যৌতুক নিরোধ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত
যৌতুক নিরোধের উপর সর্বপ্রথম আইন তৈরী করা হয় ১৯৮০ সালে।সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নতুন করে যৌতুক নিরোধের উপর আইন তৈরী করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।তাই ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন বাতিল করে ২০১৮ সালে নতুন করে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়।যা যৌতুক নিরোধ আইন,২০১৮ নামে অভিহিত হবে।
যৌতুক[ধারা:2(খ)]
এখানে বলা হয়েছে,যৌতুক হল বিবাহের একপক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষের নিকট বৈবাহিক সম্পর্ক স্হাপনের পূর্বশর্ত হিসেবে বিবাহের পণ বাবদ দাবীকৃত অর্থ-সামগ্রী বা অন্য কোন সম্পদ।যৌতুক বিবাহের আগে অথবা বিবাহের সময় অথবা বিবাহের পরেও দাবী করা যেতে পারে।মুসলীম ব্যক্তিগত আইনের ক্ষেত্রে দেনমোহর বা মোহরানা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না। বিবাহের সময় বিবাহের পক্ষগণের আত্নীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব বা শুভাকাঙ্ক্ষী কর্তৃক কোন পক্ষকে প্রদত্ত উপহার-সামগ্রী যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না।
যৌতুক দাবী করার দন্ড[ধারা-৩]
বিবাহের এক পক্ষ আরেক পক্ষের কাছে যৌতুক দাবী করলে, সেটা এই আইনের অধীনে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।এক্ষেত্রে যৌতুক দাবীকারী পক্ষের শাস্তি হবে অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন ১ বছর কারাদন্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ড।
যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করার দন্ড[ধারা-৪]
যদি বিবাহের এক পক্ষ যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করে অথবা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণে সহায়তা করে অথবা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণের উদ্দেশ্যে চুক্তি করে,তাহলে সেটা এই আইনের অধীনে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।তার জন্য যৌতুক প্রদান বা গ্রহণকারী ব্যক্তি অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন ১ বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।
যৌতুক নিরোধ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত |
যৌতুক সংক্রান্ত চুক্তি ফলবিহীন[ধারা-৫]
এখানে বলা হয়েছে, যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ সংক্রান্ত চুক্তি ফলবিহীন(void) হবে।তার মানে যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ নিয়ে কোন চুক্তি হলে সেটা বাতিল বলে গণ্য হবে।এটাকে কোন চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
মিথ্যা মামলা দায়েরের দন্ড[ধারা-৬]
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই আইনের অধীনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে, তাহলে তিনি অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবেন।তার মানে আইনানুগ কারণ ছাড়া কারো নামে মামলা করা যাবে না।কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে ন্যায্য কারণ থাকতে হবে।