ধারা-৩ সংঙ্গাঃ
আদালতঃ
সাক্ষ্য
আইনে আদালত বলতে সকল জজ, বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা সাক্ষ্য গ্রহনে আইনতগত ক্ষমতা প্রাপ্ত
ব্যক্তিদেরকে বুঝায় তবে মুন্সেফ জজ হলে ও সালিসকারী বা সালিস বিচারক আদালত নন।
সাক্ষ্যঃ
কোন
কিছু সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর করা বা আবিস্কার করার জন্য আদালতে যে সকল বিবৃতি বা দলিল
বা বস্তুকে উপস্হাপিত করা হয় থাকে সাক্ষ্য বলে।
★সাক্ষ্য দুইপ্রকার
যথাঃ (১)মৌখিক সাক্ষ্য (২) দালিলিক সাক্ষ্য।
★ মৌখিক সাক্ষ্য
দুইপ্রকার যথাঃ প্রাথমিক মৌখিক সাক্ষ্য গৌণ মৌখিক সাক্ষ্য।
মৌখিক
সাক্ষ্যঃ
৫৯
ধারায় মৌখিক সাক্ষ্যের ব্যাতিক্রম সম্পর্কে বলা হয়েছে দলিলের বিষয়বস্তু মৌখিক সাক্ষ্য
দ্বারা প্রমাণ করা যায় না কারন যেখানে লিখিত দলিল বা নথি থাকে সেখানে লিখিত দলিল বা
নথি দিয়ে দলিলের বিবরণ প্রমাণ করতে হয় কারণ এক্ষেত্রে এই মূল দলিলই সর্বোত্তম সাক্ষ্য।
ধারা-৬০
মৌখিক সাক্ষ্যের উপাদান সমূহঃ মৌখিক সাক্ষ্য প্রত্যক্ষ ভাবে দেখতে হবে বা শুনতে হবে
বা
ইন্দ্রিয়
অনুভবযোগ্য হতে হবে বা যা কোন ঘটনার মতামত বা মতামতের কারণসমূহকে উল্লেখ করবে।
তাই
অন্যের নিকট শোনা সাক্ষ্য গ্রহনযোগ্য নয় তবে
কিছু
কিছু ক্ষেত্রে শোনা সাক্ষ্য সাক্ষী হিসেবে গ্রহনযোগ্য হতে পারে যেমন ৬ ধারায় সংঘটিত
ব্যাপারে বা
৩২
এবং ৩৩ ধারার ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি বা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে
বা মৃত্যুকালীন
ঘোষনা
বা স্বীকৃতি বা স্বীকারোক্তির ক্ষেত্রে।
দলিলঃ
কোন
বস্তু বা পদার্থের উপর কোন অক্ষর বা সংখ্যা বা চিহ্ন ব্যবহার করে কোন তথ্য বর্ণনা বা
সংরক্ষণ
করাকে দলিল বলে।
যেমনঃ
মুদ্রিত, লিথোগ্রাফিক,ফটোগ্রাফিক, মানচিত্র পরিকল্পনা খোদাই করা বা ব্যঙ্গচিত্র ইত্যাদি।
অন্যান্য
আইনে দলিলের সংঙ্গা ও ধারা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল-
ক্রমি
নং বিষয় ধারা
১ম
সাক্ষ্য আইন ৩ ধারা
২য়
দন্ডবিধি ২৯ ধারা
৩য়
জেনারেল ক্লজেজ এ্যাক্ট ৩(১৬) ধারা
দালিলিক
সাক্ষ্য
সাক্ষ্য
আইনের ৩ধারা অনুযায়ী যে সকল দলিল আদালতে পদর্শনের জন্য বা অনুসন্ধানের জন্য দাখিল
করা
হয় সেই সব দলিলকে দালিলিক সাক্ষ্য বলে।
ধারা-৬১
দালিলিক সাক্ষ্যের প্রকারঃ
৬১
ধারায় দালিলিক সাক্ষ্যকে দুই ভাবে প্রমাণ করা যেতে পারে, যেমনঃ
প্রাথমিক
বা মৌলিক দালিলিক সাক্ষ্য
মাধ্যমিক
বা গৌণ দালিলিক সাক্ষ্য
ধারা-৬২
প্রাথমিক দালিলিক সাক্ষ্যঃ
প্রাথমিক
দালিলিক সাক্ষ্য বলতে মূল দলিলকে বুঝায় যা পরীক্ষণের জন্য আদালতে নিকঠ উপস্হাপন
করা
হয়। সর্বোত্তম সাক্ষ্য বা মূল সাক্ষ্য বলতে স্বয়ং দলিল বা প্রাথমিক দালিলিক সাক্ষ্যকে
বুঝায়।
ধারা-৬৩
মাধ্যমিক দালিলিক সাক্ষ্যঃ
মাধমিক
দালিলিক সাক্ষ্য বলতে বুঝায় - দলিলের জাবেদা নকল,যান্ত্রিক উপায়ে প্রণয়নকৃত নকল,
মূল
দলিলের প্রতিলিপি, অসম্পাদিত দলিলের সাথে হুবহু মিল আছে এমন কোন দলিল,
নিজে
দেখে দলিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে মৌখিক বিবরণ।
ধারা-৬৫
ব্যাতিক্রম থাকা স্বত্বেও ৭টি ক্ষেত্রে মাধ্যমিক সাক্ষ্য দ্বারা দলিল প্রমাণ করা যায়।
১)যদি
মূল দলিলটি যার বিরুদ্ধে প্রমাণ করা হবে তার কাছে থাকে বা সে যদি নাগালের বাহিরে থাকে
বা
সে যদি আদালতের এখতিয়ারের বাহিরেে থাকে বা তাকে ৬৬ ধারায় নোটিশ দেওয়ার পরে ও সে
দলিলটি
উত্থাপন না করে।নিজে দেখে দলিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে মৌখিক বিবরণ।
৬৫)ব্যাতিক্রম
থাকা স্বত্বেও ৭টি ক্ষেত্রে মাধ্যমিক সাক্ষ্য দ্বারা দলিল প্রমাণ করা যায়।যেমনঃ
১)
যদি মূল দলিলটি যার বিরুদ্ধে প্রমাণ করা হবে তার কাছে থাকে বা সে যদি নাগালের বাহিরে
থাকে
বা
সে যদি আদালতের এখতিয়ারের বাহিরেে থাকে বা তাকে ৬৬ ধারায় নোটিশ দেওয়ার পরে ও
সে
দলিলটি উত্থাপন না করে।
২)
যার বিরুদ্ধে দলিল প্রমাণ করা হবে যদি সে বা তার কোন প্রতিনিধি দলিলের অস্তিত্ব বা
বিষয়
স্বীকার
করে নেয়।
৩)
যে ক্ষেত্রে মূল দলিল হারিয়ে গেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে।
৪)
যেক্ষেত্রে মূল দলিল সহজে পাওয়া যাবে না।
৫)
যে দলিলটি সরকারী
৬)
যেক্ষেত্রে মূল দলিলটি প্রত্যয়িত নকল সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারের বিধান আছে।
৭)
যেসকল দলিল আদালতে পরীক্ষা করা সুবিধাজনক নয়।
২)যার
বিরুদ্ধে দলিল প্রমাণ করা হবে যদি সে বা তার কোন প্রতিনিধি দলিলের অস্তিত্ব বা
বিষয়
স্বীকার করে নেয়।
ঘটনাঃ
ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য
কোন কিছুর অবস্হা বা কোন সম্পর্ক বা কোন ব্যক্তির মানুষিক অবস্হা বা
একজন
মানুষ শুনেছে বা দেখেছে বা বলেছে এরুপ কোন বিষয়ে সে নিজে সচেতন ছিল।
ঘটনা
দুইপ্রকার -যথাঃ ঘটনা ইন্দ্রিয়গাহ্য বিষয় মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।
প্রাসঙ্গিক
ঘটনাঃ
যে
বিষয়গুলো নিজে সরাসরি বিচার্য নয় কিন্তু অন্যান্য বিচার্য বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত
হতে
সাহায্য
করে অর্থাৎ ঘটনার গ্রহনযোগ্যতা ও ঐ ঘটনার সাথে অন্যান্য বিচার্য বিষয়ের যে সম্পর্কের
প্রকাশ
ঘটায় সেগুলোকে প্রাসঙ্গিক ঘটনা বলে।
সাক্ষ্য
আইনের ৫ থেকে ৫৫ ধারায় ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা শিরোনাম নিয়ে আলোচনা করা হলে ও
বিশেষভাবে
সাক্ষ্য আইনের ৫ থেকে ১৬ ধারায় ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সাক্ষ্য
আইনের ৫ ধারায় সাক্ষ্য দেওয়া যাবে দুটি ক্ষেত্রে, যথাঃ
বিচার্য
বিষয় সম্পর্কে
প্রাসঙ্গিক
বিষয় সম্পর্কে।
অর্থাৎ
সেই সব বিচার্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়া যাবে যে সব বিষয়ের অস্বিত্ব আছে বা
নাই।
ধারা-৫
যে সব বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়া যায়। সাধারণত দেওয়ানী মামলায় প্রাসঙ্গিক বিষয়ের জন্ম হয়
অর্থাৎ এক পক্ষের দাবী বা আরজী এবং অপর পক্ষের অস্বীকার বা লিখিত জবাব এবং এর সাথে
সম্পর্কযুক্ত সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণ করতে হয় আবার ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে ও প্রাসংগিক
বিষয়ে জন্ম হয় অর্থাৎ এক পক্ষের অভিযোগ এবং অন্য পক্ষের অস্বীকার এবং উভয় পক্ষের সাক্ষ্যপ্রমাণ
দ্বারা তা প্রমাণ করতে হয়।
বিচার্য
বিষয়ঃ
দেওয়ানী
কার্যবিধির আদেশ-১৪,বিধি-১ অনুযায়ী যে বিষয়ের উপর মামলার দাবী বা অস্বীকৃতির কোন অস্বিত্ব
বা অস্বিত্বহীনতা বা দায় বা অক্ষমতা নির্ভর করে থাকেই বিচার্য বিষয় বলে।
বিচার্য
বিষয় দুই প্রকার, যথাঃ
১)তথ্যগত
বিচার্য বিষয় ২)আইনগত বিচার্য বিষয়।
সাধারনত
তথ্যগত বিচার্য বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হয়।
সাক্ষ্য
