Ads Area

Snow
Maruf Hossen Jewel

The Specific Relief Act 1877 বা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭

১. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন কত সালে প্রণীত হয়েছে ?

উত্তরঃ ১৮৭৭ সালে ।

২. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার কি ?

উত্তরঃ দেওয়ানী মোকদ্দমায় বাদীর প্রার্থনা অনুযায়ী প্রতিকার মঞ্জুর করা হলে তাকে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার বলে। অথবা

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন এর অধীনে যে প্রতিকার প্রদান করা হয় তাকে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার বলে।

৩. ২. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন কি ?

উত্তরঃ যে আইনের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার সম্পর্কে বর্ণিত আছে তাকে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন বলে।

৪. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ সালের কত নং আইন ?

উত্তরঃ ১ নং আইন।

৫. এই আইনে মোট ধারা কতটি ?

উত্তরঃ ৫৭ টি ।

৬. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনকে কত খন্ডে বিভক্ত করা হয়েছে ?

উত্তরঃ ৩ টি ।

৭. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ কখন থেকে কার্যকর হয় ?

উত্তরঃ ১ মে ১৮৭৭ সালে।

৮. পদ্ধতি বিষয়ক আইন নয় কোনটি ?

উত্তরঃ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭

৯. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ সর্বশেষ সংশোধন হয় কখন ?

উত্তরঃ ২০০৪ সালে।

১০.  সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ এর সর্বশেষ সংশোধন ২০০৪ কখন থেকে কার্যকর হয় ?

উত্তরঃ ১ মে ২০০৪ সাল থেকে।

Specific Relief how given বা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার কিভাবে দেওয়া হয়

১. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার দেওয়ার পদ্ধতি কত ধারায় ?

উত্তরঃ ৫ ধারায়।

২. আদালত কয় পদ্ধতিতে/প্রকারে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করতে পারেন ?

উত্তরঃ ৫ পদ্ধতিতে।

৩. কিভাবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার দেওয়া হয় ?

উত্তরঃ রিসিভার বা তত্ত্বাবধায়ক (Receiver) নিয়োগের নাধ্যমে।

৪. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের আওতায় পড়েনা কোনটি ?

উত্তরঃ আর্থিক ক্ষতিপূরণ।

৫. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করা যায় না কখন ?

উত্তরঃ শুধুমাত্র দন্ড সংক্রান্ত আইন বলবৎ করার জন্য।

Nature of preventative relief বা  নিবর্তনমূলক/নিবারণমূলক/নিরোধক প্রতিকারের প্রকৃতি

১. নিরোধক প্রতিকার কি ?

উত্তরঃ যে কাজ করা হতে বিরত রাখার আদেশ প্রদান করা হয় তাকে নিরোধক প্রতিকার বলে।

২. নিরোধক প্রতিকার কিভাবে মঞ্জুর করা হয় ?

উত্তরঃ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে।

Recovery of Possession of Property

সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার

১. স্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার কত ধারায় ?

উত্তরঃ ৮ ও ৯ ধারায়।

২. দখল পুনরুদ্ধার কি ?

উত্তরঃ বেদখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার করা।

৩. স্থাবর সম্পত্তি হতে বেদখল হলে কি করবেন ?

উত্তরঃ স্বত্ব ঘোষণা ও খাস দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে।

৪. স্বত্ব ঘোষণা ও খাস দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমায় বাদীকে কি প্রমাণ করতে হবে ?

উত্তরঃ সম্পত্তিতে বাদীর আইনগত অধিকার এবং

           জোরপূবক বেদখল

৫. বেদখলকৃত জমির মোকদ্দমার মূল্যমান কি হবে ?

উত্তরঃ বেদখলকৃত জমির মূল্য হবে মোকদ্দমার মূল্যমান যার উপর এডভোলারেম কোর্ট ফিস প্রদান করতে হবে।

৬. দখলের অধিকারী ব্যক্তি মালিক দখলে না থাকলে কোন ধারায় প্রতিকার চাইবে ?

উত্তরঃ ৮ ধারায়।

৭. সরকার কর্তৃক বেদখল হলে মোকদ্দমা কোন ধারায় ?

উত্তরঃ ৮ ধারায়, স্বত্ব ঘোষণা ও দখল পুনরুদ্ধারের মামলা।

৮. সরকারের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করা যায় না কোন ধারায় ?

