ফৌজদারি_কার্যবিধি_অনুযায়ী_তদন্ত_প্রক্রিয়া_এবং_বিধানসমূহ
১. ১৫৪ ধারায় এজাহারভুক্ত হওয়ার পর আমলযোগ্য মামলার তদন্ত শুরু হয় ১৫৬ ধারানুযায়ী। তবে এজাহারভুক্ত না হলেও, সংবাদ প্রাপ্তির ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত কার্য শুরু করতে পারেন।
২. আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আমলঅযোগ্য মামলার তদন্ত শুরু হয় ১৫৫ ধারানুযায়ী।
৩. নোটিশ প্রদান/সমনঃ-
i. পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে জানে এমন ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য লিখিত নোটিশ/সমন দিতে পারে। (১৬০ ধারা)
ii. দলিল দাখিলের জন্য নোটিশ দিতে পারে। (৯৪ ধারা)
iii. যেকোনো স্থানে তল্লাশীর ক্ষেত্রে মালিক/দখলদার এবং স্থানীয় ২/ততোধিক ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হওয়ার জন্য ডাকতে পারে। (১০২, ১০৩ ধারা)
iv. সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় পুলিশ ২/ততোধিক ব্যক্তিকে লিখিত আদেশ দ্বারা উপস্থিত হতে সমন দিতে পারে। (১৭৫ ধারা)
৪. পুলিশ ১৬০ ধারানুযায়ী উপস্থিত ব্যক্তিদের জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারেন। (১৬১ ধারা)
৫. ১৬১ধারায় উপস্থিত ব্যক্তিরা তদন্তকারী কর্মকর্তার সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করবেন এই মর্মে বন্ড দিতে বাধ্য। তবে যেসব প্রশ্নের উত্তর সাক্ষীকে ফৌজদারি অপরাধে জড়িত করতে পারে। সেগুলো দিতে বাধ্য নন। (১৭২ধারা)
৬. মামলার তদন্ত, আলামত সংগ্রহ, চোরাইমাল উদ্ধার বা অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পুলিশ যেকোনো এলাকায় গমন করতে পারবে এবং তল্লাশি করতে পারবে। (১৬৫, ১৬৬ ধারা)
৭. আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ অপরাধীকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারে। (৫৪ ধারা)
৮ অপরাধীকে গ্রেফতার বা আলামত উদ্ধার বা চোরাইমাল উদ্ধারকল্পে পুলিশ যেকোনো স্থানে তল্লাশী করতে পারবে। এক্ষেত্রে মালিক বা দখলদারের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে ব্যাপারটা ঘটবে। এবং মালিক বা দখলদার অনুমতি প্রদানে বাধ্য থাকবে। অনুমতি না দিলে বা স্থানটি বন্ধ থাকলে, ভেঙ্গে পৃরবেশ করা যাবে। (৪৬-৪৯ ধারা)
৯. তদন্তকারী কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ২৪ ঘন্টা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হেফাজতে রাখতে পারবে। তারপর নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অভিযুক্তকে হাজির করতে হবে। (৬১ ধারা)
১০. আরো জিজ্ঞাসাবাদ / চোরাইমাল উদ্ধার / আলামত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পুলিশ remand চাইতে পারবে। (১৬৭ ধারা)
১১. গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়া গেলে, পুলিশ তাকে জামিনে মুক্তি দিতে পারবে। (৪৯৬, ৪৯৭ ধারা)
১২. তদন্ত পর্যায়ে আসামীর বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ না পেলে, আসামীকে মুক্তি দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে। (১৬৯ ধারা)
১৩. তদন্ত সম্পর্কিত অগ্রগতি পুলিশ ডায়েরিভুক্ত করবে। আদালত বিচারকালীন সময়ে উক্ত ডায়েরি তলব করতে পারেন। (১৭২ ধারা)
১৪. তদন্ত শেষ করার পর পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন পেশ করবেন। (১৭৩ ধারা)