১৪৪ ধারার
বাংলাদেশ সংবধিানের ২৬ থেকে ৪৪ অনুচ্ছেদে নাগরিকের মৌলিক অধিকার প্রদান করা হইয়াছে। উক্ত অধিকার সমুহ বিধি নিষেধ সাপেক্ষে নিশ্চিত করা হইয়াছে। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ক্ষেক্রে ও প্রয়োজ্য।
গণউপদ্রব বা বিপদ, শান্তি শৃংখলা ভঙ্গ, দাঙ্গা, ঝগড়া, মানুষের জীবন বিনাশ, সম্পদের ক্ষতি বা জনগণের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনায় তাৎক্ষণিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট কতৃক জারিকৃত কার্যকর আদেশ জারির ক্ষমতা।
অথ্যাৎ রাষ্টের কোন স্থানে যদি গণ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বা হবার সম্ভাবনা দেখাদেয় এরুপ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট কতৃক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা কার্যকর আদেশ জারির মাধ্যমে গণ শান্তি নিশ্চিত করা।
ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন কোন এলাকায় শান্তি ভংগ বা উৎপাতের আশংকা আছে তাহলে তিনি তৎক্ষণাৎ উক্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করতে পারেন।
উদাহরণঃ
একই স্থানে, একই দিনে দুই পলিটিকাল দল সমাবেশের আহবান করেছে। তখন মারামারি হতেই পারে। মারামারি মানেই শান্তি ভংঙ্গ। সুতরাং ১৪৪ জারি করা যেতে পারে।
১৪৪ ধারার বিশ্লেষণঃ
১৪৪ ধারার আদেশ একটি নিষেধমুলক আদেশ।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ (১) ধারা মোতাবেক,
১) যে সকল ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বা সরকার অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিশেষ ভাবে ক্ষমতাবান অন্য কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় শ্রেণীর নয়) যদি মনে করেন যে অত্র ধারার আওতায় অগ্রসর হবার মত যথাযথ কারন রয়েছে এবং তাড়াতাড়ি প্রতিকার প্রদানের দরকার এবং তিনি মনে করেন যে তার নির্দেশ আইনত নিযুক্ত কোন ব্যক্তির প্রতি প্রতিবন্ধকতা, আঘাত বা মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তার প্রতি ঝুকি, দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রতিরোধের সম্ভাবনা আছে বা নিস্তারে সহযোগিতা করবে, তাহলে সে সব ক্ষেত্রে তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবেন। এই লিখিত আদেশে ঘটনার মূল বিষয়বস্তু বর্নিত থাকবে এবং তা ১৩৪ ধারায় বর্নিত পদ্ধতিতে জারি করতে হবে। ১৩৬ ধারা অনুযায়ী ১৪৪ ধারার আদেশ মাণ্য করা বাধ্যতামুলক।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ (২) ধারা মোতাবেক,
২) জরুরী পরিস্থিতিতে বা যে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর যথাযথ পদ্ধতিতে নোটিশ জারি সম্ভব নয়, সে সকল ক্ষেত্রে এই ধারার আদেশ একতরফাভাবে দেওয়া যাবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ (৩) ধারা মোতাবেক,
৩) এই ধারার আদেশ কোন বিশেষ স্থানে ঘন ঘন গমনকারী ব্যক্তি বা জনসাধারণের প্রতি সাধারণ ভাবে নির্দেশিত হতে পারে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ (৪) ধারা মোতাবেক,
৪) কোন ম্যাজিস্ট্রেট স্বতঃপ্রবৃত হয়ে বা কোন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির আবেদনক্রমে তার নিজের বা তার অধীনস্থ কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা তার স্থলাভিষিক্ত পুর্ববর্তি ম্যাজিস্ট্রেটের কোন আদেশ বাতিল বা পরিবর্তন করতে পারবেন।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ (৫) ধারা মোতাবেক,