উত্তরঃ ৯ ধারায়।

৯. ৯ ধারা অনুযায়ী দখল পুনরুদ্ধারের জন্য প্রমাণ করতে হবে -

উত্তরঃ বাদী বেআইনীভাবে দখলচ্যুত হয়েছে,

           বিনা অনুমতিতে দখলচুত হয়েছে

           বাদী দখলে ছিল।

১০. আইনগত পন্থা ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে তার সম্মতি ব্যতীত স্থাবর সম্পত্তি হতে দখলচ্যুত হলে মোকদ্দমা কোন ধারায় ?

উত্তরঃ ৯ ধারায়।

১১. জোরপূবক বেদখল করলে কি করবেন ?

উত্তরঃ দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা করতে হবে।

১২. বেদখল হওয়ার কত দিনের মধ্যে দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে।

উত্তরঃ ৬ মাসের মধ্যে।

১৩. স্বত্বসহ খাসদখল উদ্ধারের মোকদ্দমা কত ধারায় ?

উত্তরঃ ৮ ও ৪২ ধারায়।

১৪.  ৯ ধারায় কি আছে ?

উত্তরঃ স্থাবর সম্পত্তি দখল পুনরুদ্ধার/বেদখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার সম্পর্কে।

১৫.  ৯ ধারা অনুসারে কি প্রমান করতে হবে ?

উত্তরঃ দখল ও বেদখল।

১৬. ৯ ধারা অনুসারে স্থাবর সম্পত্তি দখল উদ্ধারের ডিক্রীর বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ কি করবে ?

উত্তরঃ রিভিশন (Revision)

১৭. দখল পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে কত ধারায় মামলা করা যায়?

উত্তরঃ ৮ ও ৪২ ধারায়।

১৮.  ৯ ধারার ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে কি করা যাবে না ?

উত্তরঃ আপীল বা রিভিউ ।

১৯. কোন ধারায় মামলা করতে মূলানুপাতিক কোর্ট ফীর অর্ধেক প্রদান করতে হয় ?

উত্তরঃ ৯ ধারায়।

২০. মূলানুপাতিক কোর্ট ফী প্রদান করতে হয় কোন ধারায় ?

উত্তরঃ ৮ ধারায়।

২১.  ১০ ধারার বিষয়বস্তু কি ?

উত্তরঃ অস্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার।

২২.  ৮ ধারার বিষয়বস্তু কি ?

উত্তরঃ স্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার।

২৩.  ৮ ধারায় মোকদ্দমা কে করবে ?

উত্তরঃ মালিক দখলচ্যুত হলে।

২৪. শর্ত সাপেক্ষে খাস দখলের মোকদ্দমায় বিবাদী হেরে গেলে কি করবে ?

উত্তরঃ আপীল।

Specific Performance of Contracts বা সুনির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন

১. সুনির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন কি ?

উত্তরঃ চুক্তি অনুযায়ী চুক্তিভুক্ত পক্ষদের নিজ নিজ কার্য সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনই হলো সুনির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন বা চুক্তি প্রবল।

২. সুনির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন এর প্রতিকার কি ?

উত্তরঃ সুনির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন এর  আদেশ প্রদানের মাদ্ধমে আদালত যে প্রতিকার প্রদান করেন তাই "সুনির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন এর প্রতিকার"।

৩. সুনির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন কোন ধারায় ?

উত্তরঃ ১২ ধারায়।

৪. চুক্তি বাস্তবায়নের মোকদ্দমা কোন ধারায় ?

উত্তরঃ ১২ ধারায়।

৫.  ১২ ধারায় বাদীকে কি প্রমাণ করতে হয় ?

উত্তরঃ বিবাদীর সহিত বৈধ চুক্তি হয়েছে,

           বিবাদী কার্য সম্পাদনে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং

          বাদীর অপূরণীয় ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।

৬. তামাদি আইন অনুযায়ী অস্বীকৃতির কত দিনের মধ্যে মামলা করতে হবে ?

উত্তরঃ ১ বছর।

৭. সুনির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন ডিক্রী প্রদান আদালতের কি ধরণের ক্ষমতা ?

উত্তরঃ ইচ্ছাধীন ক্ষমতা,

           যা মঞ্জুর করতে আদালত বাধ্য নয়।

৮. আংশিক চুক্তি সম্পাদন কত ধারায় ?

উত্তরঃ ১৩ - ১৭ ধারায়।

৯. একটি চুক্তি কখন সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ করা যায় ?

উত্তরঃ যখন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দ্বারা পর্যাপ্ত প্রতিকার পাওয়া যায় না।

১০. একটি চুক্তি কখন সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ করা যায় না ?

উত্তরঃ যখন চুক্তিটি প্রকৃতগতভাবেই প্রত্যাহারযোগ্য।

১১. কোন চুক্তিটি সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিপালনের জন্য বাধ্য করা যাবে ?

উত্তরঃ যখন কোনো স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের চুক্তি করা হয়।

১২. কত ধারায় সুনির্দিষ্ট চুক্তি পালনযোগ্য হয় না ?

উত্তরঃ ২১ ও ২১(ক) ধারায়।

১৩. কোন সন হতে স্থাবর সম্পদ বিক্রয় অরেজিষ্ট্রিকৃত চুক্তিনামা বলবৎযোগ্য হয় না ?

উত্তরঃ ২০০৫ সন ।

১৪.  ১ জুলাই, ২০০৪ তারিখে একটি রেজিষ্ট্রিকৃত চুক্তির অনুবলে সুনির্দিষ্টভাবে চুক্তি বলবতের জন্য মামলা করার ক্ষেত্রে বাদীকে আরজির সাথে জমা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল -

উত্তরঃ কোনো চুক্তিমূল্য দাখিল অপ্রয়োজনীয়।

১৫. কোন চুক্তিটি আদালতের মাধ্যমে বাস্তবায়নযোগ্য নয় ?

উত্তরঃ ছিনেমায় অভিনয়ের চুক্তি।

১৬. কোনটি আইন অনুযায়ী বলবৎযোগ্য ?

উত্তরঃ সম্পত্তি বিক্রয়ের চুক্তি।

১৭.  "ক" ১০০ মণ গম "খ"  এর নিকট বিক্রয় করার চুক্তি করে। "ক" উক্ত গম সরবরাহ করে নাই। "খ" এর প্রতিকার কি ?

উত্তরঃ "খ" সুনির্দিষ্টভাবে চুক্তিটি বলবৎ করতে পারে।

১৮. চুক্তি পালন না করলে কি করবেন ?

উত্তরঃ চুক্তি বাস্তবায়নের মোকদ্দমা।

১৯. সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে ডিক্রী প্রদানের ক্ষমতা -

উত্তরঃ আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা / ২২ ধারায়।

২০. চুক্তি, আইন সম্মত হলেও কোন ধারায় আদালত চুক্তি বলবৎ করতে অস্বীকার করতে পারেন ?

উত্তরঃ ২১ ধারায়।

২১. যে চুক্তির কার্য সম্পাদন করতে হলে কাজ আরম্ভ করার তারিখ হতে ক্রমাগত ৩ বছরের বেশী সময় কাজ করতে হয় সেই চুক্তির কার্য সম্পাদনে-উত্তরঃ আদালত আদেশ দিবেন না।

২২. স্থাবর সম্পত্তির বিক্রয়ের চুক্তি রেজিষ্ট্রিকৃত না হলে আদালত চুক্তির কার্য সম্পাদনের-

উত্তরঃ আদেশ দিবেন না।

২৩. স্থাবর সম্পত্তির বিক্রয়ের চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ করা যাবে না -

উত্তরঃ যদি চুক্তিটি লিখিত ও নিবন্ধিত না হয়।

২৪. জমির বায়না হওয়ার ৩ মাস পর বলছে রেজিষ্ট্রি করে দিবে না কি করবেন ?

উত্তরঃ চুক্তি বাস্তবায়নের মোকদ্দমা।

২৫. আম বাগানের মালিক আপনার নিকট বিক্রয়ের চুক্তি করার পর যদি অন্য কারো নিকট আবারো চুক্তি করে কি করবেন ?

উত্তরঃ চুক্তি বাস্তবায়নের মোকদ্দমা।

২৬.সম্পত্তি বিক্রয়ের পর দলিল না দিলে কি করবেন ?

উত্তরঃ চুক্তি বাস্তবায়নের মোকদ্দমা।

২৭.  ২৯ ধারা অনুযায়ী চুক্তির সুনির্দিষ্ট প্রতিপালনের মামলা খারিজ হলে  বাদী বারিত হবে-

উত্তরঃ ক্ষতিপূরণের মামলা করতে।

২৮. দলিল পাওয়ার জন্য কি করবেন ?

উত্তরঃ চুক্তি বাস্তবায়নের মোকদ্দমা।

Rescission of Instrument বা দলিল সংশোধন

১. দলিল সংশোধন  কত ধারায় ?

উত্তরঃ ৩১ ধারায়।

২. কখন দলিল সংশোধন করা যায় ?