আইনের সাধারণ বিধান হচ্ছে বিচার্য বিষয়গুলো সম্পর্কে সাক্ষী উপস্হিত করার অধিকার
মামলার
উভয়পক্ষকে দেওয়া হয়েছে। বিচার্য বিষয়ের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ সাক্ষ্য হিসেবে যে সব বিষয়
উপস্হাপন করতে পারেন-
১)বিচার্য
বিষয় এবং বিচার্য বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রাসংগিক বিষয়( ধারা-৬-১৬)
২)
বিবৃতি = স্বীকৃতি( ধারা-২৩.২৪.৩১) বা অপরাধ স্বীকারোক্তি( ধারা-২৪-৩০)
বা
শ্রুতিমূলক সাক্ষ্য ( ধারা-৩২-৩৩) বা বিশেষ অবস্হায় দেওয়া বিবৃত্তি( ধারা-৩৪-৩৮)।
৩)অন্য
মামলার রায় ধারা (৪০-৪৪)
৪)তৃতীয়
ব্যক্তির অভিমত ধারা (৪৫-৫১)
৫)পক্ষগণের
চরিত্র ধারা ( ৫২-৫৫)
প্রাসংগিক
বিষয় আবার দুপ্রকার, যথাঃ
প্রত্যক্ষ
প্রাসংগিক বিষয় বা Res gestac (ধারা ৬-৯ এবং১৪)
পরোক্ষ
প্রাসংগিক বিষয় বা Non Res gestac. ( ধারা ১০-১৩)
প্রত্যক্ষ
প্রাসংগিক বিষয়ঃ
ধারা-৬
যে সব ঘটনা একই কাজের অংশ সেগুলো প্রাসংগিক। মূলতঃ ৬ ধারায় প্রাসংগিক বিষয়ের সংঙ্গা
দেওয়া হয়েছে এবং ৭,৮,৯ ও ১৪ধারায় তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ধারা-৭
যে সব ঘটনার উপর ভিত্তি করে বিচার্য বিষয়ের সৃষ্টি বা কারণ বা পরিণাম ঘটে সেগুলো প্রাসংগিক।
ধারা-৮
বিচার্য ঘটনা সংঘটনের উদ্দেশ্য অভিপ্রায়, প্রস্তুতি এবং পূর্ববর্তী ও পরবর্তী কার্যক্রম
প্রাসংগিক।
ধারা-৯
প্রাসংগিক ঘটনা উপস্হাপন করার জন্য যে বিষয় গুলো আবশ্যক সেগুলো প্রাসংগিক।
ধারা-১৪
যে সব ঘটনা মনের বা দেহের অবস্হা, জ্ঞান, সরল বিশ্বাস, অবহেলা, অনুভূতি প্রকাশ করে
তা প্রাসংগিক।
পরোক্ষ
প্রাসংগিক বিষয়ঃ
ধারা-১০
অভিন্ন অভিপ্রায়ের লক্ষে ষড়যন্ত্রকারী দ্বারা যেকাজ বা কথা বলে সেগুলো প্রাসংগিক।
ধারা-১১
কোন ঘটনা বিচার্য বিষয়ে সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ হলে তা সাক্ষ্যে প্রাসংগিক।
ধারা-১২
যে সব ঘটনা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে সহায়তা করে দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে তখন চরিত্র প্রাসংগিক
অন্যথায় চরিত্র অপ্রাসঙ্গিক।
ধারা-১৩
অধিকার, প্রথা, সাক্ষ্যে প্রাসংগিক।
প্রমাণঃ
সাক্ষ্য
আইনে কোন একটি ঘটনাকে তিন ভাবে প্রমাণিত করা হয়ে থাকে,যেমনঃ
ক)
প্রমাণিত খ) মিথ্যা প্রমাণিত গ) প্রমাণিত নয়।
প্রমাণিতঃ
যখন
আদালত কোন তর্কিত বিষয়ের অস্বিত্ব বিদ্যমান আছে বলে বিশ্বাস করেন বা অস্বিত্ব থাকার
সম্ভাবনা
বা বিশ্বাসযোগ্যতা এতটাই প্রবল যে যার ফলে একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি ও এর অস্বিত্ব আছে
বলে
বিশ্বাস
করা উচিত।
মিথ্যা
প্রমাণিতঃ
যখন
আদালত কোন তর্কিত বিষয়ের অস্বিত্ব নেই বলে বিশ্বাস করেন বা অস্বিত্ব না থাকার সম্ভাবনা
বা
বিশ্বাসযোগ্যতা
এতটাই প্রবল যে যার ফলে একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি ও এর অস্বিত্ব নেই বলে বিশ্বাস করা
উচিত।
অপ্রমাণিতঃ
আদালতে
যখন কোন তর্কিত বিষয় প্রমাণিত নয় বা মিথ্যা প্রমাণিত নয় বলে গণ্য হবে তখন ঐ তর্কিত
বিষয়কে
অপ্রমাণিত বলে।
অনুমানঃ
কোন ঘটনাকে প্রমাণ ছাড়া সাময়িক ভাবে ধরে নেওয়ার বা মেনে নেওয়াকে অনুমান বলে।
অনুমান
তিন প্রকার,যথাঃ
১)
May Presume/অনুমান করা যাবে
২)
Shall Presume /অবশ্যই প্রমাণিত বলে অনুমান করবেন
৩)
Conclusive Proof/চুরান্ত প্রমাণ।
প্রথম
দুইপ্রকার খন্ডনযোগ্য এবং তৃতীয় প্রকার অনুমান বা চুড়ান্ত অনুমান সব সময় অখন্ডনযোগ্য।
১)
May Presume/অনুমান করা যাবেঃ(ধারা ৮৬,৮৭,৮৮,৯০ ও ১১৪)
যেখানে
May Presume বিধান থাকবে সেখানে আদালত দুটি কাজের যে কোন একটি কাজ করতে
পারবে
অর্থাৎ আদালত কোন একটি ঘটনাকে প্রমাণিত বলে ধরে নিতে পারেন যতক্ষণ উহা মিথ্যা
প্রমাণিত
না হয়। অথবা আদালত ঘটনাটি প্রমাণের জন্য আহবান করতে পারেন। ইহা খন্ডন যোগ্য।
ধারা-৮৬
কোন বিদেশী রাষ্ট্রের বিচারিক রেকড সম্পর্কে আদালত সঠিক ধরে নিতে পারেন।
ধারা-৮৭
বই, ম্যাপ, চার্ট সম্পর্কে আদালত ধরে নিতে পারেন।
ধারা-৮৮টেলিগ্রাম,
সংবাদবার্তা সম্পর্কে আদালত ধরে নিতে পারেন।
ধারা-৮৯দলিল
চাওয়ার পর তা দাখিল করা না হলে আদালত তা সঠিক বলে ধরে নিতে পারেন।
ধারা-৯০
আদালতে ৩০বছরের পুরোন কোন দলিল সঠিক হেফাজত হতে দাখিল করা হলে তা সঠিক
বলে
আদালত ধরে নিতে পারেন।
ধারা-১১৪
কোন স্বাভাবিক ঘটনাবলীর সাধারণ গতি,মানবিক আচরন,সরকারী বা বে-সরকারী
কার্যাবলীর
স্বাভাবিক নিয়মাবলীকে আদালত সঠিক বলে ধরে নিতে পারেন তবে যখন পর্যাপ্ত পরিমান
সাক্ষ্য
পাওয়া যাবে না তখন কেবল রাজসাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
২)
Shall Presume /অবশ্যই প্রমাণিত বলে অনুমান করবেনঃ (৭৯-৮৯,১০৫)
যেখানে
এই আইনের নির্দেশ আছে সেখানে আদালত কোন ঘটনা সম্পর্কে অবশ্যই অনুমান করবেন
উক্ত
ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত আদালত অবশ্যই উহা প্রমাণিত বলে বিবেচিত করবেন
তবে
ইহা
খন্ডন যোগ্য।
৩)
Conclusive Proof/চুরান্ত প্রমাণঃ (ধারা ৪১+১১২)
আইনে
যখন একটি ঘটনাকে অপর একটি ঘটনার চুরান্ত প্রমাণ বলে ঘোষণা করা হয় তখন আদালতে
প্রথমোক্ত
ঘটনাটি প্রমাণিত হইলে অপর ঘটনাটিও প্রমাণিত বলে গণ্য হইবে এবং তা মিথ্যা প্রমাণ করার
জন্য
সাক্ষ্য প্রদানের অনুমতি দিবেন না। কারন চুরান্ত প্রমাণ সব সময় অখন্ডনযোগ্য।
ধারা-৪১
কোন উপযুক্ত আদালত হতে বিবাহ, প্রবেট,অগ্রক্রয়, দেওলিয়াত্ব,নৌ-বাহিনী সংক্রান্ত মামলার
রায়
বা ডিক্রি দেওয়া হলে পৃথিবীর সকল আদালত তা মানতে বাধ্য।
ধারা-১১২
এই আইনে দুই ধরনের সন্তান জন্মদানের কথা বলা হয়েছে যা চুড়ান্ত অনুমান যোগ্য।
যেমনঃ
বিবাহিত অবস্হায় কোন সন্তান জন্মদান বিবাহের চুড়ান্ত প্রমান এবং
বিবাহ
বিচ্ছেদের ২৮০ দিনের মধ্যে পুনঃরায় বিবাহ ছাড়া কোন সন্তান জন্মদিলে তা হবে বৈধ সন্তান।
ধারা-১৭ঃ
স্বীকৃতি
স্বীকৃতি
হচ্ছে মৌখিক বা লিখিত বিবৃতি যা কোন বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সিদ্ধান্তে
অনুমানের
ইঙ্গিত প্রদান করে।
স্বীকৃতির
উপাদান হচ্ছে ৩টি, যথাঃ মৌখিক , লিখিত , ঈশারা
১৭
ধারায় স্বীকৃতি ২প্রকার যথাঃ মৌখিক স্বীকৃতি ও লিখিত স্বীকৃতি।
ধারা-১৮ঃ
যাদের বিবৃতি স্বীকৃতি বলে গণ্য হবে,তারা হচ্ছেন-
ক)মামলার
যে কোন একপক্ষ
খ)যে
কোন পক্ষের প্রতিনিধি
গ)
প্রতিনিধিত্ব মামলায় বাদী বা বিবাদী
ঘ)
মামলার বিষয় বস্তুুতে যার স্বার্থ আছে
ঙ)
যাদের নিকঠ হতে মামলার বিষয়বস্তুতে স্বত্ব অর্জন করা হয়েছে।
ধারা-১৯-২০
(ব্যাতিক্রম) তৃতীয় ব্যক্তির স্বীকৃতি।
যখন
কোন ব্যক্তি তৃতীয় কোন ব্যক্তির বিবৃতি মেনে নেওয়ার শর্ত দেয় তখন স্বীকৃতির সাধারণ
নিয়মের
ব্যাতিক্রম গঠে। যা সাক্ষ্য আইনের ১৯ ও ২০ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে।
ধারা-৩১ঃ
স্বকার্যজনিত বাধা বা Estoppel.
স্বীকার
বা স্বীকৃতি চুড়ান্ত প্রমাণ না হলে প্রমাণে স্বকার্যজনিত বাধা সৃষ্টি করে।
ধারা-২১ঃ
সাক্ষ্য আইনের ১৮-২০ ধারায় স্বীকৃত বিষয় গুলো প্রাসংগিক এই বিষয় গুলোতে যারা
স্বীকৃতি
দিবেন সেগুলো তাদের বা তাদের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ করা যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে
কিছু
ব্যাতিক্রম রয়েছে যেমন কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে তখন তৃতীয় ব্যক্তিদ্বারা বিষয়টি প্রমাণ
করা
যেতে
পারে বা স্বীকার যখন মানসিক বা দেহের অবস্হা প্রকাশ করে বা তা সমর্থন করে বা স্বীকৃতি
যখন
অন্যভাবে প্রাসংগিক হয় তখন তা পক্ষে প্রমাণ করা যায়।
ধারা-২২ঃ
দলিলের ক্ষেত্রে মৌখিক স্বীকৃতি প্রাসংগিক নয় তবে প্রাসংগিক কতক্ষণই হবে যখন কোন
দলিল
সম্পর্কে গৌণ বা মাধ্যমিক সাক্ষ্য উপস্হিত করা যায় বা দলিলে বিশুদ্ধতা সম্পর্কে যতক্ষণ
প্রশ্ন
উঠতে
থাকবে।
ধারা-২৩ঃ
দেওয়ানী মোকদ্দমায় স্বীকৃতি প্রাসঙ্গিক হবে না যদি উক্ত স্বীকৃতি সাক্ষ্য না দেওয়ার
শর্তে
দেওয়া
হয় বা উক্ত স্বীকৃতি সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য দেওয়া হবে না মর্মে পক্ষগন কোন চুক্তি করে।
স্বীকৃতি
দেওয়ানি ও ফৌজদারী উভয় মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে ও স্বীকারোক্তি শুধুমাত্র ফৌজদারী
মামলার
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
দোষ
স্বীকারঃ
যখন
কোন ব্যক্তি নিজের দোষ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে স্বীকার করে বা আপন স্বার্থের বিরুদ্ধে
স্বেচ্ছায়
বিবৃতি
দেয় তখন থাকে দোষ স্বীকার বা স্বীকারোক্তি বা Confession বলে।
স্বীকারোক্তি
দোষ স্বীকারকারীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
স্বীকারোক্তি
ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে দেওয়ানী মোকদ্দমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
দোষ
স্বীকার সম্পর্কে সাক্ষ্য আইনের ২৪-২৯ধারায় আলোচনা করা হয়েছে এবং তা কিভাবে লিপিবদ্ধ
করা হবে সে বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ও ৩৬৪ ধারা আলোচনা করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে
দোষ স্বীকারকে দুইভাবে করা হয়,যথাঃ-
Inculpatory
Confession বা নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকার
Ex-culpatory
Confession বা নিজেকে মুক্ত রেখে দোষ স্বীকার
১)Inculpatory
Confessionবা নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকার দুই প্রকার, যথাঃ-
নিজেকে
জড়িয়ে দোষ স্বীকার
বিচারিক
দোষ স্বীকার বা Judicial Confession
বিচার
বহির্ভূত দোষ স্বীকার বা Extra-Judicial Confession:
১)
বিচারিক দোষ স্বীকার বা Judicial Confession:
ম্যাজিস্ট্রেটের
নিকট স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে আসামীকে দন্ডিত করা যায়।
ম্যাজিস্ট্রেটের
নিকঠ দোষ স্বীকারোক্তিকে দন্ড প্রদানের একক ভিত্তি বলা হয়।
২)
বিচার বহির্ভূত দোষ স্বীকার বা Extra-Judicial Confession:
ম্যাজিস্ট্রেট
ব্যতিত অন্য কোন ব্যক্তির নিকঠ অকাট্য সাক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত স্বীকারোক্তি ছাড়া আসামীকে
দন্ডিত
করা যাবে না।
তবে
কিছু ক্ষেত্রে দোষ স্বীকার প্রাসংগিক হবে না, যেমন-
ধারা-২৪ঃ
কাউকে প্ররোচনা, প্রলোভন, ভয় বা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দোষ স্বীকার করানো হলে তা
প্রাসঙ্গিক
হবে না।
ধারা-২৫ঃ
পুলিশের নিকঠ দোষ স্বীকার অপ্রাসঙ্গিক হবে।
ধারা-২৬ঃ
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ের স্বীকারোক্তি অপ্রাসঙ্গিক হবে।
তবে
পুলিশের হেফাজতে থাকাবস্হায় যদি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকঠ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ এবং ৩৬৪
ধারায়
স্বীকারোক্তি দেওয়া হয় তবে তা গ্রহনযোগ্য হবে।
ধারা-২৭ঃ
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে পদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোন আলামত উদঘাটন হলে তা
প্রাসঙ্গিক
হবে।
ধারা-২৮ঃ
ভয়ভীতি বা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি থেকে মুক্ত হয়ে দোষ স্বীকার করলে তা গ্রহনযোগ্য হবে।
ধারা-২৯ঃ
দোষ স্বীকারোক্তি অন্যভাবে হলে তা অপ্রাসঙ্গিক হবে। কারন যদি কোন স্বীকারোক্তি আদায়
করা
হয় গোপন রাখার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে বা প্রতারনার মাধ্যমে বা মাতাল অবস্হায় বা
যে
প্রশ্নের উত্তর দিতে সে বাধ্য নয় অসতর্কতার ভিত্তিতে সেই প্রশ্নের স্বীকারোক্তি আদায়
করা হয়
তবে
সেই সব স্বীকারোক্তি অপ্রাসঙ্গিক হবে।
ধারা-৩০ঃ
নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকারোক্তি দিলে সেক্ষেত্রে শুধু অপরাধীর বিরুদ্ধে নয় এর সাথে
জড়িত
সকলের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ করা যেথে পারে।
যে
সকল ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসেবে আহবান যায় না তাদের বিবৃতিঃ
ধারা-৩২
সাক্ষ্য আইনের ৬০ধারা অনুযায়ী মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রত্যক্ষ হতে হবে অর্থাৎ যে শুনেছে
বা
দেখেছে বা অনুভব করেছে কেবল সেই ব্যক্তি সাক্ষ্য দিতে পারবে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে
যাদেরকে
সাক্ষীরুপে
ডাকা যায় না তাদের লিখিত বা মৌখিক বিবৃতি প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হবে।
সাক্ষ্য
আইনের ৩২ধারায় ৪শ্রেণীর ব্যক্তিদের কে আদালতে আহবান করা না গেলেও তাদের দেওয়া
সাক্ষ্য
গ্রহণযোগ্য হবে। যেমনঃ
১)
মৃত ব্যক্তি
২)
খুজে পাওয়া যাচ্ছে না এমন ব্যক্তি
৩)
সাক্ষ্য প্রদানে অক্ষম হওয়া ব্যক্তি
৪)
যাকে হাজির করা সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ।
উল্লেখিত
৪শ্রেণীর লোকের মৌখিক বা লিখিত বিবৃতি ৮টি ক্ষেত্রে সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক হবে,
যদি উক্ত বিবৃতি হয় -
১)
তার মৃত্যুর কারন সম্পর্কে [৩২(১)]
২)
তার স্বাভাবিক কাজ কর্মের রীতি নীতি ও পারিপার্শ্বিক পরিস্হিতি সম্পর্কে।[৩২(২)]
৩)
পেশাগত স্বার্থের পরিপন্থী আর্থিক বা মালিকানা সম্পর্কিত। [৩২(৩)]
৪)
জনগনের অধিকার, প্রথা বা সাধারণ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মতামত সম্পর্কে। [৩২(৪)]
৫)
কোন রক্তের বা বৈবাহিক বা দত্তকগ্রহণের কোন সূত্রের সাথে সম্পর্কিত। [৩২(৫)]
৬)
রক্ত, বৈবাহিক বা দত্তক সম্পর্কে কোন মৃত ব্যক্তির বিবৃতি যা উইল বা দলিলে বা পারিবারিক
বংশতালিকা বা কোন সমাধিপ্রস্তরে লিখিত আকারে থাকে। [৩২(৬)]
