১৮৭৭ সালের
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫ ধারায় যে ৫ টি প্রতিকারের কথা বলা আছে তার মধ্যে (ক)
নং পন্থা হল কোন সম্পত্তির দখল গ্রহণ ও দাবীদারকে অরপণ। উক্ত দখল গ্রহণ ও
দাবীদারকে অরপণ এর বিষয়টি ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ থেকে ১১ ধারায়
উল্লেখ করা হইয়াছে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার
আইন, ১৮৭৭ এর ৮ ধারা অনুসারে কোন ব্যক্তি যদি কোন স্থাবর সম্পওির আইনগতভাবে দখলের
অধিকারী হয় তাহলে আদালত তাকে এই ক্ষেত্রে প্রতিকার প্রদান করবেন। এই ক্ষেত্রে
প্রতিকার হলো এই যে, আদালত দেওয়ানী কার্যবিধি অনুসারে নির্ধারিত পস্থায় তা
পুনরুদ্ধর করে দখল প্রত্যর্পন করবেন। উক্ত ক্ষেত্রে আদালত ১৯০৮ সালের দেওয়ানী
কার্যবিধির আদেশ ২১ এর ৩৫ ও ৩৬ বিধি অনুযায়ী ডিক্রি প্রদান করিবেন।
এই ধারার অধীন স্থাবর সম্পওির দখলের
অধিকারী ব্যক্তি বলতে শুধুমাত্র মালিকানা স্বত্ব আছে এমন ব্যক্তিকেই বুঝায় না। কোন
স্থাবর সম্পওির বন্ধক গ্রহীতা, ট্রাস্টী, ইজারাগ্রহী, প্রজা সকলেই ৮ ধারার অধীনে
দখলের অধিকারী ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হবে।
আইনগত পন্থা ব্যতীত অন্য কোন পন্থায় দখলচ্যুত হলেই কেবল মাত্র ৮ ধারার অধীনে প্রতিকার প্রার্থনা করা যায়। যেমন কোন স্থাবর সম্পওির মালিক ঐ সম্পওি কাউকে ইজারা প্রদানের পর - দখল হস্তান্তরের পর ইজারাগ্রহীতার বিরূদ্ধে ৮ ধারায় মামল করতে পারবে না। কেননা, ইজারার মাধ্যমে দখল হস্তান্তর একটি আইনগত হস্তান্তর। তবে ইজারা গ্রহীতার স্থাবর সম্পওি অন্য কেউ দখল করলে ঐ জবর দখলকারীর বিরুদ্ধে ইজারাগ্রহীতা ৮ ধারা অধীনে মামলা করতে পারবে।
সালের সুনির্দিষ্ট
প্রতিকার আইনের ৮ ধারায় ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করা যায়ঃ
১৮৭৭ সালের
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারায় ২ টি ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করা যায় যথাঃ
১। মালিক কতৃক
স্বত্বের উপর ভিত্তি করে মামলা দায়ের।
২। দখলি স্বত্বের উপর
ভিত্তি করে বা পুর্ববতী দখলের স্বত্বের উপর ভিত্তি করে।
*** দখলি স্বত্বের উপর
ভিত্তি করে বা পুর্ববতী দখলের স্বত্বের উপর ভিত্তি করে যে কোন ব্যক্তি মামলা দায়ের
করিতে পারে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার
আইনের ৮ ধারায় কে মামলা দায়ের করিতে পারেঃ
১। স্থাবর সম্পত্তি
দখলের অধিকারী ব্যক্তি বা সম্পত্তির মালিক।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার
আইনের ৮ ধারায় কি প্রমান করিতে হইবেঃ
১। স্থাবর সম্পত্তিতে
বাদীর স্বত্ব রহিয়াছে। দখল প্রমানের প্রয়োজন নেই।
উক্ত স্বত্ব ক্রয়কৃত
হতে পারে বা চুক্তি বলে হতে পারে বা উত্তরাধিকার সুত্রে হতে পারে বা দখলি স্বত্ব
হতে পারে।
১৮৭৭ সালের
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারায় মামলার কোর্ট ফিঃ
১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট
প্রতিকার আইনের ৮ ধারায় মামলার কোর্ট ফি এডভলেরম কোর্ট ফি এবং ৯ ধারায় এডভলেরম
কোর্ট ফি এর এর অর্ধেক কোর্ট ফি।
১৮৭৭ সালের
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারায় অধীনে কোন ডিক্রি প্রদান করিলে তাহার প্রতিকার
কিঃ
আপীল
১৮৭৭ সালের
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারায় সরকারের বিরুদ্ধে কি মামলা করা যায় কি-নাঃ
১৮৭৭ সালের
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারায় সরকারের বিরুদ্ধে কি মামলা করা যায়।
*** ৮ ধারা বেসরকারী
ব্যক্তি ও সরকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যায়।
বাদী যদি দখলচ্যুত
সম্পত্তিতে তার কোন প্রকার স্বত্ব বা মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে না পারে তাহলে আদালত
তাকে কোন প্রতিকার প্রদান করবে না। এই ধারার অধীনে প্রদত্ত অধিকার একটি স্থায়ী
প্রতিকার। কোন ব্যক্তি যদি বেআইনীভাবে দখলচ্যুত হয় তাহলে তাকে উক্ত সম্পওি থেকে
বেদখল হবার ১২ বছরের (তামাদি আইনের – ১৪২ বা ১৪৪ অনুচ্ছেদ) মাধ্যে দখল
পুনরুদ্ধারের মামলা করতে কতে হয়।
তবে, ৮ ধ্যরার অধীনে যেহেতু বাদীকে
আদালতে স্বত্ব প্রমাণ করতে হয়। ফলে তাকে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারার
অধীনে ঘোষণামূলক ডিক্রির জন্যও মামলা দায়ের করতে হবে।
স্থাবর সম্পওিতে স্বত্ব সাব্যন্ত হবার
পর বাদী ঘোষণামূলক ডিক্রির অধিকারী হয়। উক্ত ডিক্রি দেওয়ানী কার্যবিধির ২১ আদেশ ৩৫
বিধি অনুসারে জারিতে দিতে হয়। একই আদেশের ৩৬ বিধি অনুসারে প্রাপ্ত ডিক্রিজারীর
আদেশনামার এককপি স্থাবর সম্পওির প্রকাশ্য কোন স্থানে লটকিয়ে জারী করতে হয়।
উপরোক্ত
প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট স্থাবর সম্পওির দখলের অধিকারী কোন ব্যক্তি ৮ ধারার অধীনে
দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন।