মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে নিচের ৬ জন কোন অবস্থায়ই উত্তরাধিকার হতে বাদ যায় না-
Lawyer's Club 24BDSunday, November 03, 2019
0
মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে নিচের ৬ জন কোন অবস্থায়ই উত্তরাধিকার হতে বাদ যায় না- বাবা?
ক.মৃত ব্যক্তির কোন পুত্র থাকলে বাবা ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন।
খ.পুত্র, পুত্রের পুত্র না থাকলে কিন্তু কন্যা, পুত্রের কন্যা থাকলে ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন এবং তাদের দেয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকবে তাও পাবেন।
গ. মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান না থাকলে অন্যান্য অংশীদারদের দেয়ার পর বাকী সমস্ত সম্পত্তি পিতা পাবেন।
মাতা?
ক. মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান থাকলে তবে মাতা ছয় ভাগের এক ভাগ ( ১/৬) পাবেন।
খ. কোন সন্তান না থাকলে এবং যদি একজনের বেশি ভাই বা বোন না থাকে তবে মাতা তিন ভাগের এক ভাগ ( ১/৩) পাবেন।
স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তি কতটা পাবেন ?
ক. সন্তান থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তির চারভাগের একভাগ (১/৪) পাবেন।
খ. যদি সন্তান না থাকে তাহলে স্বামী মোট সম্পত্তির দুই ভাগের এক ভাগ (১/২) পাবেন।
স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তি কতটা পাবেন ?
ক. সন্তান থাকলে স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ (১/৮) পাবেন।
খ. যদি সন্তান না থাকে তাহলে স্ত্রী মোট সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ (১/৪) পাবেন। গ. যদি মৃতের একাদিক স্ত্রী থাকেন তাহলে কোরআনে বর্ণিত অংশ স্ত্রীদের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ হবে।
ছেলে মৃত বাবার সম্পত্তি কতটুকু পাবেন ?
ক. মৃতব্যক্তির সম্পত্তিতে পিতা, মাতা, স্বামী/স্ত্রী নির্দিষ্ট সম্পত্তি পাওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তি ছেলে মেয়ের মধ্যে বন্টন করা হবে। তবে মেয়ে না থাকলে অংশীদারদের অংশ দেয়ার পর অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে বাকী সম্পূর্ণ সম্পত্তি ছেলে পাবে।
মেয়ে মৃত বাবার সম্পত্তি কতটুকু পাবেন ?
ক. একজন কন্যার অংশ দুইভাগের একভাগ (১/২)
খ. একাধিক মেয়ে হলে সকলে মিলে সমানভাবে তিন ভাগের দুই ভাগ (২/৩) পাবে।
গ. যদি পুত্র থাকে তবে পুত্র ও কন্যার সম্পত্তির অনুপাত হবে ২:১ অর্থাৎ এক মেয়ে এক ছেলের অর্ধেক অংশ পাবে।
Law is the Command of the sovereign. অর্থাৎ, সার্বভৌম কর্তৃপক্ষের আদেশই আইন।
আইনবিদ অধ্যাপক স্যামন্ড (Prof. Salmond) -এর মতে -
Law is the body of principles recognised and applied by the state in the administration of justice. অর্থাৎ, আইন হল ন্যায় প্রতিষঠায় রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রয়োগকৃত নীতিমালা।
অধ্যপক হল্যাণ্ড (Prof. Holland) -এর মতে –
Law is a general rule of external human action enforced by a sovereign political authority. অর্থাৎ, আইন হলো মানুষের বাহ্যিক আচরণের নিয়ন্ত্রনবিধি যা সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বলবৎ করা হয়।
মৌলিক অধিকারঃ
যখন কতিপয় মানবাধিকাকে কোন দেশের সংবিধানে লিপিবব্ধ করা হয় এবং সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দ্বারা সংরক্ষণ করা হয় তখন তাকে মৌলিক অধিকার বলা হয়। মৌলিক অধিকারগুলো সবই মানব অধিকার। তবে এগুলোকে মৌলিক অধিকার বলার কারণ হলো যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বচ্চো আইন বা মৌলিক আইন। এবং ঐ সংবিধানে সংযুজিত অধিকারগুলি মৌলিক আইনের অংশ। এদেরকে বিশেষ সাংবিধানিক আইনে রক্ষা করা হয়। এদেশের পরিবর্তন করতে হলে সয়ং সংবিধানকে পরিবর্তন করতে হয়।
ফোন আলাপ রেকর্ড করা নিয়ে বাংলাদেশের আইন কী বলে?