৭)
যখন কোন দলিল উইল বা লিপিভুক্ত হয় যা সাক্ষ্য আইনের ১৩(ক) ধারায় বর্ণিত কোন কারবারের
সাথে সংশ্লিষ্ট। [৩২(৭)]
৮)
কিছু সংখ্যক ব্যক্তি কর্তৃক পদত্ত এবং বিচার্য বিষয়ে সাথে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক কোন
মনোভাব উহাতে ব্যক্ত হয়। [৩২(৮)]
ধারা-৩২(১)
মৃত্যুকালীন ঘোষনা বা Dying Declaration:
সাক্ষ্য
আইনের ৩২(১)ধারা অনুযায়ী মৃত্যুকালীন ঘোষনা সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক হতে পারে যদি
তার মৃত্যুর আশংকা করে বিবৃতি দেন বা যে সকল ঘটনার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে সে সম্পর্কে
কোন মৌখিক বা দালিলিক বিবৃতি দেন তা হলে তা সাক্ষ্য হিসেব প্রাসঙ্গিক হবে।
মৃত্যুকালীন
ঘোষণা যে বিষয়ে প্রমাণের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে তা হলো তার মৃত্যুর কারণ ও মৃত্যু
সম্পর্কিত পারিপ্বার্শিক আবস্হা ও পরিস্হিতি। মৃত্যুকালীন ঘোষনাকরা যায় যে কোন ব্যক্তির
নিকঠ লিখিত ভাবে বা মৌখিক ভাবে বা ইশারায়।
ধারা-৩৩
সাক্ষ্য আইনে ৩৩ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি একবার সাক্ষ্য দেওয়ার পর পরবর্তী কোন মামলায়
বা একই মামলায় পরবর্তী পর্যায়ে পদত্ত বিবৃতি সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক হবে। যদি-
★উক্তসাক্ষী মৃত্যু
বরণ করেন
★তার সন্ধান না
পাওয়া যায়
★সে নতুন করে সাক্ষ্য
দেওয়ার জন্য অযোগ্য হয়ে পরে
★প্রতিপক্ষ সাক্ষীকে
সরিয়ে রাখে
★তাকে উপস্হিত করা
সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ।
তবে
শর্ত হচ্ছে
★পরবর্তী মামলা
একই পক্ষগনের মধ্যে হতে হবে বা
★ তাদের প্রতিনিধিদের
মধ্যে হতে হবে।
★প্রথম মামলার কার্যক্রমে
সাক্ষী কে জেরা করার অধিকার ও সুযোগ ছিল
★উভয় মামলার বিচার্য
বিষয়সমূহ মৌলিক ভাবে একই ছিল।
বিশেষ
পরিস্হিতিতে পদত্ত বিবৃতিঃ (ধারা ৩৪-৩৮)
ধারা-৩৪
হিসাবের খাতায় ব্যবসার রীতি অনুযায়ী লিখিত বিবৃতি
ধারা-৩৫
সরকারী খাতা,রেজিস্ট্রারে সরকারী কর্মচারী কর্তৃক লিখিত বিবৃতি
ধারা-৩৬
মানচিত্র,চাট পরিকল্পনায় প্রকাশিত বিবৃতি।
ধারা-৩৭
গণ-প্রকৃতিমূলক বিষয়ে পার্লামেন্টের কোন আইনে বা বিজ্ঞপ্তিতে প্রচারিত বিবৃতি প্রাসঙ্গিক
হবে।
ধারা-৩৮
সরকারের কর্তৃত্বাধীনে প্রকাশিত আইনগ্রন্হের বা আদালতের সিদ্ধান্তের রিপোট।
ধারা-৪০
প্রথম মামলার রায় পরবর্তী মামলার জন্য প্রাসঙ্গিক হবে। অর্থাৎ একই বিষয়ের উপর দ্বিতীয়
মোকদ্দমা খারিজ করতে পূর্ববর্তী মোকদ্দমার রায়কে প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য হিসেবে আদালত গ্রহণ
করতে পারেন।
এই
ধারার উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় মোকদ্দমার বিচার বারিত করার ক্ষেত্রে যে সব আইন রয়েছে
তা হলো দেওয়ানী কার্যবিধির ১১ধারায় দোবারা দোষ বা Res Judicata, ফৌজদারী কার্যবিধির
৪০৩ ধারায় দোবারা সাজা বা পূর্বে খালাস বা দন্ড প্রাপ্ত বা একই বিষয়ে কাউকে দুইবার
বিচারের সম্মুখীন করা যায় না নীতি।
পুনঃরায়
বিচার না করার বিধান-
ফৌজদারী
কার্যবিধি ৪০৪ ধারা
দেওয়ানী
কার্যবিধি ১১ ধারা
সাক্ষ্য
আইন ৪০ ধারা
জেনারেল
ক্লজেজ এ্যাক্ট ২৬ ধারা
সংবিধান
৩৫(২) অনুচ্ছদে
সাক্ষ্য
আইনের ৪০ধারা মূলত দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ধারা-৪১
কোন মামলার রায় আদেশ বা ডিক্রি যদি কোন ব্যক্তিকে কোন আইনগত পরিচয় অর্পন বা বঞ্চিত
করে, যার প্রভাব সার্বজনীন ও সর্বাত্মক হয় তাহলে উক্ত রায় আদেশ বা ডিক্রি পরবর্তী মামলায়
প্রাসঙ্গিক হবে যদি মামলাটি উইল সংক্রান্ত বা বিবাহ সংক্রান্ত বা এডমিরালটি সংক্রান্ত
বা দেউলিয়াত্ব বিষয়ক হয় তবে এই রায় আদেশ বা ডিক্রি উক্ত আইনগত পরিচয় ও অধিকার সম্পর্কে
চুড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে প্রাসঙ্গিক হবে।
বিশেষজ্ঞদের
অভিমতঃ (ধারা ৪৫-৫১)
ধারা-৪৫
সাক্ষ্য আইনের সাধারণ নিয়ম হচ্ছে কোন মতামতকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না তবে
সাক্ষ্য আইনের ৪৫ধারার ব্যতিক্রম হচ্ছে কোন Expert বা বিশেষজ্ঞ কোন ঘটনার প্রত্যক্ষ
সাক্ষী না হলে ও নিম্নে উল্লেখিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞের অভিমত সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক
হতে পারে যদি উক্ত মতামত হয় কোন -
১
বিদেশী আইন
২
বিজ্ঞান
৩
চারুকলা
৪
হস্তলিপি সনাক্তকরণের প্রশ্নে
৫
টিপসহি সনাক্তির প্রশ্নে ক্ষেত্রে
ধারা-৪৬
কোন ঘটনা বিশারদের মতামতকে সমর্থন করলে বা এর সাথে সামঞ্জস্যহীন হলে ও তা প্রাসঙ্গিক
হবে।
ধারা-
৪৭ কোন ব্যক্তির হস্তলিপি প্রাসঙ্গিক হতে হলে তার হস্তলিপির সাথে পূর্ব পরিচিত কারো
মতামত প্রাসঙ্গিক হবে।
ধারা-৪৮
কোন অধিকার বা প্রথা সম্পর্কে যিনি জানেন তার মতামত প্রাসঙ্গিক হবে।
ধারা-৪৯
কোন প্রতিষ্টান বা পরিবারের প্রচলিত রীতিনীতি, এবং কোন ধর্মীয় বা দাতব্য প্রতিষ্টানের
সংবিধান ও তার পরিচালনা কিংবা কোন এলাকার বিশেষ শব্দ সম্পর্কে যার বিশেষ জ্ঞান আছে
তার মতামত প্রাসঙ্গিক হবে।
ধারা-৫০
দুইব্যক্তির মধ্যে কোন সম্পর্ক আছে কিনা সে বিষয়ে পরিবারের অন্য কোন সদস্যের মতামত
প্রাসঙ্গিক হবে।
চরিত্রঃ(ধারা
৫২-৫৫)
সাক্ষ্য
আইনের ৫২-৫৫ধারায় মামলার পক্ষগণের চরিত্রের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করা হলেও তা সাক্ষীদের
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। পক্ষগণের সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতা নির্ভর করে মামলাটি দেওয়ানী
না ফৌজদারী তার প্রকৃতির উপর।
দেওয়ানী
মোকদ্দমার ক্ষেত্রেঃ
ধারা-৫২
দেওয়ানী মোকদ্দমার ক্ষেত্রে পক্ষগণের চরিত্র প্রাসঙ্গিক এবং অপ্রাসঙ্গিক উভয় ধরনের
হতে পারে।
ধারা-৫৫
চরিত্র যদি ক্ষতিপূরণ কে প্রভাবিত করে তাহলে দেওয়ানী মোকদ্দমায় চরিত্র প্রাসঙ্গিক হতে
পারে।
ফৌজদারী
মামলার ক্ষেত্রেঃ
ধারা-৫৩
ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে আসামীর পূর্ব সৎচরিত্র প্রাসঙ্গিক।
ধারা-৫৪
ফৌজদারী মামলায় আসামীর চরিত্র খারাপ তা অপ্রাসঙ্গিক তবে তার চরিত্র যে ভালো এই মর্মে
সাক্ষ্য দেওয়া হলে তার খারপ চরিত্র প্রাসঙ্গিক হবে। পূর্ববর্তী দন্ডাদেশ খারাপ চরিত্রের
সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক।
যে
সকল ঘটনা প্রমাণের প্রয়োজন নেইঃ
সাক্ষ্য
আইনের সাধারণ নিয়ম হলো সকল প্রাসঙ্গিক বিচার্য বিষয়কে সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হয়
কিন্তু এই নিয়মের তিনটি ব্যাতিক্রম রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে সাক্ষ্য না দিলে ও তা প্রমাণিত
