগ্য অপরাধ বলতে সেই সকল অপরাধকে বুঝায় যে অপরাধ সংঘটনের সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ ছাড়াই ঘটনার তদন্ত শুরু করতে পারবেন এবং আসামীকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪ ধারার বিধান মতে, আমলযোগ্য ঘটনার প্রত্যেক টি সংবাদ এজাহার হিসাবে গণ্য হবে এবং সরকারের নির্ধারিত ফরম মোতাবেক বইয়ে নথিভুক্ত হবে।
অ-আমলযোগ্য অপরাধ বলতে সে সকল অপরাধকে বুঝায়, যে সকল অপরাধ সংঘটন হবার পর, প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন ঘটনার তদন্ত করতে পারেন না এবং বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারবেন না। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৫ ধারায় অ- আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটন হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার করনীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে।