Ads Area

Snow
Maruf Hossen Jewel

হলফনামা সম্পাদন করার নিয়ম

হলফনামা সম্পাদন করার নিয়ম

11033726_1607163869516587_77550601806422026_n
জমি কেনাবেচা, বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদ, নাম পরিবর্তন বা সংশোধন, পাসপোর্টে নাম সংশোধন ও মামলা মোকদ্দমাসহ নানা কাজে প্রয়োজন হয় হলফনামার। এ ছাড়া বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ তৈরির কাজেও লাগে হলফনামা। হলফনামা হচ্ছে কোনো বিষয়ে সত্যতাসহ এর সমর্থনে ঘোষণা দেওয়া। যথাযথ নিয়মকানুন মেনেই সম্পাদন করতে হয় হলফনামা।
হলফনামায় যা যা উল্লেখ করতে হবে:
•হলফনামা হবে লিখিত। এতে হলফকারীর পূর্ণ নাম, ঠিকানা, বাবা-মায়ের নাম, জাতীয়তা, বয়স, পেশা ও ধর্ম উল্লেখ করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর। হলফকারী ব্যক্তি কী বিষয়ে, কী কারণে ও কেন হলফ করছেন তাঁর পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে হবে।
•কোনো জমিজমা নিয়ে হলে জমির তফসিল উল্লেখ করতে হবে।
বিয়ে সংক্রান্ত হলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, বয়স ও পেশা উল্লেখ করতে হবে। বিয়ের তারিখ, কত টাকা দেনমোহর নির্ধারণ হয়েছে এবং দেনমোহরের কত টাকা পরিশোধ করা হয়েছে সেটাও উল্লেখ থাকতে হবে। প্রয়োজনে সাক্ষীদের নাম ঠিকানাও দিতে হবে। বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রেও এসব তথ্য উল্লেখ করতে হবে। কী কারণে তালাক দেওয়া হয়েছে এর স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে হবে। তবে বিয়ের হলফনামায় স্বামী ও স্ত্রী দুজনের স্বাক্ষর লাগবে। বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে যিনি বিবাহবিচ্ছেদের হলফনামা করছেন শুধু তিনি স্বাক্ষর দেবেন।
•যেকোনো হলফনামায় অবশ্যই যে তারিখে হলফনামাটি সম্পাদন করা হচ্ছে সেই তারিখটি উল্লেখ করতে হবে।
•নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পূর্ব নাম কী ছিল এবং বর্তমান নামে কী সংশোধন হয়েছে তা স্পষ্ট করে লিখতে হবে।
•হলফকারীকে হলফনামার সঙ্গে পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি দিতে হবে এবং স্বাক্ষর করতে হবে।
•হলফনামার শেষ অংশে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে শনাক্ত করাতে হবে এবং আইনজীবীকে উল্লেখ করতে হবে এই হলফনামাটি তার সামনে সম্পন্ন করা হয়েছে। আইনজীবীকে আইনজীবী সমিতির সদস্য নম্বরসহ হলফনামায় স্বাক্ষর করতে হবে। মনে রাখতে হবে যেকোনো হলফনামা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে বিষয়ে হলফনামাটি করা হচ্ছে তার সত্যতার বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করা।
কীভাবে সম্পাদন করতে হবে:
হলফনামা সম্পাদন করতে হয় ২০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। তবে বিবাহবিচ্ছেদের হলফনামা করতে হবে ৫০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। হলফনামা লেখার পর (কম্পোজ বা টাইপ) নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হবে। নিয়ম হচ্ছে যিনি হলফনামাটি করলেন তিনি নোটারি পাবলিক কিংবা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁর হলফনামাটি সম্পর্কে সত্যপাঠ করবেন। তখন নোটারি পাবলিক বা ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামাটি যাচাই-বাছাই করে এর ওপর স্বাক্ষর দেবেন এবং একটি বিশেষ সরকারি সিল ব্যবহার করে এতে ক্রমিক নম্বর বসাবেন। হলফনামাটির একটি ফটোকপি তিনি রেখে দেবেন।
জেনে রাখুন:
•কোনো মামলা-মোকদ্দমা দায়ের করলে ক্ষেত্রবিশেষে হলফনামা আদালতে দাখিল করতে হয়। বিশেষ করে দেওয়ানি মোকদ্দমায় অন্তর্বর্তীকালীন কোনো প্রতিকার চাইলে এবং এর জবাব দিলে বিচারপ্রার্থীকে হলফনামা দিতে হয় দরখাসে্তর বা জবাবের সঙ্গে। এই হলফনামায় ছবি লাগে না এবং আদালতের সেরেস্তাদারের সামনে স্বাক্ষর করতে হয়। সেরেস্তাদার যাচাই-বাছাই করার পর আদালতে প্রেরণ করেন। জমি কেনা-বেচার দলিলের সঙ্গে দলিল নিবন্ধনের সময় হলফনামা দিতে হয় সাবরেজিস্ট্রি অফিসে।
•নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে হলফনামা করার পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। হলফনামা দিয়ে বয়স পরিবর্তন করা যাবে না। কোনো বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক আইন অনুযায়ী প্রথমে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। তারপর তাঁরা ইচ্ছা করলে হলফনামা করে রাখতে পারেন। পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়ে না করে শুধু এ হলফনামা সম্পন্ন করা উচিত নয়। শুধু হলফনামা সম্পাদন করলেই আইন অনুযায়ী বিয়ে হয়েছে বলা যাবে না। তালাকের ক্ষেত্রেও পারিবারিক আইন মেনে তালাক দিতে হবে। মুসলমান হলে কাজির মাধ্যমে তালাকের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরই তালাকের হলফনামা সম্পন্ন করা উচিত।
Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Snow
Maeuf Hossen Jewel

Below Post Ad

Snow
Maruf Hossen Jewel

Ads Area

Snow
Maruf Hossen Jewel