বলে গণ্য হবে।যেমনঃ
১)
বিচারিক ভাবে দৃষ্টিগোচর বিষয় সমূহ ৫৬-৫৭ধারা
৫৭ধারায়
১১টি বিষয়ের উপর আদালতকে বাধ্যতামূলক বিচারিক দৃষ্টিগোচর দিতে হয়।
১)
বাংলাদেশর সকল আইন সমূহ
২)
সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধবিধি সমূহ
৩)
আইনসভার কার্যক্রম
৪)
বাংলাদেশেরর সকল আদালত ও নোটারী পাবলিকের সীল মোহর ও তার ব্যবহারের ক্ষমতা প্রাপ্ত
ব্যক্তির ক্ষেত্রে।
৫)
কোন সরকারী পদে যোগদানের বিষয়ে সরকারী গেজেটের ক্ষেত্রে
৬)
স্বীকৃত কোন রাষ্ট্র, রাজা বা রাণীর অস্তিত্ব, উপাদি ও জাতীয় পতাকার ক্ষেত্রে
৭)
সময়ের বিভাগ সমূহ পৃথিবীর ভৌগলিক বিভাগসমূহ এবং সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি যেমনঃ উৎসব
ও সরকারী সমূহঃ
৮)
বাংলাদেশের ভূখন্ড সমূহঃ
৯)
বাংলাদেশের সাথে অপর রাষ্ট্র বা সংগঠনের বিরোধ আরম্ভ হওয়া,চলতে থাকা ও অবসান হওয়া।
১০)
আদালতের সদস্যবৃন্দের প্রতি
১১)
স্হল বা সমুদ্র পথের নিয়মাবলী।
২)ধারা-৫৮ঃ
স্বীকৃত বিষয় সমূহ অর্থাৎ কোন পক্ষ স্বীকার করলে অপর পক্ষকে তা প্রমাণ করার প্রয়োজন
নাই-
যেমনঃ
১)
মোকদ্দমার শুনানীর সময় স্বীকার করলে
২)
শুনানীর পূর্বে স্ব-হস্তে লিখে কোন বিষয় স্বীকার করলে
৩)
তারা তাদের জবাবের মাধ্যমে স্বীকার করেছে বলে গণ্য হলে
তবে
আদালত চাইলে কোন স্বীকৃত ঘটনার প্রমাণ চাইতে ও পারেন।
৩)
আইনের মাধ্যমে অনুমানযোগ্য বিষয় সমূহকে প্রমাণ করার প্রয়োজন নাই -৭৯-৯০ধারা
দলিল
সম্পাদনা ও প্রত্�
1২য়
সাক্ষ্য
২)ধারা-৫৮ঃ
স্বীকৃত বিষয় সমূহ অর্থাৎ কোন পক্ষ স্বীকার করলে অপর পক্ষকে তা প্রমাণ করার প্রয়োজন
নাই-
যেমনঃ
১)
মোকদ্দমার শুনানীর সময় স্বীকার করলে
২)
শুনানীর পূর্বে স্ব-হস্তে লিখে কোন বিষয় স্বীকার করলে
৩)
তারা তাদের জবাবের মাধ্যমে স্বীকার করেছে বলে গণ্য হলে
তবে
আদালত চাইলে কোন স্বীকৃত ঘটনার প্রমাণ চাইতে ও পারেন।
৩)
আইনের মাধ্যমে অনুমানযোগ্য বিষয় সমূহকে প্রমাণ করার প্রয়োজন নাই -৭৯-৯০ধারা
দলিল
সম্পাদনা ও প্রত্যয়নঃ(ধারা-৬৭-৭৩)
যে
সকল দলিল সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রত্যয়নের প্রয়োজন আছে বা নাই তা নিম্নে উল্লেখ
করা হলো-
প্রত্যয়ন
লাগবে, যেমনঃ-
১)
উইল দলিল
২)১০০টাকার
বেশি মূল্যের বন্দ্ধকী দলিল
৩)
স্হাবর সম্পত্তির দানপত্র দলিল।
তবে
উইল দলিল প্রবেটকৃত হলে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারের সময় প্রত্যয়ন লাগবে না।
যেসব
দলিল সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারে প্রত্যয়ন লাগবে না,যেমনঃ
১)
প্রবেটকৃত উইল দলিল
২)বিরুদ্ধপক্ষ
দলিলের সম্পাদনা স্বীকার করলে
৩)
৩০বছরের উর্ধ্বের পুরানো দলিল।
সরকারি
এবং বে-সরকারী দলিলঃ(৭৪-৭৮)
দলিলঃ
কোন বস্তু বা পদার্থের উপর কোন অক্ষর বা সংখ্যা বা চিহ্ন ব্যবহার করে কোন তথ্য বর্ণনা
বা সংরক্ষণ করাকে দলিল বলে। যেমনঃ মুদ্রিত, লিথোগ্রাফিক,ফটোগ্রাফিক, মানচিত্র পরিকল্পনা
খোদাই করা বা ব্যঙ্গচিত্র ইত্যাদি।
দলিল
দুই প্রকার যথাঃ
১)
সরকারী দলিল
২)
বে-সরকারী দলিল
সরকারী
দলিলঃ
ধারা-৭৪
সেই সমস্ত দলিল হলো সরকারী দলিল
১)
যে দলিল গুলো
১
কোন
সার্বভৌম কর্তৃপক্ষের
২
সরকারী
প্রতিষ্টান,আদালত বা ট্রাইব্যুনালের
৩
বাংলাদেশ,
কমনওয়েলথ বা বিদেশী আইন প্রনয়নকারী বিচার বা শাষন বিভাগের কার্যের লিপিবদ্ধ রেকর্ড।
৪
বাংলাদেশে
সরকারী ভাবে রক্ষিত ব্যক্তিগত দলিলের রেকর্ডপত্র।
৫
এছাড়া
ও কতিপয় সরকারী দলিল হলো নিবন্ধিত বিক্রয় দলিল,ভোটার তালিকা,রাজস্ব বিবরণী, খতিয়ান,জন্ম
এবং মৃত্যু সনদ,চার্জশীট,১৬৪ধারায় আসামীর স্বীকারোক্তি,রায় আদেশ ডিক্রি, এজহার, ওয়ারেন্ট
বা সমন ইত্যাদি
ধারা-৭৫
বে-সরকারী দলিলঃ সরকারী দলিল ব্যতিত বাদ বাকি সকল দলিলকে বে-সরকারী দলিল বলে।
কিছু
বে-সরকারী দলিল যেমনঃ আদম শুমারীর নিবন্ধন, এফিডেভিট, দানপত্র /উইল,প্রমিজরি নোট,ইজারা
দলিল,মূল বিক্রয় চুক্তি ও দলিল, বিভাগীয় তদন্তে সাক্ষীর জবান বন্দী ইত্যাদি।
ধারা-৭৬
সাক্ষ্য আইনের ৭৬ ধারা অনুযায়ী সরকারী কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ফি গ্রহন পূর্বক দলিলের
নিচের অংশে ইহা দলিলের অংশ বিশেষের সঠিক নকল,প্রত্যয়ন তারিখ,সরকারী কর্মকর্তার নাম,পদবী
ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত হলে সীলসহ জাবেদা নকল বা সহমোহর নকল বা প্রতিলিপি দিতে বাধ্য।
ধারা-৭৭
সহিমোহরকৃত জাবেদা নকল দাখিল করে সরকারী দলিলের বিষয়বস্তু প্রমাণ করা যায়।
১৪,
দলিল সম্পর্কে অনুমানঃ(৭৯-৯০)ক
ধারা-৭৯
আদালত জাবেদা বা সহিমোহরকৃত নকলকে মূল দলিলের নকল হিসেবে Shall Presume করে নিবেন।
ধারা-৮০
আদালত অবশ্যই ধরে নিবেন জজ,ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক লিপিবদ্ধ সাক্ষ্য সত্য ও সঠিক।
ধারা-৮২
ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে যে সব দলিল, সীল ও স্বাক্ষর প্রমাণ ছাড়া গ্রহনযোগ্য সেগুলো
সম্পর্কে আদালত Shall Presume করবে।
ধারা-৮৩
সরকার কর্তক প্রণীত নকশা বা পরিকল্পনা সম্পর্কে আদালত Shall Presume করবে।
ধারা-৮৪
সরকারী তত্বাবধানে আইন ও আদালতের সিদ্ধান্তের রিপোট আদালত Shall Presume করবে।
ধারা-৮৫
সরকারী প্রতিনিধির দ্বারা সম্পাদিত আমমোক্তারনামা সম্পর্কে আদালত Shall Presume করবে।
ধারা-৮৬
বিদেশী বিচার বিভাগীয় নথিপত্রের জাবেদা নকল সম্পর্কে আদালত Shall Presume করবে।
ধারা-৮৭
সাধারণ ও জনস্বার্থে তৈরি পুস্তক, মানচিত্র ও চার্ট সম্পর্কে আদালত May Presume করবে।
ধারা-৮৮
টেলিগ্রাফ অফিস হতে প্রেরিত তারবার্তা সম্পর্কে আদালত May Presume করবে।
ধারা-৮৯
আদালতে দাখিল করা হয়নি বা নোটিশ প্রদানের পরে ও তা পেশ করা হয়নি এরুপ দলিলের ক্ষেত্রে
আদারত Shall Presume করবে।
ধারা-৯০
দলিল ৩০বছরের পুরাতন হলে এবং সঠিক হেফাজত হতে আদালতে দাখিল করা হলে আদালত May
Presume করবে।
১৫,দালিলিক
সাক্ষ্য দ্বারা মৌখিক সাক্ষ্য বর্জনঃ(৯১-১০০)ক
ধারা-৯১
যেখানে দালিলিক সাক্ষ্য বর্তমান সেখানে মৌখিক সাক্ষ্য গ্রহনযোগ্য নয় অর্থাৎ কোন চুক্তি,
মন্জুরী বা সম্পত্তি বন্টনের শর্তাবলী বা লিখিত কোন দলিলের শর্তপূরণের বিষয়ে মৌখিক
সাক্ষ্য দেওয়া যাবে না তবে এক্ষেত্রে মাধমিক সাক্ষ্য দেওয়া যাবে।
ধারা-৯২
কোন চুক্তি বা দলিলের লিখিত কোন শর্ত পরিবর্তন বা সংযোজন বা বিয়োজনের ক্ষেত্রে মৌখিক
সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয় তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমনঃ ভয়ভীতি ,প্রতারনা, সম্পাদনার ত্রুটি,
পক্ষগণের অযোগ্যতা, আইনগত ভুল ইত্যাদির কারনে কোন দলিল অকার্য হয়ে পড়লে মৌখিক সাক্ষ্য
দেওয়া যাবে।
ধারা-৯৩
