বাংলাদেশের আইন
পেশায় কর্মজীবন আরম্ভ করতে চাইলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আইনবিষয়েডিগ্রিনেয়ারপরওবারকাউন্সিলেরপরীক্ষায়উত্তীর্ণহওয়াছাড়াআইনপেশাহিসাবেনেওয়ারসুযোগনেই। এ কারণেই আপনি আইন বিষয়ে যত বড় ডিগ্রিই নেন না কেন অ্যাডভোকেট হিসাবে কর্মজীবন শুরু করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বার কাউন্সিলের সনদ পেতে হবে। আইনবিষয়েযারাপড়া-লেখাকরেনবারকাউন্সিলনামেরসাথেতারাইসবচেয়েবেশিপরিচিত। কেননা আইনজীবী হতে চাইলে বার কাউন্সিলের দেওয়াল অবশ্যই টপকাতে হবে।
অসদাচরণ বা বার কাউন্সিলকে প্রদেয় চাঁদা পরিশোধ না করার দায়ে অ্যাডভোকেটদের নিবন্ধন বাতিল।
লেটার্স প্যাটেন্টবলে১৭৭৪সালেকলকাতায়প্রতিষ্ঠিতসুপ্রিমকোর্টেরঅ্যাডভোকেটঅ্যাটর্নিদেরনিবন্ধনও নিয়ন্ত্রণেরদায়িত্বলেটার্সপ্যাটেন্টের১১ধারাঅনুযায়ীওইকোর্টেরউপরইন্যস্তহয়। কলকাতায় কোম্পানির সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে সদর দেওয়ানি আদালত ১৭৯৩ সালের ৭ নং প্রবিধান অনুযায়ী ঐ আদালতে ও অধস্তন কোম্পানি আদালতগুলিতে আইনপেশায় নিয়োজিত উকিলদের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করত। ১৮৬২সালে সুপ্রিমকোর্ট, সদরদেওয়ানিআদালতও সদরনিজামতআদালততুলেদিয়েকলকাতারফোর্টউইলিয়ামেজজিয়তিহাইকোর্টপ্রতিষ্ঠারপরএ আদালতঅ্যাডভোকেট, অ্যাটর্নি, উকিল, কৌঁশুলিও মোক্তারদেরনিবন্ধনও নিয়ন্ত্রণেরক্ষমতালাভকরে। অ্যাডভোকেটরা ছিলেন ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে পাস করা ব্যারিস্টার অথবা স্কটল্যান্ডের ফ্যাকাল্টি অফ অ্যাডভোকেট্স-এর সদস্য।
অ্যাটর্নিদের নির্দেশনাঅনুযায়ীঅ্যাডভোকেটরাকলকাতাহাইকোর্টেরমূলবিভাগেহাজিরাদিতেও ওকালতিকরতেপারতেনএবংওইআদালতেরআপিলবিভাগও অন্যান্যঅধস্তনআদালতেওকালতিকরারঅনুমতিওপেতেন। কিন্তু যোগ্যতাসম্পন্ন দেশীয় আইনজীবীদের মধ্য থেকে তালিকাভুক্ত কলকাতা হাইকোর্টের উকিলদের ওই আদালতের মূল বিভাগে কাজ করার অধিকার ছিল না। তাইদেশেএকটিসর্বভারতীয়বারগঠনএবংঅ্যাডভোকেটও উকিলদেরমধ্যেপার্থক্যনিরসনেরদাবিওঠে। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্যার এডওয়ার্ড চ্যামিয়ারকে সভাপতি করে ১৯২৩ সালে ইন্ডিয়ান বার কমিটি গঠিত হয়। ১৯২৪সালেসেকমিটিএকটিপ্রতিবেদনপেশকরেএবংইন্ডিয়ানবারকাউন্সিলঅ্যাক্ট১৯২৬কার্যকরহয়।
এ আইনেপ্রথমবারেরমতোপ্রত্যেকহাইকোর্টেযৌথসংগঠনহিসেবেএকটিকরেবারকাউন্সিলগঠনেরবিধানরাখাহয়। ১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত প্রতিটি বার কাউন্সিলে থাকতেন অ্যাডভোকেট জেনারেল, হাইকোর্ট কর্তৃক মনোনীত ৪ জন সদস্য এবং হাইকোর্টের অ্যাডভোকেটদের নিজেদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১০ জন