আরজি নাকচ [Rejection of Plaint]
বিধি, ১১। আরজি নাকচ/ প্রত্যাখ্যান বা খারিজ/ বাতিল [Rejection of Plaint] (অসতর্কতা এবং অব্যবস্থাপনার কারনে)চারটি করন;
১. আরজিতে মামলার কারন উল্লেখ না করলে,
২. মামলার মূল্যমান কম ধরলে,
৩. যথাযথ ষ্টাম্প না দেওয়া থাকলে,
৪. আইনি অন্য কোন কারনে (when barred by law)
+ দুটি কেস ল;
ক. প্রসেস ফি না দেওয়া হলে [১৯২৪ সালে কলকাতা হাইকোটের রায়ে প্রাপ্ত]খ. আদালত যদি অন্য কোন কারনে / ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাতিল করতে চায় [ধারা, ১৫১]
আরজি নাকচ হলে তার প্রতিকার:
১. এটা ডিক্রি তাই আপিল করা যাবে [ধারা ৯৬(১)]২. নতুন / ফ্রেস মামলা [কিন্তু তা অবস্যই লিমিটেশন মেনে করতে হবে]
মামলা খারিজ ও আরজি খারিজ এক বিষয় নয়। আদেশ ৭ বিধান ১১ এর মতে আজি প্রত্যাখান কর যেতে পারে। আরজি প্রত্যাখ্যানের অর্থ হচ্ছে যে আদো কোন মামলা দায়ের করা হয় নি। পক্ষান্তরে মামলা খারিজের অর্থ হচ্ছে মামলা স্বীকার করে তা বিলুপ্ত করা। তামাদির কারনে আর্জি খারিজ হলে আর নতুন মামলা করা যায় না।
বিধি, ১২। আর্জি ফেরতের আদেশ দিলে আদালত তার কারন লিখে দেবেন।
বিধি, ১৩। তামাদি ছাড়া অন্য কোন কারনে আর্জি ফেরত আসলে নতুন মামলা দায়ের করা যায়।
বিধি, ১৪। আর্জি দাখিলের সাথে দলিল দাখিল করতে হবে।
যে সকল দলিলের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে তা দাখিল করতে হবে এবং একটি (সেট) নকল আদালতে পেশ করতে হবে।
প্রমানের জন্য অন্য কোন দলিলের উপর নির্ভর করলে এবং তা তার কাছে না থাকলে তিনি একটি তালিকা প্রস্তুত করে তা কার কাছে আছে উল্লেখ-পূর্বক আর্জির সাথে দাখিল করবেন।
বিধি, ১৫। যখন এমন (১৪ নং অনুসারে) কোন দলিল বাদীর হাতে থাকে না তখন তা কর কাছে আছে সেই বিষয়ে বিবৃতি প্রদান করবে।
দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ ৮ এ লিখিত জবাব ও সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।