৫) উক্তরুপ আবেদন পত্র পাওয়া গেলে ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনকারীকে শীঘ্র ব্যক্তিগতভাবে বা উকিল মারফত তার কাছে হাজির হয়ে আদেশের বিরুদ্ধে কারন প্রদর্শনের সুযোগ দিবেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট যদি আবেদন পুরো বা আংশিক বাতিল করেন, তাহলে তিনি এরুপ করার কারন লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ (৬) ধারা মোতাবেক,
৬) মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার প্রতি বিপদ অথবা দাঙ্গা বা মারপিটের আশংকার ক্ষেত্রে সরকার সরকারী গেজেটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভিন্য কোন নির্দেশ না দিলে এই ধারা অনুসারে প্রদত্ত কোন আদেশ দুই মাসের বেশী কার্যকর থাকবেনা।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ (৭) ধারা মোতাবেক,
৭) ১৪৪ ধারা মহানগর এলাকায় প্রযোজ্য নহে।
কে ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করিতে পারেন:
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ (১) মোতাবেক আদেশ জারি করিতে পারেন যথা:
১) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
২) সরকার বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নিয়োগকৃত বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা অনুযায়ী যে আদেশ প্রদান করা হয়, তাহা ১৩৪ ধারার আওতায় জারি করা হয়। ১৩৬ ধারা অনুযায়ী ১৪৪ ধারার আদেশ মাণ্য করা বাধ্যতামুলক। এই ধারার মাধ্যমে ব্যক্তি বা জনগণের জীবন যাত্রার মধ্যে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা করে জনজীবনে শৃংখলা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ (৭) মোতাবেক
৩) মহানগর এলাকায় পুলিশ কমিশনার ১৪৪ ধারা জরি করিবেন।
পুলিশ কি ১৪৪ ধারা ক্ষমতা ব্যবহার বা প্রয়োগ করিতে পারে:
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ (৭) মোতাবেক মহানগর এলাকায় ১৪৪ ধারা প্রযোজ্য নহে।
উক্ত মহানগর এলাকায় ১৪৪ ধারা ক্ষমতা পুলিশ কমিশনার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। মহানগর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করিবেন পুলিশ কমিশনার
কোন কোন অবস্থায় ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করা যায় বা শর্তসমূহ বা উপাদানঃ
১) আইনানুগভাবে কর্মরত কোন ব্যক্তি বা বাধা বিরোধ বা ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে
২) মানুষের জীবন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে
৩) মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে
৪) দাঙ্গা মারামারি জীবন বিনাশের আশঙ্কা দেখা দিলে
৫) অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি যেখানে তাৎক্ষণিক প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী
৬) ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ (৩) ধারা মোতাবেক অত্র ধারার অওত্তায় বিশেষ কোন ব্যক্তি বা কোন স্থান বা কোন এলাকায় ঘনঘন যাতায়াতকারী কোন ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করা যায়।
৭) একাই স্থানে, একই সময়ে একের অধিক সংগঠন সমাবেশ ডাকিলে উক্ত স্থানে গণ শান্তি বা বিসৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকিলে।
১৪৪ ধারার অধীনে কোন অস্থায়ী আদেশ প্রদান তখনই করতে হয় যখন পরিস্থিতি গুরুতররূপে শান্তিশৃখলা ভঙ্গের আশংকা সৃষ্টি করি। জন সাধারণের কিংবা জন সাধারণের বিশেষ অংশের বৈধ অধিকার প্রয়োগের সময় যারা বাধা দেয় বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধেও এই ধারা প্রয়োগ করা হয়।
১৪৪ ধারা কত দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকে:
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ (৬) মোতাবেক সরকার সরকারী গেজেটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভিন্য কোন নির্দেশ না দিলে, এই ধারা অনুসারে প্রদত্ত কোন আদেশ দুই মাসের বেশী কার্যকর থাকবেনা।