উত্তরঃ প্রতারণার মাধ্যমে পক্ষসমূহের পারস্পরিক ভুলের জন্য চুক্তি বা দলিলে সত্যিকার উদ্দেশ্য ব্যাক্ত না করলে।

৩. একটি দলিল সংশোধিত হতে পারে শুধুমাত্র-

উত্তরঃ আদালত দ্বারা।

Cancellation of th Institution

দলিল রদ্ বা বাতিল

১. দলিল রদ্ বা বাতিল কত ধারায় ?

উত্তরঃ ৩৯ ধারায়।

২. দলিল রদ্ বা বাতিল করার জন্য কি প্রমাণ করতে হবে ?

উত্তরঃ দলিলটি বাতিলযোগ্য,

           দলিলটি বাতিল না হলে বাদীর অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

৩. দলিল বাতিলের মামলায় বাদীকে উক্ত দলিলের পক্ষ থাকার প্রয়োজন আছে কি ?

উত্তরঃ নাই

৪. আদালতের ডিক্রীর কপি সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করতে হয় কখন ?

উত্তরঃ লিখিত দলিল বাতিলের ক্ষেত্রে।

৫. কোন মামলায় আদালত ডিক্রির কপি রেজিষ্ট্রি অফিস এ প্রেরণ করতে আইনত বাধ্য ?

উত্তরঃ রেজিস্টার্ড দলিল বাতিলের মোকদ্দমা।

৬. বাতিলযোগ্য দলিল বাতিলের ডিক্রী প্রদানের ক্ষমতা আদালতের কিরূপ ক্ষমতা ?

উত্তরঃ স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা।

৭. পিতার মৃত্যুর পর একটি ভূয়া রেজিষ্ট্রি দলিল উপস্থিত হলে কি করবেন ?

উত্তরঃ দলিল বাতিলের মোকদ্দমা।

৮. কেউ আপনার বাড়ির ভূয়া/জাল দলিল নিয়ে আসলে কি করবেন ?

উত্তরঃ দলিল বাতিলের মোকদ্দমা।

৯. আংশিক দলিল বাতিল কোন ধারায় ?

উত্তরঃ ৪০ ধারায়।

Declaratory Decrees বা ঘোষণামূলক ডিক্রী

১. "ঘোষণামূলক ডিক্রী" কত ধারায় ?

উত্তরঃ ৪২ ধারায়।

২. ঘোষণামূলক ডিক্রী কি ?

উত্তরঃ কোনো আইনগত পরিচয়, পদ বা সম্পত্তির অধিকারের ঘোষণা প্রার্থনা করে এখতিয়ার সম্পন্ন দেওয়ানী আদালতে যে মোকদ্দমা দায়ের করা হয়।

৩. ঘোষণামূলক মোকদ্দমায় কি প্রমাণ করতে হবে ? অথবা

     ঘোষণামূলক ডিক্রী কখন মঞ্জুর হয় ?

উত্তরঃ নালিশী বিষয়ে বাদীর অধিকার আছে,

           বিবাদী সে অধিকার অস্বীকার করেছে।

৪. ঘোষণামূলক মোকদ্দমায় মোকদ্দমার মূল্যমান কি ?

উত্তরঃ দলিলে উল্লেখিত মূল্য/

           তর্ক অধিকারের মূল্য।

৫. ঘোষণামূলক ডিক্রীর ফলাফল কত ধারায় ?

উত্তরঃ ৪৩ ধারায়।

৬.  "A" একটি জমির বৈধ দখলে আছে। প্রতিবেশী গ্রামবাসী উক্ত সম্পত্তির উপর দিয়ে চলাচলের অধিকার দাবী করে। "A" কি করতে পারে ?

উত্তরঃ ঘোষণামূলক মোকদ্দমা।

৭.  ৪২ ধারার মামলা খারিজ হলে কি করবেন ?

উত্তরঃ আপীল।

৮. ঘোষণামূলক ডিক্রী কখন মঞ্জুর হয় না ?

উত্তরঃ ঘোষণার সঙ্গে আনুষঙ্গিক প্রতিকার না চাইলে।

৯. স্বত্বের উপর কালিমা হলে -

উত্তরঃ স্বত্ব ঘোষণার মোকদ্দমা।

১০.  স্বত্বের উপর কালিমা হলে কত ধারায় মামলা ?

উত্তরঃ ৪২ ধারায়।

১১. কলেজের অধক্ষ হিসেবে অবস্থান অস্বীকৃত হলে -

উত্তরঃ ৪২ ধারায় মামলা।

১২. "ঘোষণামূলক মোকদ্দমা" কে করতে পারে ?

