১৯০৮ সালের ৫ নং আইন। অর্থাৎ ১৯০৮ সালের ২১ শে মার্চ প্রকাশিত পায়
এবং ১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে কার্যকর হয়।
দেওয়ানী কার্যবিধিতে মোট ১৫৮ টি ধারা এবং ৫১ টি আদেশ আছে।
দেওয়ানী কার্যবিধি একটি পদ্ধতিগত (Procedural Law) আইন।
যদিও এই আইনে মূল আইনের (Substantive Law)কিছু উপাদান বিদ্যমান আছে।
১। দেওয়ানী কার্যবিধি কখন থেকে কার্যকর হয় ?
উত্তর- ১৯০৯ সালের ১ লা জানুয়ারী।
২। দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় ডিক্রীদারের সংজ্ঞা দেওয়া আছে ?
উত্তর- ২(৩) ধারায়।
৩। দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় সরকারী উকিল (Government Pleader) সম্পর্কে বলা হয়েছে ?
উত্তর- ২(৭)ধারায়।
৪। দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় জজ (Judge)সম্পর্কে বলা আছে ?
উত্তর- ২(৮)ধারায়।
৫। দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় রায় (Judgement)সম্পর্কে বলা আছে ?
উত্তর- ২(৯) ধারায়।
৬। দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় জাজমেন্ট ডেটার এর বিধান আছে?
এবং Judgement Debtor কে ?
উত্তর- ২(১০)ধারায়।Judgement Debtor যার বিরুদ্ধে ডিক্রী হয়েছে।
৭। দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় উকিল (Pleader)সম্পর্কে বলা হয়েছে ?
উত্তর- ২(১৫) ধারায়।
৮। নিষেধ না থাকিলে আদালত সকল প্রকার দেওয়ানী মোকদ্দমার বিচার করিবেন
দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় বলা আছে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ৯ ধারায় বলা আছে।
৯। প্রত্যেক মোকদ্দমা উহা বিচারের ক্ষমতাসম্পন্ন নিম্নতম আদালতে দায়ের করতে
হবে কত ধারায় বলা আছে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫ ধারায়।
১০। যেখানে বিষয়বস্তু অবস্থিত, সেখানে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে কোথায় বলা
আছে?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ১৬ ধারায়।
১১। বিভিন্ন আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে অবস্থিত সম্পত্তির মোকদ্দমা যেখানে
দায়ের করতে হবে কত ধারার বিধান ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ১৭ ধারার।
১২। একাধিক আদালতের এখতিয়ার অনির্দিষ্ট হলে যেখানে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে কত ধারার বিধান ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ১৮ ধারার।
১৩। দেওয়ানী মোকদ্দমা স্তানান্তরের দরখাস্ত কত ধারায় করতে হয় ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ২৪ ধারায়।
১৪। আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করতে হয় কত ধারায় ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ১০৪ ধারায়।
১৫। দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় হাইকোর্টে রিভিশনের দরখাস্ত করতে হয় ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ১১৫(১) ধারায়।
১৬। দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় জজকোর্টে রিভিশনের দরখাস্ত করতে হয় ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ১১৫(২)ধারায়।
১৭। বিবাদীর প্রতি সমন জারী কত ধারায় করতে হয় ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ২৭ ধারায়।
১৮। মোকদ্দমার পক্ষভুক্ত করা হয় কোন বিধান মতে ?
উত্তর-দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ১ নিয়ম-১০ মতে।
১৯। দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করা হয় কোন বিধান মতে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ২৬ ধারা ও আদেশ ৪ নিয়ম ১ মতে।
২০। বাদীর অনুপস্থিতির কারনে মোকদ্দমা খারিজ হলে ছানী/পুনরুজ্জীবিত করতে হয় কোন বিধান মতে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৯ নিয়ম ৯ মতে।
২১। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন কোন বিধান মতে করতে হয় ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৩৯ নিয়ম ১ মতে।
২২। দেওয়ানী আদালত কোন বিধান বলে সময় মঞ্জুর করে থাকেন ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ১৪৮ ধারা এবং আদেশ ১৭ নিয়ম ১ মতে।
২৩। ডিক্রী কত প্রকার ?
উত্তর- ২য় প্রকার। যথাঃ (ক) প্রাথমিক ডিক্রি ও (খ) চূড়ান্ত ডিক্রি।
২৪। একতরফা ডিক্রী (Ex-parte Decree) কাকে বলে ?
উত্তর- বিবাদীপক্ষের অনুপস্থিতে বাদী পক্ষের অনুকুলে যে ডিক্রী প্রদান করে।
২৫। দেওয়ানী কার্যবিধির কোন বিধান মতে একতরফা ডিক্রী প্রধান করা হয় ?
উত্তর- আদেশ ৯ নিয়ম ৬ মতে।
২৬। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রদ বা রহিত করা হয় কোন বিধান মতে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৩৯ নিয়ম ৪ মতে।
২৭। দেওয়ানী কার্যবিধির কোন বিধানে সেট অফ বর্নিত আছে? এবং সেট অফ কি ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৮ নিয়ম ৬(১)। সেট অফ কোন মোকদ্দমায় বাদীর দাবীর বিরুদ্ধে বিবাদী কর্তৃক টাকার পাল্টা দাবী।
২৮। দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা কি ?
উত্তর- যে মোকদ্দমায় সম্পত্তির স্বত্ব বা পদের অধিকার সম্পর্কে প্রতিদ্বন্দ্বিত
া করে।
২৯। অর্থ আদায়ের মোকদ্দমা দায়েরের পর যদি বিবাদী তার সমস্ত বা আংশিক সম্পত্তি হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয় তাহলে বাদীর করনীয় কি ?