১৪৪ ধারা আদেশ ভঙ্গের শাস্তি কি:
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৩৬ ধারা মোতাবেক ১৪৪ ধারার আদেশ মান্য করা বাধ্যতামুলক। ১৪৪ ধারার আদেশ অমান্য করলে তাহার সাজা দন্ডবিধির ১৮৮ ধারা মোতাবেক।
এই ধারা অমান্যকারীকে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারবে।
দন্ডবিধি ১৮৮ ধারা মোতাবেক ১৪৪ ধারার আদেশ ভঙ্গের শাস্তিঃ
১) সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারণ কারাদণ্ড এবং ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড।
১৪৪ ধারা আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিকার:
১৪৪ ধারা আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে ৪৩৫ ও ৪৩৯ ক ধারা মোতাবেক রিভিশন দায়ের করিতে হইবে।
উৎপাত বা আসন্ন বিপদের ক্ষেত্রে অস্থায়ী আদেশঃ
প্রত্যেক নাগরিকের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু কখনো কখনো সমাবেশ এমন হয় যে, তা মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য বা নিরাপওার প্রতি হুমকী হয়ে দাড়ায়। সেক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঐরূপ শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী, জনগনের জীবন, স্বাস্থ্য বা নিরাপওার প্রতি হুমকী স্বরূপ যে ঘটনা সংঘটিত হলে বা সংঘটিত হওয়ার আসাংকা থাকলে তা নিবারণ বা আশ্ত প্রতিকার করার জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারবেন। এটিই ফৌজদারী কর্মবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা মূল কথা।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরকার বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপরোক্ত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রতিরোধের জন্য স্থিতিস্থাপকতা জারির আদেশ প্রদান করিবেন।
উদাহরণ:
একটি স্থানে কোন ধর্মীয় গোষ্ঠীর সম্মেলন অনুষ্টিত হচ্ছে। এ অবস্থায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেলেন একদল সশস্ত্র যুবক ঐ স্থানে মিলিত হবার তোড়জোড় করছে এবং কলহ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এইক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা উপযুক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের কে নিরাস্ত রাখার আদেশ জারী করতে পারেন।
উদাহরণ:
ফরিদ আহমেদ ব. পূর্বপাকিস্তান প্রদেশ মামলায় ১ আদালত বলেন-যখন শান্তিভঙ্গ, মানুষের জীবন প্রভৃতি হারানোর আশংকা দেখা দেয় তখন ১৪৪ ধারার অধীনে কার্ফু জ্বারি করা যায়। প্রশাসন তার দায়িত্ব পালনে পুলিশী সহযোগিতা চাইতে পারে যখন পরিস্থিতি এমন যে, আদেশ অমান্যকারীদের গুলি করা প্রয়োজন তখন এমন আদেশও আইনে অসমর্থনীয় নয়।
পূর্ববর্তী অস্থায়ী আদেশ বাতিল করার ক্ষমতাঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারার ৪ উপধারায় বলা আছে যে, যেকোন ম্যাজিস্ট্রেট স্বতঃপ্রবৃও হয়ে বা কোন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অবেদনক্রমে তার বা নিজের অধীনস্ত কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা পূর্ববর্তী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদও কোন আদেশ বাতিল বা পরিবর্তন করতে পারবেন। অর্থাৎ, অস্থায়ী আদেশ প্রদানের দুইমাস পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কোন ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৪ ধারার কার্যকর কোন অস্থায়ী আদেশ বাতিল করতে পারবেন।
ধারা ১৪৪ ও ১৪৫ এর মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর?