উত্তরঃ আইন সম্মত বৈশিষ্টের অধিকারী ব্যক্তি, সম্পত্তিতে অধিকার আছে এমন ব্যাক্তি।

১৩. কোন ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালত বিবেচনামূলক ক্ষমতা (Discretionary Power) প্রয়োগ করতে পারেনা ?

উত্তরঃ "ঘোষণামূলক মোকদ্দমা"

১৪. ভুলে অন্যের নামে রেকর্ড হলে কি করবেন ?

উত্তরঃ রেকর্ড সংশোধনের মামলা।

১৫. দলিলটি রেজিষ্ট্রি না হলে বা পক্ষ না থাকলে উক্ত দলিলটি বাদীর উপর বাধ্যকর নয় মর্মে ঘোষণার জন্য বাদী কি করতে পারেন 

উত্তরঃ "ঘোষণামূলক মোকদ্দমা" (Declaratory Suit) দায়ের করতে পারেন।

১৬. ঘোষণামূলক মোকদ্দমায় কি প্রমাণ করতে হবে ?

উত্তরঃ ৪২ ধারা প্রমাণ করতে হবে।

১৭. প্রতি ঘোষণার জন্য কত টাকা কোর্ট ফিস দিতে হয় ?

উত্তরঃ ৩০০ টাকা।

১৮. তামাদি আইনের বিধান মতে তর্কিত ভূয়া দলিল সম্পর্কে অবগত হওয়ার তারিখ হতে কতদিনের মধ্যে "ঘোষণামূলক মোকদ্দমা" দায়ের করতে হবে?

উত্তরঃ ৬ বছরের মধ্যে।

Declaratory Decrees বা ঘোষণামূলক ডিক্রী

১. কোনো ব্যাক্তি স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি "ঘোষণামূলক মোকদ্দমা" দায়ের করতে পারে যদি সম্পত্তিতে তার -

উত্তরঃ একচ্ছত্র দখল থাকে।

২. ৪২ ধারায় মোকদ্দমা করার পর বেদখল হলে কি করবেন ?

উত্তরঃ "স্বত্ব ঘোষণা ও দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা"।

৩. "স্বত্ব ঘোষণা ও দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা" কত ধারায় করবেন ?

উত্তরঃ ৮ ও ৪২ ধারায়।

৪. স্বত্ব সাব্যস্তের মোকদ্দমায় উচ্ছেদ হলে কি করবেন ?

উত্তরঃ "স্বত্ব ঘোষণা ও দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা"

৫. স্থাবর সম্পত্তিতে স্বত্ব নাই দখল আছে কি করবেন ?

উত্তরঃ "স্বত্ব ঘোষণার মোকদ্দমা"

৬. স্থাবর সম্পত্তিতে স্বত্ব আছে দখল নাই কি করবেন ?

উত্তরঃ "স্বত্ব ঘোষণা ও দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা"

৭. স্বত্ব ঘোষণার মোকদ্দমায় কোর্ট ফিস কত ?

উত্তরঃ ৩০০ টাকা।

Receiver তত্ত্বাবধায়ক

১. Receiver বা তত্ত্বাবধায়ক কোন ধারায় ?

উত্তরঃ দেওয়ানী কার্যবিধি এর ৪০ ধারায়।

২. তত্ত্বাবধায়ক কি ?

উত্তরঃ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো মোকদ্দমাধীন সম্পত্তির তত্ত্বাবধানের উদ্দেশ্যে আদালত কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করলে তাকে রিসিভার বলে।

৩. রিসিভার নিয়োগ আদালতের -

উত্তরঃ আদালতের সুবিবেচনামূলক ক্ষমতা।

Injunction  বা নিষেধাজ্ঞা

১. নিষেধাজ্ঞা কি ?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট কোনো কাজ করা বা করা হতে বিরত থাকার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টিকে আদালত যে নির্দেশ প্রদান করেন উহাই নিষেধাজ্ঞা।

২. নিষেধাজ্ঞা কত ধারায় ?

উত্তরঃ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ৫২ -৫৭ ধারা এবং দেওয়ানী কার্যবিধি আদেশ ৩৯ ।

৩. আদেশ কার্যকর করার সময়ের দিক থেকে নিষেধাজ্ঞা কয় প্রকার ?