দলিলের ভাষা অস্পষ্ট বা ত্রুটিযুক্ত হলে তা ত্রুটিমুক্ত করতে মৌখিক ভাষা ব্যবহার করা
যাবে না।
ধারা-৯৬
দলিলে ব্যবহিত ভাষা কোন ব্যক্তির বা বস্তুর প্রতি প্রযোজ্য তা বুঝাতে বা শুন্যস্হান
পূরন করতে মৌখিক সাক্ষ্য দেওয়া যাবে।
ধারা-৯৮
দলিলে অস্পষ্ট ও সাধারণত বোধগম্য নয় এমন বর্ণ বা বিদেশী বা অপ্রচলিত শব্দ, কারিগরি
বিষয়ক, স্হানীয় ও আঞ্চলিক শব্দ সংক্ষেপ বা বিশেষ অর্থে ব্যবহিত শব্দের অর্থ বুঝানোর
জন্য সাক্ষ্য দেওয়া যাবে।
১৬,প্রমাণের
দায়ীত্বঃ(১০১-১১৩)
প্রমাণঃ
সাধারণত কোন ব্যক্তি যখন আদালতে কোন কিছু দাবী করে রায় কামনা করেন তখন নিজ পক্ষে উক্ত
দাবীর বিষয় সমূহকে সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণ করতে হয়। সর্বদাই ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে
বাদী এবং দেওয়ানী মোকদ্দমার ক্ষেত্রে ফরিয়াদীর উপর বিচার্য বিষয়ে তথ্যাবলি উপস্হাপন
করে প্রমাণের দায়ীত্ব থাকে।
ধারা-১০১
যে কোন বিষয়ে দাবী করবে সে বিষয়ে প্রমাণের দায়ীত্ব তার উপর থাকবে।
ধারা-১০২
মামলায় কোন পক্ষ যদি সাক্ষ্য না দেয় তবে যে পক্ষ হারবে তাকেই প্রমাণ করতে হবে।
ধারা-১০৩
কোন ব্যক্তি যদি আদালতকে কোন ঘটনার অস্বিত্ব বিশ্বাস করাতে চায় তবে তাকে তা প্রমাণ
করতে হবে।
ধারা-১০৪
কোন ঘটনাকে প্রমাণ করার পূর্বে অন্য একটি ঘটনার প্রমাণ করতে চাইলে যে প্রমাণ করতে চায়
তাকেই প্রমাণ করতে হবে।
ধারা-১০৫
আসামির মামলা যদি দন্ডবিধির সাধারন ব্যতিক্রম সমূহের মধ্যে পরে তবে অভিযুক্ত আসামিকেই
তা প্রমাণ করতে হবে।
ধারা-১০৭
কোন ব্যক্তি ৩০বছর জীবিত ছিল তার মৃত্যুর দাবী করলে দাবীকারীকেই প্রমাণ করতে হবে সে
মারা গেছে।
ধারা-১০৮
কোন ব্যক্তি গত ৭বছর ধরে নিখোজ আছেন কেউ তিনি জীবিত আছেন বলে দাবী করলে তাকে প্রমাণ
করতে হবে তিনি জীবিত।
ধারা-১০৯
জমিদার ও প্রজার মধ্যে অংশীদারত্বের বিদ্যমান সম্পর্কের অবসান হয়েছে বলে যে দাবী করবে
তাকেই তা প্রমাণ করতে হবে।
ধারা-১১০
দখলে থাকা ব্যক্তির মালিকানা কেউ অস্বীকার করলে তাকেই তা প্রমাণ করতে হবে।
ধারা-১১১
আস্হার পাত্র যিনি তাকেই সরল বিশ্বাস প্রমাণ করতে হবে।
ধারা-১১২
সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারায় কোন সন্তানকে বৈধ বলে চুড়ান্ত ভাবে অনুমান করা হবে যদি সন্তানটি
বিবাহকালীন সময়ে জন্ম গ্রহণ করে বা বিবাহ বিচ্ছেদের ২৮০দিনের মধ্যে মা অবিবাহিত থাকাবস্হায়
সন্তানটি জন্ম গ্রহণ করে। তবে যদি প্রমাণিত হয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকাবস্হায় পরস্পরের
মিলন সম্ভব ছিল না সেরুপ ক্ষেত্রে অবৈধতার প্রশ্নে অনুমান করা যাবে।
১৭,যে
সকল ঘটনা আদালত অনুমান করতে পারেঃ(১১৪)ক
সাক্ষ্য
আইনের ১১৪ ধারায় আদালতকে কিছু বিষয়ে অনুমান করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যেমনঃ -
যার
কাছে চোরাইমাল পাওয়া যাবে সে কারন দর্শাতে না পারলে আদালত তাকে চোর হিসেবে অনুমান করতে
পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য দ্বারা সমর্থিত না হলে দুস্কর্মের সহচর বলা যাবে না।
প্রেরিত
চিঠি যা স্বীকৃত ও পৃষ্ঠাঙ্খিত তাহা উপযুক্ত প্রতিদানের বিনিময়
বিচার
সংক্রান্ত ও সরকারী কাজকর্ম নিয়মিত ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
কোন
সাক্ষীকে আদালতে হাজির হতে বাধা দিলে আদালত মনে করতে পারেন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিলে
তা বাধাপ্রদান কারীর বিপক্ষে যেত।
যে
প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নয় সে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করলে আদালত মনে করতে
পারেন তা তার বিরুদ্ধে যেতে পারে।
যে
দলিল দ্বারা দায় আদায় হয় তা যদি দাতার নিকঠ থাকে তবে আদালত মনে কতরে পারেন দায়ের পরিসমাপ্তি
ঘটেছে।
১৮,প্রতিবন্ধকতাঃ১১৫-১১৭)
ধারা-১১৫
Estoppel বা প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে কোন ব্যক্তি তার পূর্বের কোন ঘোষনা বা কার্য অথবা নীরবতা
দিয়ে অন্য কোন বিষয়কে সত্য বলে বিশ্বাস করায় এবং সে বিশ্বাসে অপর কোন ব্যক্তি যে কাজ
করে তার দায় প্রথমোক্ত ব্যক্তি কোন ভাবেই অস্বীকার করতে পারে না।
ধারা-১১৬
স্হাবর সম্পত্তিতে ভাড়া থাকাবস্হায় ভাড়াটিয়া বা ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া অন্য
কোন পক্ষ একথা বলতে পারবে না যে ভাড়া নেওয়ার সময় সম্পত্তির মালিকের কোন মালিকানা ছিল
না। অথবা দখলকারের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করলে প্রবেশকারী একথা বলতে পারবে না যে প্রবেশের
সময় অনুমতিদাতার উক্ত সম্পত্তিতে কোন অধিকার ছিলো না।
ধারা-১১৭
কোন চেক বা বিল অফ এক্সেন্জের স্বীকৃতি দাতা একথা বলতে পারবে না যে ইহা প্রনয়নের সময়
তার ক্ষমতা ছিল না বা কোন জামিনগ্রহিতা বা অনুমতিগ্রহীতা একথা বলতে পারবে না যে জামিন
রা অনুমতি দানের সময় তার ক্ষমতা ছিলো না।
স্টপেল
নীতির দ্বারা মামলা দায়ের করা যায় না তবে Waiver দ্বারা মামলা দায়ের করা যায়। ১১৬ধারার
স্বীকৃতির নীতি শুধু মাত্র স্হাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
১৯,সাক্ষীর
যোগ্যতা ও বাধ্যবাধকতাঃ(১১৮-১৩৬)ক
কোন
ব্যক্তির সাক্ষী দেওয়ার যোগ্যতা তার বোধ শক্তির উপর নির্ভর করে এক্ষেত্রে কোন নিদিষ্ট
নিয়ম বা বয়স বাধা হতে পারে না।
সাক্ষীর
সাক্ষ্য দানের যোগ্যতাঃ
ধারা-১১৮
কোন ব্যক্তি জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন বুঝে উত্তর দিতে পারলেই তিনি হবেন সাক্ষ্যদানের যোগ্য
সাক্ষী। যেকোন বয়সের কোন ব্যক্তি কোন কারণে প্রশ্ন বুঝে উত্তর দিতে না পারলে আদালত
তাকে সাক্ষ্যদানে অযোগ্য বলে বিবেচনা করতে পারেন।
ধারা-১১৯
কোন বোবা সাক্ষী লিখে বা ইশারায় প্রকাশ্য আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারবেন যা আদালতে মৌখিক
সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
ধারা-১২০
স্ত্রী বা স্বামী আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে দেওয়ানী মোকদ্দমার ক্ষেত্রে যেমন একে অপরের
জন্য যোগ্য সাক্ষী তেমনি ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে ও সাক্ষী হিসেবে যোগ্য।
উত্তর
দানে সাক্ষীর বাধ্যবাধকতাঃ
সাক্ষী
যা জানে সে বিষয়ে সাক্ষ্য দানে বাধ্য তবে কিছু কিছু বিষয়ে তাকে বাধ্য করা যাবেনা।যেমনঃ
ধারা-১২১
উধর্বতন আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোন বিচারকের স্বীয় আচরন বা বিচার কালে তার গোচরে এসেছে
এমন কোন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দানের জন্য বিচারককে বাধ্য করা যাবে না। তবে বিচার কালে
বিচারকের সামনে যেসব ঘঠনা ঘটেছে সেসব বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করা যেতে পারে।
ধারা-১২২
স্বামী বা স্ত্রীর চলমান সাংসারিক জীবনের পত্রালাপ প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না তবে একে
অপরের বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা করলে সেক্ষেত্রে পত্রালাপ প্রকাশ করতে পারবে।
ধারা-১২৩
রাষ্টীয় অপ্রকাশিত দলিল-পত্রের ব্যাপারে কাউকে বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি ব্যতিত সাক্ষ্য
দানে বাধ্য করা যাবে না।
ধারা-১২৪
সরকারী পর্যায়ে পত্রালাপ বা জনস্বার্থের পরিপন্থী তথ্য প্রকাশে কোন সরকারী কর্মচারীকে
বাধ্য করা যাবে না।
ধারা-১২৫
অপরাধের সংবাদ পুলিশ,ম্যাজিস্ট্রেট, বা রাজস্ব কর্মকর্তা কিভাবে পেয়েছে তা প্রকাশের
জন্য তাদের বাধ্য করা যাবে না।
ধারা-১২৬
আইনজীবীর সাথে মক্কেলের যাবতীয় তথ্য, সংবাদ, দলিলের বিষয়বস্তু ও পরামর্শ মক্কেলের অনুমতি
ব্যতিত প্রকাশ করা যাবে না তবে মক্কেল বে-আইনী উদ্দেশ্যে সংবাদ আদান প্রদান করলে তা
প্রকাশ করা যাবে। এধারার বিধান আইনজীবীর কেরাণী, কর্মচারী, ও দোভাষীর ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য
এমনকি আইনজীবী হিসেবে নিযুক্তির অবসান হলে ও এধারা আইনজীবীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য থাকবে।
ধারা-১২৯
কোন ব্যক্তিকে তার আইন উপদেষ্টার সাথে গোপন পত্রালাপের বিষয় প্রকাশে বাধ্য করা যাবে
না।
ধারা-১৩০
মামলার পক্ষ ছাড়া কাউকে তার সম্পত্তির এমন দলিল দাখিলের জন্য বাধ্য করা যাবে না যে
দলিল দাখিল করলে তার কোন অপরাধ ধরা পড়ার আশংঙ্খা থাকে।
ধারা-১৩১
যে ব্যক্তি কোন দলিল আদালতে দাখিলের আইনত অধিকারী তার অনুমতি ব্যতিত অন্য কোন ব্যক্তিকে
দলিল দাখিলের জন্য বাধ্য করা যাবে না।
ধারা-১৩২
যে সব প্রশ্নের উত্তর দিলে সাক্ষী অপরাধী হিসেবে গণ্য হতে পারে সে সব প্রশ্নের উত্তর
দিতে সাক্ষীকে বাধ্য করা যাবে না এমনকি এসব প্রশ্নের উত্তরের ফলে সাক্ষীকে গ্রেফতার,
ফৌজদারীতে সোপর্দ বা শাস্তি দেওয়া যাবে না তবে এমন কোন প্রশ্নের উত্তরে আদালতে মিথ্যা
সাক্ষ্য দিলে তখন তাকে ফৌজদারীতে সোপর্দ করা যাবে।
ধারা-১৩৩
দুস্কর্মের সহযোগী আসামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে পারে তবে তার অসমর্থিত সাক্ষ্যের উপর
ভিত্তি করে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করলে তা বে-আইনী হবে না।
ধারা-১৩৪
মামলার কোন বিষয় প্রমাণের জন্য কতজন সাক্ষীর প্রয়োজন তার সংখ্যা নিদিষ্ট নয়।
ধারা-১৩৫
কোন ক্রমানুযায়ী সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হবে তা দেওয়ানী বা ফৌজদারী আইন নির্ধারন
করবে তবে কোন আইন না থাকলে আদালত তা নির্ধারন করবে।
ধারা-১৩৬
সাক্ষ্যের গ্রহনযোগ্যতা আদালত নির্ধারন করবে। কোন ঘটনার প্রমাণ যদি অন্য ঘটনার প্রমাণের
উপর নির্ভর করে তবে প্রথম ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়ার আগে শেষোক্ত ঘটনা অবশ্যই প্রথমে
প্রমাণ করতে হবে।
২০,সাক্ষীদের
পরীক্ষা (১৩৭-১৬৪)ক
বাদীর
পক্ষে যারা সাক্ষী দেন তাদের কে বাদীর সাক্ষী বা PW বলা হয় এবং বিবাদীর পক্ষে যারা
সাক্ষী দেন তাদেরকে বিবাদীর সাক্ষী বা DW বলে।
ধারা-১৩৭
সাক্ষীর পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাক্ষীকে জবানবন্দী, জেরা, পুুনঃজবানবন্দী করা হয়
ধারা-১৩৮
সাক্ষ্য আইনের ১৩৮ধারা অনুযায়ী সাক্ষীর পরীক্ষা গ্রহনের ক্রমদ্বারা হচ্ছে জবানবন্দী,
জেরা, পুণঃজবানবন্দী।
জবানবন্দী
ও জেরা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে হতে হবে তবে জেরার সময় জবানবন্দীতে পদত্ত বক্তব্যের বাহিরে
প্রশ্ন করা যাবে।
ধারা-১৪০
চরিত্র সম্পর্কে সাক্ষীকে তার জেরা ও পুণঃজবানবন্দী গ্রহণ করা যাবে।
ধারা-১৪১
যে প্রশ্নে মধ্যে উত্তরের ইঙ্গিত দেওয়া থাকে তাকে ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন বলে। যা সাধারণত
হ্যা বা না বোধক হয়। আদালতের অনুমতি ব্যতিত জবানবন্দী বা পুণঃজবানবন্দীতে ইঙ্গিতবাহী
প্রশ্ন করা যাবে না যেমন সাক্ষীর জবানবন্দীর ও পুনঃজবানবন্দীর সময় তবে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে
ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন করার জন্য আদালত অনুমতি দিবেন,যেমনঃ
ভুমিকা
বা পরিচয়মূলক বিষয়ে
স্বীকৃত
বা অবিসংবাদিত বিষয়ে
পূর্বেই
প্রমাণিত কোন বিষয়ে।
ধারা-১৪৩
জেরার সময় যে কোন বিষয়ে ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন করা যাবে।
ধারা-১৪৫
পূর্বের বিরোধিতাপূর্ণ বিবৃতি সম্পর্কে সাক্ষীকে প্রশ্ন করা যাবে তবে লিখিত বিবৃতির
সাথে বক্তব্যের বিরোধ দেখা দিলে প্রথমেই লিখিত বিরোধপূর্ণ অংশের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষন
করতে হবে।
ধারা-১৫৭
পূর্বের সামনঞ্জস্যপূর্ণ বিবৃতি বর্তমান সাক্ষ্যের সমর্থন জন্য বিবৃতি হিসেবে প্রমাণ
করা যেতে পারে।
ধারা-১৪৬
জেরার উদ্দেশ্য হচ্ছে তর্কিত বিষয়র সত্য উৎঘাটন যার ফলে যুক্তিসঙ্গত কারন ব্যতিত সাক্ষীকে
অপ্রাসঙ্গিক কোন প্রশ্ন করা যাবে না। কোন অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা হলে আদালত সাক্ষীকে
সতর্ক করে দেন সে উহার উত্তর দিতে বাধ্য নয়।
জেরার
সময় সাক্ষীকে যে সব বিষয়ে প্রশ্ন করা যায়, যার দ্বারা সাক্ষীর
সত্যবাদীতা
পরীক্ষা করা যায় বা পরিচয় ও মর্যাদা যাচাই করা যায় বা চরিত্রে আঘাত করে তার বিশ্বাস
যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি করা যায়।
এছাড়াও-
২১,বৈরী
সাক্ষী(১৫৪)
যে
পক্ষ কোন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেওয়ার আদালতে উপস্হাপন করে সাক্ষী যদি তার বিপক্ষে সাক্ষ্য
দেয় বা সত্য গোপন করে তখন সাক্ষী উপস্হাপন কারী সাক্ষীকে বৈরি সাক্ষী হিসেবে ঘোষনা
করতে পারে এবং তাকে জেরা করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করতে পারে।
২২,স্মৃতি
পুনরুজ্জীবিত করা (১৫৯)
আদালতে
সাক্ষী তার সাক্ষ্য দেওয়ার সময় স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে
সংশ্লিষ্ট দলিল দেখে উত্তর দিতে পারেন অর্থাৎ ঘটনার সময় সাক্ষী তার নিজের লেখা বা অন্যের
লেখা কোন কিছু দেখে নিতে পারেন বা আদালতের অনুমতি নিয়ে দলিলের নকল দেখেও উত্তর দিতে
পারেন বা কোন বিশেষজ্ঞ তার পেশা সম্পর্কিত পুস্তক দেখেও স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন।
এক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ধারা অনুযায়ী সাক্ষী যে দলিল দেখে তার স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত
করেন তা অপর পক্ষ চাইলে আদালতে দাখিল করতে হবে বা অপর পক্ষকে দেখাতে হবে এমন কি অপর