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা দুটিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা যথার্থ
ক্ষমতাসম্পন্ন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোন ঘটনার দ্বারা শান্তিভঙ্গের আশংকা সৃষ্টি
হলে অস্থায়ী আদেশ জারী করতে পারেন । এই অস্থায়ী আদেশের অন্তর্ভূক্ত বিষয় হলো ,
আদিষ্ট ব্যক্তিকে কোন নির্দিষ্ট কাজ অথবা কোন নির্দিষ্ট স্থানে গমনাগমন করা হতে
বিরত রাখা বা বিরোধীয় ভূুমিতে রিসিভার নিয়োগ করা বা সম্পত্তি ক্রোক করা। তা
সত্ত্বেও কার্যবিধির ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা দুটির মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান
রয়েছে। নিম্নে পার্থক্যগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
১৪৪ ধারা |
১৪৫ ধারা |
গণ উৎপাত বা আসন্ন বিপদ, জরুরী ক্ষেত্রে ১৪৪ ধারার আদেশ দেওয়া হয়। |
স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ দেখা দিলে ১৪৫ ধারার আদেশ দেওয়া হয়। |
১৪৪ ধারার আদেশ নিষেধমুলক আদেশ। |
১৪৫ ধারার আদেশ ঘোষণামুলক আদেশ। |
১৪৪ ধারার অস্থাবর সম্পত্তি |
১৪৫ ধারার স্থাবর সম্পত্তি |
১৪৪ ধারায় গণউৎপাত বা আসন্ন বিপদের দ্বারা শান্তি ভঙ্গ হলে তৎক্ষণাৎ অস্থায়ী আদেশ জারী করা যেতে পারে। |
১৪৫ ধারা প্রয়োগ করতে হলে পক্ষদ্বয়ের শুনানী অনুষ্ঠিত হতে হয়। |
কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে অস্থায়ী আদেশ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদান করতে পারে। কিন্তু মহানগর এলাকায় এ ক্ষমতা পুলিশ কমেশনার প্রয়োগ করতে পারেন। |
১৪৫ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ কেবলমাত্র জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃকই হতে পারে; অন্য কোন কর্মকর্তা দ্বারা নয়। |
১৪৪ ধারার আদেশ মহানগর এলাকায় প্রযোজ্য নহে। |
১৪৫ ধারার আদেশ মহানগর এলাকায় প্রযোজ্য । |
১৪৪ ধারা প্রয়োগের বিষয়ে জনগণের শান্তিশৃঙ্খলায় ব্যাঘাত সৃষ্টিতে ব্যক্তিবর্গের সমাবেশ অথবা মিছিল অথবা অন্য যেকোন রূপে হতে পারে কিন্তু বিরোধের বিষয় হবে মানুষকেন্দ্রিক। |
১৪৫ ধারা প্রয়োগ করতে হলে দেখতে হবে যে পক্ষসমূহের মধ্যে বিরোধের বিষয় হলো ভূমি বা পানিকেন্দ্রিক। |
১৪৪ ধারার প্রয়োগ ম্যাজিস্ট্রেটের স্বেচ্ছাধীন। |
১৪৫ এর কোন বিরোধের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে বাধ্য । |
ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৪ ধারায় কোন আদেশ দিলে তা ২ মাস পর অকার্যকর হয় । |
১৪৫ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট প্রদত্ত আদেশ স্থাবর সম্পত্তির আইনগত স্বত্ত্বাধিকারী বা দখলদার নির্ণীত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকে। |
১৪৪ ধারায় অস্থায়ী আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটকে যাদের বরাবর আদেশ প্রদান করা হবে তাদের নিকট নোটিশ পাঠাতে হয় । জরুরী হলে ব্যক্তিগতভাবে নোটিশ না পাঠিয়ে উপযুক্ত স্থানে লটকিয়ে দিলেও আদেশ কার্যকর হয়। |
১৪৫ ধারা অনুযায়ী পক্ষসমূহের বক্তব্য না শুনে কোন আদেশ প্রদান করা যাবে না। |
১৪৪ ধারায় যেহেতু বিরোধীয় বিষয়বস্তু হিসেবে কোন ভূমি বা পানির অস্তিত্ব থাকে না সেহেতু এ ধারাধীনে ক্রোক বা রিসিভার নিয়োগের বিধান নেই। |
১৪৫ ধারানুসারে ম্যাজিস্ট্রেট কোন সম্পত্তির দখল চূড়ান্তভাবে নির্ণীত হবার পূর্বে সম্পত্তি ক্রোক বা রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিতে পারেন। |
১৪৪ ধারা আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে ৪৩৫ ও ৪৩৯ ক ধারা মোতাবেক রিভিশন দায়ের করিতে হইবে। |
১৪৫ ধারা আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে ৪৩৫ ও ৪৩৯ ক ধারা মোতাবেক রিভিশন দায়ের করিতে হইবে। |