উত্তরঃ ৩ প্রকার। যথা: অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা

                                   অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

                                   স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

৪. আদেশ প্রদানের প্রকৃতির দিক থেকে নিষেধাজ্ঞা কয় প্রকার ?

উত্তরঃ ২ প্রকার। যথা:

(I ) বাধ্যতামূলক/আদেশমূলক/হ্যাঁসূচক নিষেধাজ্ঞা

(II) চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/নিষেধমূলক/নাসূচক নিষেধাজ্ঞা

৫. দেওয়ানী আদালত কর্তৃক স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী প্রচারের ক্ষমতা -

উত্তরঃ নিরোধমূলক।

৬. প্রতিরোধমূলক প্রতিকার মঞ্জুর করা যেতে পারে-

উত্তরঃ  নিষেধাজ্ঞাদেশ দ্বারা।

৭. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের কত ধারায় নিষেধাজ্ঞা আছে ?

উত্তরঃ ৫৪ ধারায়।

৮. সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে নিষেধাজ্ঞা কত প্রকার ?

উত্তরঃ ৩ প্রকার।

৯. চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা হয় কত ধারায় ?

উত্তরঃ ৫৪ ধারায়।

১০. ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের মানদণ্ড না থাকলে আদালত -

উত্তরঃ চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী দিবেন না।

১১. আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে আদালত কিসের আদেশ দিবেন না ?

উত্তরঃ চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার।

১২. বিচারবিভাগীয় কার্যক্রমসমূহের জটিলতা নিবারণের জন্য নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন হলে -

উত্তরঃ আদালত আদেশ দিবেন চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার।

১৩. বাড়ি থেকে বেদখল করতে চাইলে -

উত্তরঃ চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা।১৪. অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার সংজ্ঞা -

উত্তরঃ ৫৩ ধারায়।

১৫. স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার সংজ্ঞা -

উত্তরঃ ৫৩ ধারায়।

১৬. চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা কখন মঞ্জুর করা হয় ?

উত্তরঃ সাক্ষ্য গ্রহণ পূর্বক বিচার নিষ্পত্তির পর।

১৭. স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা কিভাবে চাওয়া যায় ?

উত্তরঃ আরজির মাধ্যমে।

১৮. জেলা জজ আদালত কোন বিচারিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাদিতে পারেন ?

উত্তরঃ কোনো অধস্তন দেওয়ানী আদালতের কার্যক্রম।

১৯. স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আপীল -

উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ৯৬ ধারায়।

২০. স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কিভাবে মঞ্জুর করা হয় ?

উত্তরঃ ডিক্রীর মাধ্যমে।

২১. বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা-

উত্তরঃ ৫৫ ধারায়।

২২. বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কি করা হয় ?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনে বাধ্য করা হয়।

২৩. নিষেধাজ্ঞা নামঞ্জুর করা হয় -

উত্তরঃ ৫৬ ধারায়।

২৪.  ৫৭ ধারায় কি আছে ?

উত্তরঃ চুক্তির না সূচক অংশ পালনে বাধ্য করা/নেতিবাচক নিষেধাজ্ঞা।

২৫. কোন ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালত বিবেচনামূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে ?

উত্তরঃ অগ্রক্রয় সংক্রান্ত মোকদ্দমা।

২৬. তামাদি আইন ১৯০৮, ১৪৪ ধারা অনুসারে কত বছরের মধ্যে "স্বত্ব ঘোষণা ও খাস দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা" দায়ের করা যায় ?

উত্তরঃ ১২ বছর।

২৭. তামাদি আইন ১৯০৮, ৩ অনুচ্ছেদে খাস দখল পুনরুদ্ধারের মোকদ্দমা -

উত্তরঃ ৬ মাসের মধ্যে।

২৮. তামাদি আইন ১৯০৮, ১১৩ অনুচ্ছেদে চুক্তি ভঙ্গের কত বছরের মধ্যে মোকদ্দমা -

উত্তরঃ ১ বছর।

২৯. তামাদি আইন ১৯০৮, ৯১ অনুচ্ছেদে ভুয়া দলিল সম্পর্কে জানার -

উত্তরঃ ৩ বছরের মধ্যে মোকদ্দমা।

৩০. চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমার মূল্যমান সাধারণত -

উত্তরঃ ১০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

৩১. চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমার তামাদির সময়সীমা -

উত্তরঃ ৬ বছর।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Snow
Maeuf Hossen Jewel

Below Post Ad

Snow
Maruf Hossen Jewel

Ads Area

Snow
Maruf Hossen Jewel