পক্ষ সাক্ষীকে উক্ত বিষয়ে জেরা করতে পারবে।
২৩,আদালত
কর্তৃক প্রশ্ন জিঙ্গাসা।(১৬৫)
সাক্ষ্য
আইনের ১৬৫ ধারায় আদালত সাক্ষীকে প্রশ্ন করতে পারেন বা কোন কিছু আদালতে উত্থাপন করতে
বলতে পারেন।
যেমনঃ
উপযুক্ত প্রমান সংগ্রহের জন্য আদালত পক্ষগন বা সাক্ষীদেরকে প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিক
প্রশ্ন জিজ্ঞাস করতে পারেন বা কোন দলিল উপস্হাপনের আদেশ দিতে পারেন তবে এসব প্রশ্নের
ব্যাপারে কোন পক্ষ আপত্তি করতে পারবে না এবং আদালতের অনুমতি ব্যতিত এসব সাক্ষীদের ও
জেরা করা যাবে না। যদি কোন পক্ষ সাক্ষ্য আইনের ১২১-১৩১ধারার অধীনে কোন প্রশ্নের উত্তর
দিতে বাধ্য না হন বা সাক্ষ্য আইনের ১৪৮-১৪৯ ধারার অধীনে যে সব প্রশ্ন করা সমীচীন নয়
আদালত সে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পক্ষ বা সাক্ষীকে বাধ্য করতে পারবেন না।
ধারা-১৬৭
যদি অন্যায় ভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ বা বর্জন করা ফলে আদালত মনে করেন আদালতের সিদ্ধান্তের
কোন পরিবর্তন হবে না তবে এই অজুহাতে আদালতে নতুন করে বিচার করা বা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
করা যাবে না।
বৈশিষ্ঠ
ঃ- ১। সাক্ষ্য দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় মামলায় প্রযোজ্য
২।
সাক্ষ্য আইন হলো লেক্স ফ্লোরি বা ফোরামের আইন বা আদালতের ( Lex fori or law of
forum or court)
সাক্ষ্য
আইন এর সংগা কোথাও দেওয়া হয় না। সাক্ষ্য হল এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে বিষয় প্রমান
বা অপ্রমান করা যায়।
ঘটনাকে
প্রমান্য , প্রকাশ্য ,বিদিত এবং সহজবোধ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় হলো সাক্ষ্য ।
সহজ
কথায়, যার মাধ্যমে কোন অস্তিত্ববা্ন অস্তিত্বহীন ঘটনার সত্যতা বা তাই অসত্যা প্রমান
করা যায় তাকে সাক্ষ্য বলে
দেওয়ানী
বিচার কার্যক্রম এ সাক্ষ্য দ্বারা নির্ধারন করা হয় অধিকার। ফৌজদারী বিচার কার্যক্রমে
নির্ধারণ করা হয় দায় তথা কেও কোন অপরাধ করেছে কিনা তা এবং তার শাস্তি।
কার্যক্রম
সাক্ষ্য আইন প্রযোজ্য।
সাক্ষ্য
আইন কে ইংলিশ জিরী সিস্টেমের ফল ।
জেরার
সুযোগ থাকে না বলে এফিডেফিট কোন সাক্ষ্য নয়।
সাক্ষ্য
২ প্রকার।
মৌখিক
সাক্ষ্( Oral Evidence)
লিখিত
সাক্ষ্য (Documentary Evidence)
মৌখিক
সাক্ষ্( Oral Evidence)
ধারা
৫৯ ঃ দলিলের বিষয় বস্তু ব্যাতিত সমস্ত ঘটনা মৌখিক সাক্ষ্য দ্বারা প্রমান করা যাবে।
যেমনঃ
লিখিত যে কোন জিনিস, লিখোগ্রাফিকৃত যে কোন শব্দ, ফটোগ্রাফক্ক্রিত মাঞ্চিত্র, নকশা ধাতু
বা প্রস্তর খন্ডের উপর কোন কিছু খোদাই করা,কোন ব্যাংগ চিত্র ,ভিডিও।
দলিল
দুই প্রকার
১।
সরকারী ( Public) দলিল( ধারা ৭৪)
২।
ব্যাক্তিগত ( privet ) দলিল ( ধারা ৭৫)
সরকারী
( Public) দলিল( ধারা ৭৪)
যে
সমস্ত দলিল কোন সার্বভৌম কর্তৃপক্ষের , সরকারি প্রতিষ্ঠান বা ট্রাইবুনালের, বাংলাদেশ
বা কমন ও্যেলথ অথবা বিদেশের আইন প্রনয়ঙ্কারী বিচার বিভাগীয় কোন অফিসারের কার্য বা কার্যের
লিপিবদ্ধ বিবরন,
সরকারী
দলিল ২ প্রকার। যথাঃ
১।
পৃথিবীর যে কোন রাষ্ট্রের সরকারি কার্যের রেকর্ড
২।
কেবল মাত্র বাংলাদেশ সরকারের কার্যাবলীর
২।
ব্যাক্তিগত ( privet ) দলিল ( ধারা ৭৫)
সরকারী
দলিলের বাইরে যা আছে তার সব গুলোই বেসরকারী দলিল।
আদালত
কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে পারে
বিদেশী
আইন বিষয়ে
বিজ্ঞান
বিষয়ে
চারু
কলার বিষয়ে
হস্তলিপি
বা টিপ সহি সনাক্তকরন বইষয়ে ( ধারা ৪৫)
ধারা
১৭ঃ স্বীকৃতির সংগাঃ
কোন
মৌখিক বা লিখিত উক্তি বা বিবৃতি যদি বিচার্য বা প্রাসংগিক বিষয় সম্পর্কে কোন অনুমানের
ইংগিত বহন করে সেটি স্বীকার
স্বীকৃতির
কোন সংগা দেওয়া নাই। কোন ব্যক্তি কর্তিক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করে যে বিবৃতি
দেয় তা স্বীকারোক্তি। স্বীকারোক্তি নিজেকে দিতে হয়।দেওয়ানি ও ফৌজদারি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য,
কিন্তু ফৌজদারি মামলায় বেশী প্রযোজ্য।
অন্যভাবে
স্বীকারক্তি ৩ প্রকার
১)
জুরিশিয়াল( ১৬৪ ধারা ফৌজদারি কার্যবিধি)
২।
রিটেক্টিভ বা প্রত্যাহারিত
৩।
নন জুরিশিয়াল( ১৬১ ধারা ফৌজদারি কার্যবিধি)
স্বীকারক্তি
চিহ্নিত করার জন্য এটি ১২৮-২৩ ধারার উপর নির্ভরশীল।
আসামী
যখন দোষ ভিন্ন অন্য স্বীকার পুর্বক বক্তব্য দেয় তা স্বীকারোক্তি।কিন্তু আসামী কর্তৃক
স্বীকারক্তির মাধ্যমে যখন দোষ স্বীকার হয় তখন তা হয়ে পড়ে দোষ স্বীকারোক্তি(Confession)।
২০ – ৩০ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি(Confession) এর কথা বলা হয়েছে।
সকল
দোষ স্বীকারোক্তিই স্বীকারোক্তি কিন্তু সকল স্বীকারোক্তি ই দোষ স্বীকারোক্তি নয়।
দোষ
স্বীকারোক্তি(Confession) সর্বদা বিবৃতিদানরীর বিরুদ্ধে যায়।
ধারা
২৪ ঃ প্রল্ভোন ,ভীতি প্রদর্ধন,প্রতিশ্রুতি যে কোন এক্টির মাধ্যমে যদি কোন স্বীকারোক্তি
নেয়া হয় তা গ্রহন যোগ্য নয়।
আসামী
অপরাধ কর্মটি স্বীকার করলে কিংবা যে সব ঘটনার সমন্ব্যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেগুলো স্বীকার
করলে তাকে Confession বলে।
কোন
লোক তার নিজের স্বার্থ বিরোধী কোন কথা বলে না।– এটাই Confession
Confession
কে ২ ভাগে ভাগ করা যায়
১।পুর্ণাংগ
২। অ – পুর্ণাংগ
স্বীকারোক্তি
দেওয়ার পর তা অস্বীকার করলে তাকে অস্বীকৃতি কনফেশসন বলে( reacted confession)
২৫
ধারা ঃ পুলিশ অফিসারের কাছে কোন প্রকার স্বীকারোক্তি গ্রহন যোগ্য নয়।পুলিশ অফিসার বলতে
যেকোন পুলিশ অফিসার কে বুঝাবে। গ্রামের চৌকিদার ও এর অন্তর্ভুক্ত ।
ধারা
২৬ ঃ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে যদি পুলিশ অফিসার ভয় ,ভীতি প্রদর্শন করে স্বীকারোক্তি
আসায় করে তাহলে তা গ্রহন যোগ্য হবে না।
–
আসামীর হতে প্রাপ্ত তথ্য , যতুটুকু গ্রহন করতে পারে- পুলিশ অফিসারের নিকট কোন আসামী
দোষ স্বীকার করলে ঐ স্বীকারের যতটুকু তথ্য উদঘাটন করা যায় ঠিক তত টুকু গ্রহন করা যা(
ধারা ২৭)
ধারা
১০১ঃ প্রমানের দায়(Burden of proof)
যে
প্রতিকার দাবী করবে তাকেই প্রমান করতে হবে।
যে
পক্ষ কোন কিছুর অস্বতিত্ত্ব দাবী করে তাকেই তা প্রমান করতে হয়।
প্রমানের
দায় নির্ধারিত দেওয়ানী মামলায় প্লিডিংস দ্বারা অর্থাৎ আরহি ও জবাব দ্বরা।আবার বিবাদীর
লিখিত জবাব মোতাবেক কোন দায় তৈরী হলে সে দায় বহন করতে হয় বিবাদি কেই অর্থাৎ বিবাদি
কেই তা প্রমান করতে হয়।
পক্ষানতরে
কোন ফৌজদারি মামলার প্রমানের জন্য প্রমানের দায় সর্বদা ফরিয়াদীর উপড় বর্তায়।
দায়
কে আরো ২ নাম দেওয়া যেতে পারে
১।
আইঙ্গত তথা প্লিডিংস নির্ভর দায়
২)
মামলা বা ইস্যু প্রতিষ্ঠার দায়।