২০০৩ সালে দেওয়ানী কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অনুচ্ছেদ ৮৯ক এবং ৮৯খ কে সংযোজন করা হয়।৮৯ক তে মধ্যস্থতা এবং ৮৯খ তে সালিশের বিধান সংযোজন করা হয়।
মধ্যস্থতা বলতে আনুষ্ঠানিক, অবাধ্যতামূলক,গোপনীয়,অপ্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক এবং সমঝোতামূলক বিরোধ নিস্পতির পদ্ধতিকে বোঝাবে,যেখানে মধ্যস্থতাকারী মীমাংসার কোন শর্ত নির্দেশ না করে কিংবা সেই সম্পর্কে আদেশ না দিয়ে পক্ষগনের মধ্যকার বিরোধ নিস্পত্তিতে সুযোগ করে দেন।
বিচারপূর্ব মধ্যস্থতাঃ
দেওয়ানী কার্যবিধির ৮৯ক ধারায় বিধান করা হয়েছে যে নিম্নলিখিত ৩ ভাবে বিচারপূর্বে মধ্যস্থতা করা সম্ভব।
১.বিচারক নিজেই মধ্যস্থতা পরিচালনা করতে পারেন।
২.বিচারক পক্ষদ্বয়কে অথবা পক্ষদ্বয়ের আইনজীবীদেরকে মধ্যস্থতার জন্য বিষয়টি রেফার করতে পারে।
৩.বিচারক বিষয়টি প্যানেলভুক্ত কোন মধ্যস্থতাকারীর নিকট মধ্যস্থতার জন্য পাঠাতে পারে।
কোন ধরনের মামলা মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিস্পত্তির উপযুক্তঃ
১.সকল ধরনের দেওয়ানী মামলাই ADR এর মাধ্যমে নিস্পত্তির উপযুক্ত।
২.ক্ষতিপূরণের মামলা, পারিবারিক আদালতের মামলা সূমহ,অর্থ ঋণ আইনের বা অন্যান্য টাকার মামলাসূমহ ADR এর জন্য সর্বাধিক উপযুক্ত।
৩.একই ভাবে ছোট ছোট ফৌযদারী মামলা, যেমন চুরি,ছিনতাই,আক্রমণ বা স্বাভাবিক আঘাত ইত্যাদি ও ADR এর মাধ্যমে নিস্পত্তির উপযুক্ত।
কোন ধরনের মামলা মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিস্পত্তির উপযুক্ত নয়ঃ
১.যে সকল মামলা কেবলমাত্র ঘোষণামূলক সেসব মামলার ক্ষেত্রে ADR এর মাধ্যমে নিস্পত্তি উপযুক্ত নয়।
২.সাংবিধানিক বা আইনের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত প্রশ্ন জড়িত মামলা বিশেষ করে রিট জাতীয় মামলা সূমহ ADR ব্যবস্থায় নিস্পত্তিযোগ্য নয়।
৩.একই ভাবে ফৌযদারী মামলার মধ্যে খুন,ধর্ষণ,ডাকাতি,অস্ত্র, দুর্নীতি ইত্যাদি ধরনের মামলা কখনোই ADR এর মাধ্যমে নিস্পত্তিযোগ্য হওয়ার কথা নয়।