উত্তর- রায়ের পূর্ ক্রোকের আবেদন করা।
৩০। দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৬ নিয়ম ১ এর বিধান কি ?
উত্তর- প্লিডিংস।
৩১। বাদী যে সকল কারনের উপর ভিত্তি করে মোকদ্দমা দায়ের করে তাকে কি বলে? উত্তর- কজ অব এ্যাকশন।
৩২। Local Inspection করা হয় দেওয়ানী কার্যবিধির কোন বিধান মতে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৩৯ নিয়ম ৭ মতে।
৩৩। Local Investigation করা হয় দেওয়ানী কার্যবিধির কোন বিধান মতে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ২৬ নিয়ম ৯ মতে।
৩৪। দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৪০ নিয়ম ১ এর বিধান কি ?
উত্তর- রিসিভার নিয়োগ।
৩৫। কোন ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপীল করা যায় না ?
উত্তর- সোলে ডিক্রী।
৩৬। দেওয়ানী কার্যবিধির কোন বিধানে Issue বা বির্চায বিষয় সম্পর্কে আলোচনা
করাহয়েছে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ১৪ নং আদেশে।
৩৭। ইস্যু বা বিচার্য বিষয় কয় প্রকার ?
উত্তর- ২ প্রকার। যথাঃ (ক) আইনগত ও (খ) তথ্যগত।
৩৮। মোকদ্দমার এক পক্ষের স্বীকৃত্ব এবং অপর পক্ষের অস্বীকৃত্ব প্রত্যেকটি বিষয় কি? উত্তর- বিচার্য বিষয়।
৩৯। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত না মঞ্জুর হলে কি করবেন এবং কত ধারা মতে ?
উত্তর- মিস আপীল। ১০৪ ধারা মতে।
৪০। আপীল রিজেক্ট হলে কি করবেন ?
উত্তর- রিভিশন।
৪১। আরজি খারিজের সিদ্ধান্ত কি ?
উত্তর- ডিক্রী।
৪২। আদালতের নির্দেশ পালনে ব্যর্থতায় আরজি খারিজ কি ?
উত্তর- আদেশ।
৪৩। দেওয়ানী কার্যবিধির কোন বিধান মতে হলফনামা দিতে হয় ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ১৯ নিয়ম ১ মতে।
৪৪। ডিক্রী রদ হলে কি করতে হবে ?
উত্তর- রিভিশন।
৪৫। দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারায় কোড (Code) উল্লেখ আছে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ২(১) ধারায়।
৪৬। দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারায় রুল(Rule)উল্লেখ আছে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ২(১৮)ধারায়।
৪৭। দেওয়ানী কার্যবিধির কোন ধারা মতে উকিল নিয়োগ করা হয় ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৩ নিয়ম ৪ মতে।
৪৮। আদালত সাক্ষীর প্রতি সমন জারী করেন কোন বিধান মতে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ১৬ নিয়ম ১ মতে।
৪৯। মোকদ্দমা দায়েরের পর বাদী মোকদ্দমায় হেরে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিলে কোন বিধান মতে আরজি প্রত্যাহার করবেন ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ২৩ নিয়ম ১ মতে।
৫০। আপীল পর্যায়ে কোন ধারা মতে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি করা যায় ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ৮৯-গ ধারা মতে।
৫১। ডিক্রী জারী করার জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির কত বিধান মতে আবেদন করতে
হবে ? উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ৪৬ ধারা ও আদেশ ২১ নিয়ম ১০ মতে।
৫২। দেওয়ানী কার্যবিধির কোথায় সত্যপাঠ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৬ নিয়ম ১৫ ।
৫৩। যেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা রয়েছে অথবা
প্রস্তাবিত সংশোধনীর কারনে মোকদ্দমার প্রকৃতি পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা থাকে সে
ক্ষেত্রে কি হবে ?
উত্তর- আরজি সংশোধন করা যাবে না।
৫৪। নিম্নের কোন ধরনের মোকদ্দমায় ডিক্রি জারীর প্রয়োজন নাই ?
উত্তর- ঘোষনামূলক ও স্বত্ব ঘোষনামূলক মোকদ্দমার ক্ষেত্রে।
৫৫। সহকারী জজ অথবা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কি করা যায় ?
উত্তর- জেলা জজ আদালতে রিভিশন করা যায়।
৫৬। সহকারী জজ বা যুগ্ন জেলা জজ আদালতের আদেশ যদি আপীলযোগ্য হয় তাহলে দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারার বিধান মতে আপীল করা যাবে ?
উত্তর- দেওয়ানী কার্যবিধির ১০৪ ধারা এবং আদেশ ৪৩ নিয়ম ১ অনুসারে।
৫৭। সহকারী জজ বা যুগ্ন জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন হবে
দেওয়ানী কার্যবিধির কত ধারায় এবং কোথায় ?
উত্তর- জেলা জজ আদালতে ১১৫(২) ধারায়।
৫৮। অতিরিক্ত জেলাজজ কিংবা জেলাজজের আদেশের বিরুদ্ধে কোথায়
রিভিশন দাখির করতে হবে এবং কত ধারায় ?
উত্তর- ১১৫(১) ধারার অধীনে হাইকোর্ট বিভাগে।
৫৯। দেওয়ানী কার্যবিধিতে মোট কতটি ধারা আছে এবং কতটি আদেশ ও তফশীল আছে ও কয়টি অংশ ?
উত্তর- ১৫৮টি ধারা এবং ৫১টি আদেশ ও ৫টি তফশীল আছে। ২ টি মৌলিক অংশে বিভক্ত।