জাতীয় পরিচয়পত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এটি প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ব্যক্তিগত অনেক কাজই জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া করা সম্ভব হয় না। তবে নিজেদের অসাবধানতার কারণে এই পরিচয়পত্র হারিয়ে যেতে পারে।
তাই অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে কি করব? ডেইলি বাংলাদেশের আজকের আয়োজনে জেনে নিন জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে কি করবেন-
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সর্বপ্রথম নিকটতম থানায় জিডি করে জিডির মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।
অথবা জিডি করার পর নির্বাচন কমিশনের এই লিংকে http://www.ecs.gov.bd/MenuExternalFilesEng/1007.pdf গিয়ে একটি ফরম পাবেন। এই ফরমটি পূরণ করে পূরণকৃত ফরম প্রিন্ট করবেন। পরে প্রিন্ট কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে পারবেন।
২০১৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে হারানো আইডি কার্ড পেতে বা সংশোধন করতে সরকার কতৃক নির্ধারিত ফি ধার্য করা হয়েছে। এছাড়াও আপনাদের সুবিধার্থে NID Card সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনের কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: হারানো ও সংশোধন একই সঙ্গে করা যায় কি?
উত্তর: হারানো ও সংশোধন একই সঙ্গে সম্ভব নয়। আগে হারানো কার্ড তুলতে হবে, পরে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।
প্রশ্ন: হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড কীভাবে সংশোধন করব?
উত্তর: প্রথমে হারানো আইডি কার্ড উত্তোলন করে তারপর সংশোধনের আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন: প্রাপ্তি স্বীকারপত্র/স্লিপ হারালে করণীয় কী?
উত্তর: স্লিপ হারালেও থানায় জিডি করে সঠিক ভোটার আইডি নম্বর দিয়ে হারানো কার্ডের জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় পরিচয়পত্রে নেই কিন্তু তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমন তথ্যাদি পরিবর্তন কীভাবে সম্ভব?
উত্তর: জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে এ সংক্রান্ত কাগজপত্রাদিসহ আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে বিবেচনা করা হবে।
প্রশ্ন: প্রাপ্তি স্বীকারপত্র/জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে কিন্তু কোনো কাগজ নেই বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর/ভোটার নম্বর/ স্লিপের নম্বর নেই, সেক্ষেত্রে কী করণীয়?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিস থেকে ভোটার নম্বর সংগ্রহ করে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন শাখা/উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।