সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের আতত্বায় কি ভাবে সুনির্দিষ্ট
প্রতিকার প্রদান করা যায় বা কোন কোন উপায়ে দেওয়ানী আদালত সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর
করেন।
কি ভাবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা যায়ঃ
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭ এর ৫ ধারা মোতাবেক ৫
ভাবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার করা যায় যেমনঃ
(ক) কোন সম্পত্তির দখল গ্রহণ এবং তা দাবীদারকে অর্পণের মাধ্যমেঃ
যেমনঃ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭ এর ৮ থেকে ১১
ধারায় সম্পত্তির দখল উদ্ধারের মাধ্যমে। আদেশাত্বকমুলক
প্রতিকার।
(খ) যা করার
ব্যাপারে আইনগতভাবে বাধ্যবাধকতা রয়েছে উক্ত পক্ষকে সেইরুপ কাজ করার আদেশ প্রদানের
মাধ্যমেঃ
যেমনঃ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭ এর ১২ ধারায়
চুক্তি সুনির্দিষ্ট বলবৎতের মাধ্যমে ও ৫৫ ধারায় বাধ্যতামুলক নিষেধাঞ্জার মাধ্যমে। ১২-৩০
ও ৫৫ ধারা। আদেশাত্বকমুলক প্রতিকার।
(গ) যা না
করার বিষয়ে আইনগতভাবে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, উক্ত পক্ষকে তেমন কাজ হতে বিরত থাকার মাধ্যমেঃ
যেমনঃ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭ এর ৫৪ ধারায়
স্থায়ী নিষেধাঞ্জার মাধ্যমে। ৫২, ৫৩,৫৪ ও ৫৭
ধারা। নিষেধমুলক প্রতিকার।
(ঘ) ক্ষতিপূরণের
রায় প্রদানের মাধ্যম ব্যতীত অন্য প্রকারে পক্ষ সমূহের অধিকার এবং ঘোষণার মাধ্যমে বা
ঘোষণামুলক ডিক্রির মাধ্যমেঃ
যেমনঃ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭ এর ৪২ ধারায়
ঘোষণামুলক ডিক্রির মাধ্যমে। ৩১-৪৩ ধারা। আদেশাত্বকমুলক
প্রতিকার।
(ঙ) রিসিভার
বা তত্ত্বাবধায়ক নিয়াগের মাধ্যমেঃ
যেমনঃ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭ এর ৪৪ ধারায়
রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে। আদেশাত্বকমুলক প্রতিকার।
নোটঃ
১) ৫ ধারায় ৫ ভাবে প্রতিকার প্রদান করা যায়।
২) ৫ ধারায় ১টি নিষেধমুলক প্রতিকার ও ৪টি আদেশাত্বকমুলক
প্রতিকার
৩) ৫ ধারায় ক্ষতিপুরণ ও আর্থিক ক্ষতিপুরনের সুনির্দিষ্ট
প্রতিকার না।
৪) ৭ ধারা মোতাবেক সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে দন্ডমুলক
প্রতিকার প্রদান করা যায় না।
নোটঃ