৩১৯ ধারায় আঘাত এবং ৩২০ ধারায় গুরুতর আঘাত এর সংঙ্গা প্রদান করা হয়েছে।
৩২০ ধারাতে ৮ টি বিষয় কে উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো গুরুতর আঘাত হিসাবে চিহ্নিত।এই ৮ টি বিষয়ের মধ্যে ৮ নাম্বার বিষয় টিতে বলা হয়েছে যে,এমন কোন আঘাত যা জীবন সংশয় সৃষ্টি করে বা যাতে আহত ব্যাক্তি ২০ দিন পর্যন্ত প্রচন্ড দৈহিক যন্ত্রণা ভোগ করে বা সাধারণ কাজকর্ম করতে অপরাগ হয়।এই ক্ষেত্রেও তা গুরুতর আঘাত হিসাবে চিহ্নিত হবে।
[৩২১+৩২৩],৩২১ ধারাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত দানের সংঙ্গা এবং ৩২৩ এ শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ১ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে অথবা ১ হাজার টাকা পরিমাণ অর্থ দন্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
[৩২২+৩২৫],৩২২ ধারাতে ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত এর সংঙ্গা এবং ৩২৫ ধারাতে সাজা উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দন্ডিত হবে।
৩২৪,ধারায় স্বেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্র কর্তৃক বা বিপদজনক উপায়ে আঘাত করা। একই ধারাতে শাস্তিও উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ৩ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে বা অর্থ দন্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
৩২৬,ধারায় সেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্র দ্বারা বা বিপদজনক উপায়ে গুরুতর আঘাত করা। একই ধারাতে শাস্তিও উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দন্ডেও দন্ডিত হবে।
৩২৬ক,ধারায় সেচ্ছাকৃতভাবে দুইটি চোখ উপড়ে বা এসিড জাতীয় পদার্থ দ্বারা চোখ দুইটির দৃষ্টি নষ্টকরণ বা মুখমণ্ডল বা মস্তক এসিড দ্বারা বিকৃতিকরণ।যাহার শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে এবং অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
**[বর্তমানে এই ধরনের কোন অপরাধ সংঘটিত হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা ৪ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়]