সদস্য। হাইকোর্টেরপূর্বানুমতিসহবারকাউন্সিলকেহাইকোর্টেরজন্যঅ্যাডভোকেটনিবন্ধনও তাদেরনিয়ন্ত্রণেরনিয়মকানুনতৈরিকরারদায়িত্বদেওয়াহয়েছিল, তবেকোনওব্যক্তিকেঅ্যাডভোকেটহিসেবেগ্রহণনাকরারব্যাপারেহাইকোর্টেরক্ষমতাকেকোনভাবেখর্বকরারঅধিকারবারকাউন্সিলেরছিলনা। এ আইনে হাইকোর্টের মূল বিভাগে আইন ব্যবসায়ে আগ্রহী আবেদনকারীদের যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষমতা এবং তাদের গ্রহণ ও প্রত্যাখ্যান বা কী কী শর্তে বা পরিস্থিতিতে তারা ওই আদালতের অধীনে আইনব্যবসা করতে পারবেন তা নির্ধারণের ক্ষমতা হাইকোর্টের হাতেই ন্যস্ত থাকে। পূর্বতনঅ্যাডভোকেটও উকিলদেরঅ্যাডভোকেটহিসেবেএকীভূতকরাহয়, কিন্তব্যারিস্টারও ব্যারিস্টারননএমনঅ্যাডভোকেটদেরমধ্যকারপার্থক্যআগেরমতোইথেকেযায়।
বাংলাদেশ বারকাউন্সিল: হাইকোর্টআইনজীবীদেরকোনওঅসদাচরণেরঅভিযোগেরতদন্তকার্যবারকাউন্সিলেরট্রাইব্যুনালেরউপরন্যস্তকরতেপারতএবংঅভিযোগপ্রমাণিতহলেট্রাইব্যুনালআইনজীবীকেতিরস্কার, তারআইনব্যবসাসাময়িকভাবেস্থগিতবাস্থায়ীভাবেবাতিলকরতেপারত। আইনজীবীদের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ছিল হাইকোর্টের হাতে, বার কাউন্সিল ছিল নেহাৎ একটি উপদেষ্টা সংগঠন। কালক্রমেকলকাতাহাইকোর্টতারবিধিবিধানউদারকরেএবংনন- ব্যারিস্টারঅ্যাডভোকেটদেরহাইকোর্টেমূলমামলাপরিচালনারঅনুমতিদেয়। ১৯৬৫ সালের লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল অ্যাক্ট কার্যকর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকে। ওইআইনেরফলেসমগ্রদেশেরজন্যএকটিএবংপাকিস্তানেরপ্রতিদুইপ্রদেশেরজন্যএকটিকরেবারকাউন্সিলগঠিতহয়। এতে ছিলেন ১৪ জন নির্বাচিত সদস্য এবং পদাধিকারবলে একজন সভাপতি। এ আইনেব্যারিস্টারও নন-ব্যারিস্টারএবংঅন্যান্যশ্রেণীরআইনজীবীদেরমধ্যকারপার্থক্যলোপপায়এবংদুইশ্রেণীরআইনজীবীরনিবন্ধনেরবিধানচালুহয়; একশ্রেণীহাইকোর্টেরজন্যএবংঅপরশ্রেণীঅধস্তনআদালতসমূহেরজন্য। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশবলে ১৯৬৫ সালের আইন বাতিল করে বার কাউন্সিল পুনর্গঠন করা হয়।
১৯৭২ সালেররাষ্ট্রপতিরআদেশেগঠিতবারকাউন্সিলেরসদস্যসংখ্যা১৫; তন্মধ্যেপদাধিকারবলেবারকাউন্সিলেরসভাপতিথাকেনবাংলাদেশেরঅ্যাটর্নিজেনারেল। অবশিষ্ট ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ৭ জন অ্যাডভোকেটদের মধ্য থেকে তাদের ভোটে নির্বাচিত, বাকি ৭ জন নির্বাচিত হন প্রতিটি গ্রপ থেকে একজন করে ৭টি গ্রুপে বিভক্ত স্থানীয় আইনজীবী সমিতিগুলির সদস্যদের মধ্য থেকে। বারকাউন্সিলেরসদস্যরানিজেদেরমধ্যথেকেএকজনসহসভাপতিনির্বাচনকরেন। বার কাউন্সিলের মেয়াদ ৩ বছর।