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৩ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের 'চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার' রয়েছে। অর্থাৎ, ফোনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের গোপনীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার নিশ্চয়তা দেয় আইন। তার মানে, ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া ফোন আলাপ রেকর্ড করা এবং রেকর্ড ছড়িয়ে দেয়া, আইনত অপরাধ। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের জন্য ফোনের কথোপকথন বা বার্তা আদান-প্রদানের তথ্য রেকর্ড করতে হলে সরকার গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করতে পারবে।
জামিন ও আগাম জামিন কি
কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তিনি গ্রেফতার এড়াতে আদালত থেকে যে জামিন নিয়ে থাকেন সাধারণত তাকে আগাম জামিন বলে।
এবং কারাগারে আটক অবস্থায় মামলা নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত যে জামিন নেওয়া হয় তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বলে।
যখন কোনো ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনায় বা গ্রেপ্তার হওয়ার অনুমানে কোনো ব্যক্তিকে জামিন দেওয়া হয়, তখন তাকে Anticipatory Bail বা আগাম জামিন বলে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেফতারের আগেই আদালত থেকে জামিন নিতে পারেন। জামিনের সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম হিসেবে হাইকোর্টের একান্ত এখতিয়ার অনুযায়ী এ ধরনের জামিন দেওয়া হয়।
যখন কোনো ব্যক্তির নিকট বিশ্বাস করার এমন কারণ থাকে যে, তিনি কোনো জামিন অযোগ্য অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে পারেন, তখন তিনি হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করলে আদালত যদি যথাযথ মনে করেন তাহলে ওই মুহহূর্তে উক্ত ব্যক্তিকে ভবিষ্যতে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত রাখার জন্য আগাম জামিনের নির্দেশ দেবেন।
আগাম জামিন অনুমোদন করার জন্য আইনের বিধানে কোনো নির্দিষ্ট ধারা নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারাকে ব্যাখ্যা করে পরবর্তীকালে আগাম জামিন দেওয়া অব্যাহত রাখেন আদালত। তাই আগাম জামিনের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এই ধারার শব্দাবলি হাইকোর্ট বিভাগ যে কোনো ব্যক্তিকে জামিন মঞ্জুর করার নির্দেশ প্রদান করতে পারেন; এই অংশের ব্যাখ্যা প্রদান করেন কেবলমাত্র হাইকোর্ট ।
রীট কি
রীট কথাটির অর্থ হলো আদালত বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘোষিত বিধান বা আদেশ । আদি এখতিয়ার দিয়েছে তা হল সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছে সংবিধানের ৪৪ নং অনুচ্ছেদে দেশের সকল নাগরিককে দিয়েছে মৌলিক অধিকার । নাগরিকের এরূপ মৌলিক অধিকার লঙ্গিত হলে তা বলবত করার এবং বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনাকে কার্যকর এখতিয়ারই হল হাইকোর্ট বিভাগের রিট এখতিয়ার ।তাই কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সংবিধানের ৪৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগে যে আবেদন করতে পারেন তাই হল রিট আবেদন । এইরূপ রিট আবেদন পেলে হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে মৌলিক অধিকার বলবত করার যে আদেশ দিতে পারেন তাই হল রিট । অন্যভাবে বলা যায়, রীট বলতে আমরা বুঝি উচ্চ আদালতের আদেশ।
রীট পাঁচ (৫) প্রকারঃ-
১। বন্দী প্রদর্শন রীট,
২। পরমাদেশ বা হুকুম জারি রীট
৩। নিষেধাজ্ঞামুলক রীট
৪। উৎপ্রেষণ রীট
৫। কারন দর্শাও রীট ।
আইন বিজ্ঞান কি
বাংলা ভাষায় ইংরেজী Jurisprudence শব্দটির বিভিন্ন প্রতিশব্দ রয়েছে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সকলের গ্রহণযোগ্য কোন প্রতিশব্দ ঘোষনা না করায় এর বিভিন্ন প্রতিশব্দ দেখা যায়।
ইংরেজী jurisprudence শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Juris Prudentia শব্দমালা থেকে উদ্ভব হয়েছে।
Juris শব্দের অর্থ হল ’আইন’ (Law) এবং
Prudentia শব্দের অর্থ হল ‘বিজ্ঞান’ (Science) বা ‘জ্ঞান’ (Knowledge)
সুতরাং Jurisprudence শব্দের অর্থ দাঁড়ালো ‘আইনের জ্ঞান’ (Knowledge of law) বা ’আইনবিজ্ঞান’ (Science of law)।
অষ্টিনের মতে - আইন বিজ্ঞান, jurisprudence is the philosophy of positive law.
হল্যান্ডের মতে আইন বিজ্ঞান, jurisprudence is the formal science of positive law.
প্রকাশিত লেখা ও মন্তব্যে তবে অত্র সাইটের কোন পোস্ট রেফারেন্স উল্লেখ পূর্বক অন্য ব্যবহার করতে পারবেন
পৃথিবীর সব কিছুই কোন না কোন নিয়ম বা আইনের অধীনে পরিচালিত হয়,মানুষের জীবনও এ সকল আইনের বাইরে নয়। এ আইন ভঙ্গ করে যখন অপরাধ সংগঠিত হয় তখনি সৃষ্টি হয় বিশৃংখলা ও অশান্তি। আইন একটি বির্মূত বিষয়। যাকে র্স্পশ কিংবা দেখা যায় না তবে অনুভব করা যায়। বিশ্বাস করা যায়। শ্রদ্ধা করা যায়।
About & Social
Lawyer's Club 24BD
E-mail Us: Lawyer'sClub24BD.
এই সাইটের সকল প্রকার লেখা, পোস্ট, ছবি ইত্যাদি রেফারেন্স হিসেবে ব্যাবহার এর জন্য নয়। শুধুমাত্র যারা আইন বিষয়ে জ্ঞানার্জনে আগ্রহী তাদের জন্য।
!doctype>