বার কাউন্সিলেরকয়েকটিস্থায়ীকমিটিরয়েছে, যথাকাউন্সিলেরপ্রশাসনপরিচালনারজন্যনির্বাহীকমিটি, আইনজীবীদেরসদস্যভুক্তকরারজন্যপরীক্ষাপরিচালনাও নিবন্ধনকমিটি, কাউন্সিলেরঅর্থবাতহবিলনিয়ন্ত্রণও ব্যবস্থাপনারজন্যফাইন্যান্সকমিটিএবংআইনজীবীদেরআইনগতশিক্ষারমাননির্ধারণেরজন্যআইনিশিক্ষাকমিটি। এছাড়া রয়েছে অন্য যেকোনও উদ্দেশ্যে বার কাউন্সিলের সদস্য সমন্বয়ে গঠিত অন্যান্য কমিটি।
বার কাউন্সিলএযাবৎবারকাউন্সিরেরদুজনসদস্যএবংআইনজীবীদেরমধ্যথেকেএকজনসদস্যসমন্বয়েএকাধিকট্রাইব্যুনালগঠনকরেছে। এসব ট্রাইব্যুনাল আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অসদাচণের অভিযোগের শুনানি গ্রহণ এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক পরিচালিত তদন্তে অভিযুক্ত আইনজীবী দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে গৃহীতব্য পদক্ষেপ সুপারিশ করে। ট্রাইব্যুনালেরকোনওরায়েসংক্ষুব্ধযেকোনওআইনজীবীহাইকোর্টবিভাগেআপিলপেশকরতেপারেন।
আইন পেশা: বাংলাদেশেরনাগরিকও ন্যূনতম২১বছরবয়স্কআইনেরস্নাতকবাব্যারিস্টার, অন্যূন৭ বছরেরঅভিজ্ঞকোনঅ্যাডভোকেটেরঅধীনে৬ মাসেরশিক্ষানবিসীসম্পন্নকরেএকটিনির্দিষ্টঅঙ্কেরফিপরিশোধেরমাধ্যমেহাইকোর্টবিভাগেরঅধীনস্থআদালতসমূহেআইনব্যবসাকরারলক্ষ্যেনিবন্ধনেরজন্যপরীক্ষায়অংশগ্রহণেরযোগ্যবলেবিবেচিতহন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাকে বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ইস্টিটিউট পরিচালিত প্রশিক্ষণেও অংশ নিতে হয়। অ্যাডভোকেটহিসেবেকোনঅধস্তনআদালতেদুবছরআইনব্যবসারঅভিজ্ঞতালাভ(যদিশর্তমুক্তনাকরাহয়েথাকে) ও অন্যান্যশর্তাদিপূরণেরপরতিনিহাইকোর্টবিভাগেরঅ্যাডভোকেটহিসেবেনিবন্ধনেরজন্যপরীক্ষায়অংশগ্রহণেরযোগ্যতাঅর্জনকরেন। নিবন্ধনের জন্য বার কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে অতিরিক্ত ফি প্রদানের মাধ্যমে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অ্যাডভোকেট হিসেবে নিবন্ধিত হন। কয়েকটিনির্দিষ্টশর্তেবারকাউন্সিলআইনজীবীসমিতিও আইনজীবীদেরস্বেচ্ছাসেবীসংগঠনকেস্বীকৃতিদিয়েথাকে। নিবন্ধন লাভের পর প্রত্যেক অ্যাডভোকেটকে কোনো না কোনো আইনজীবী সমিতির সদস্য হতে হয়। আইনবিষয়কজ্ঞানপ্রসারেরলক্ষ্যেবারকাউন্সিল‘বাংলাদেশলিগ্যালডিসিসন্স’ নামেএকটিমাসিকআইনবিষয়কপত্রিকাপ্রকাশকরে। এতে প্রধানত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ রায়গুলির বিবরণ প্রকাশিত হয়। বারকাউন্সিলরুল্স১৯৭২-এ বারকাউন্সিলেরসদস্যনির্বাচন, বারকাউন্সিলও এরকমিটিগুলোরসভা, নিয়মশৃঙ্খলাসম্পর্কিতধারাবিবরণী, বারকাউন্সিলেরসভাপতিও সহসভাপতিরক্ষমতাও কার্যাবলি, বারকাউন্সিলকর্তৃকনিযুক্তনির্বাহীকমিটিরসভাপতিও সেক্রেটারিরক্ষমতাও কার্যাবলি, আইনজীবীদেরসদস্যভুক্তি, কমিটিগুলোরকার্যাবলি, অর্থবিষয়কইত্যাদিবিশদবিধিবিধানবর্ণিতরয়েছে।
কল্যাণ তহবিলবিধিমালায়রয়েছেঅবসরপ্রাপ্তবাঅক্ষমএবংপ্রয়াতআইনজীবীদেরপরিবার/মনোনীতব্যক্তিদেরঅনুদানপ্রদানও কল্যাণতহবিলেরআয়ব্যয়পরিচালনা, চাঁদাসংগ্রহইত্যাদিরবিশদবিধান। কোনও দুঃস্থ বা প্রয়াত আইনজীবীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, চাঁদা আদায় ও তহবিল পরিচালনার বিধান রয়েছে ত্রাণ তহবিল বিধিমালায়। আইনজীবীদেরমুহুরিদেরনিবন্ধনবিধিমালায়মুহুরিদেরযোগ্যতা, নিবন্ধীকরণএবংনিবন্ধনস্থগিতও বাতিলকরাসংক্রান্তনিয়মকানুনবর্ণিতরয়েছে। মুহুরিদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের শুনানি সংক্রান্ত বিধিমালায় শুনানির প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নিয়ম বর্ণিত আছে। বারকাউন্সিলেরনির্বাহীকমিটিকর্তৃকআপিলশুনানিসংক্রান্তবিধিমালায়কোনোওমুহুরিরবিরুদ্ধেঅভিযোগেরব্যাপারেনিবন্ধনকর্তৃপক্ষেরপ্রদত্তসিদ্ধান্তএবংসেসিদ্ধান্তেরবিরুদ্ধেক্ষুব্ধমুহুরিরপেশকৃতআপিলেরশুনানিও নিষ্পত্তিবিষয়েনিয়মবর্ণিতআছে। অন্যান্য আইনজীবী, মক্কেল ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে আইনজীবীদের আচরণ, আদালতে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ইত্যাদি বিষয়ে অনুসরণীয় একটি পেশাগত আচরণ বিধিমালা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল প্রণয়ন করেছে। বিশেষতহবিলবিধিমালায়বিশেষতহবিলযেমনলিগ্যালএডুকেশনফান্ড, ঈখঊচফান্ডও এডুকেশনরিজার্ভফান্ডেরমতোবিশেষতহবিলপরিচালনারবিধিবিধানসন্নিবেশিতআছে।
শুধু পাবলিকবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও আইন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ৩১টিবেসরকারিবিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশবারকাউন্সিলেরসনদপ্রাপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- আশা ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সিটি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্য্যালয়, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, গণবিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়-চট্টগ্রাম, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়, লিডিং ইউনিভার্সিটি-সিলেট, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, মানারাত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইময়েশিয়া ইউনিভার্সিটি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, সিলেট আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাউর্দান ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়,স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, দ্যা মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, দ্যা পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয়, জেড এইচ শিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।